1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজযুক্তরাজ্য

রেকর্ড দামে বিক্রি হলো ম্যারাডোনার জার্সি

৫ মে ২০২২

ম্যারাডোনার জার্সি রেকর্ড দামে বিক্রি হলো। ওই জার্সি পরে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি বিতর্কিত ও একটি শতাব্দীর সেরা গোল করেছিলেন তিনি।

https://p.dw.com/p/4Aq9j
নিলামে রেকর্ড দাম পেল ম্যারাডোনার জার্সি।
নিলামে রেকর্ড দাম পেল ম্যারাডোনার জার্সি। ছবি: Matt Dunham/AP Photo/picture alliance

১৯৮৬-র বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হাত দিয়ে গোল করেছিলেন ম্যারাডোনা। পরে তিনি বলেছিলেন, 'হ্যান্ড অফ গড'। যে জার্সি পরে তিনি ওই গোল করেছিলেন সেটাই নিলামে রেকর্ড দাম পেল। ৯৩ লাখ ডলার বা ৭২ কোটি টাকায় ওই জার্সি বিক্রি হলো। লন্ডনে সদবিস অকশন হাউস থেকে এই জার্সি নিলামে বিক্রি হলো। এর আগে খেলার কোনো স্মারক এত বেশি দামে বিক্রি হয়নি।

কেন এই জার্সি?

১৯৮৬-র বিশ্বকাপ জেতার ক্ষেত্রে আর্জেন্টিনার সামনে অন্যতম কঠিন বাধা ছিল ইংল্যান্ড। এই ম্যাচটাই হয়ে উঠেছিল সবচেয়ে বিতর্কিত ম্যাচ। আজ পর্যন্ত ইংল্যান্ডে এই ম্যাচ নিয়ে আলোচনা হয়।

ওই ম্যাচ আর্জেন্টিনা জিতেছিল ২-১ গোলে। দুইটি গোলই দিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। তার মধ্যে একটি ওই হ্যান্ড অফ গড। সেটিই ছিল প্রথম গোল। ম্যারাডোনা হেড করার জন্য লাফিয়েছিলেন। রেফারি দেখতে পাননি, বলটি ম্যারাডোনার হাতে লেগে গোলে ঢোকে।

পরে ম্যারাডোনা বলেছিলেন, ওই গোলটি হয়েছে 'আ লিটল উইথ দ্য হেড অফ ম্যারাডোনা, আ লিটল উইথ দ্য হ্যান্ড অফ গড'। সহজ বাংলায়, গোলটির পিছনে কিঞ্চিত ম্যারাডোনা মাথা ও কিঞ্চিত ঈশ্বরের হাত কাজ করেছে।

ম্যারাডোনার সেই গোল, 'আ লিটল হ্যান্ড অফ ম্যারাডোনা, আ লিটল হ্যান্ড অফ গড'।
ম্যারাডোনার সেই গোল, 'আ লিটল হ্যান্ড অফ ম্যারাডোনা, আ লিটল হ্যান্ড অফ গড'।ছবি: picture-alliance/Sven Simon

তবে ওই ম্যাচেই ম্যারাডোনার দ্বিতীয় গোলটিকে অসাধারণ বললেও কম বলা হয়। ২০০২ সালে ফিফা আয়োজিত ভোটে ম্যারাডোনার ওই গোলটিই 'গোল অফ দ্য সেঞ্চুরি'-র শিরোপা পেয়েছে। ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনার হাফ থেকে বলটি ধরে একের পর এক ইংল্যান্ডের ফুটবলারকে কাটিয়ে, গোলকিপারকে ধোঁকা দিয়ে জালে বল ঠেলে দেন।

ওই দুইটি গোলই ম্যারাডোনার চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলেছে। একদিকে তিনি ফুটবলের রাজাপুত্র অন্যদিকে তিনি বেহিসেবী, ধ্বসাত্মক জীবনযাত্রায় রত।

এই বিশ্বকাপের আসর বসেছিল ইংল্যান্ড ও আর্জেন্টিনার মধ্যে ফকল্যান্ড যুদ্ধের চার বছর পর। তাই ম্যাচটি দুই দেশের কাছে বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছিল। আর ওই বিশ্বকাপের পর ফুটবল ভক্তদের হৃদয়ে ম্যারাডোনার স্থান স্থায়ী হয়ে গেছিল। সেসময়ের ফুটবলে অবিসংবাদী নায়কের আসনে বসেছিলেন তিনি। কিন্তু মাদক নেয়া, একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার পর ২০২০-তে মাত্র ৬০ বছর বয়সে চলে যান ম্যারাডোনা।

জার্সির কাহিনি

ম্যাচের পর ম্যারাডোনা ইংল্যান্ডের মিডফিল্ডার স্টিভ হজের সঙ্গে জার্সি বদল করেন। স্টিভ ওই জার্সি দিয়ে দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল ফুটবল মিউজিয়ামে দিয়ে দেন। সেখান থেকেই জার্সিটি নিলামের টেবিলে আসে।

সদবিস যখন ওই জার্সি নিলামে তোলার কথা জানায়, তখন ম্যারাডোনার আত্মীয়রা জানান, ওই জার্সি পরেই ম্যারাডোনা খেলেছিলেন কি না, তা নিয়ে তাদের সন্দেহ আছে। সদবিস বলে, তাদের চিফ সায়েন্স অফিসার জার্সি দেখে আসল বলে ছাড়পত্র দিয়েছেন। তাদের তরফ থেকে জানানো হয়, বিংশ শতাব্দীর খেলার ইতিহাসে এই জার্সির গুরুত্ব অপরিসীম।

এর আগে ১৮৯২ সালের অলিম্পিক আন্দোলনের ইস্তাহার ৮৮ লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছিল। ২০১৯ সালে এই নিলাম হয়েছিল।  সেই রেকর্ড ভেঙে দিল ম্যারাডোনার জার্সি।

জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)