1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজউত্তর অ্যামেরিকা

রুশদি-হামলাকারীর দাবি, সে নির্দোষ

১৯ আগস্ট ২০২২

এই প্রথম আদালতে পেশ করা হয়েছিল রুশদির উপর আক্রমণ চালানো যুবককে। নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছে সে।

https://p.dw.com/p/4Fl0f
রুশদি
ছবি: Gene J. Puskar/AP Photo/picture alliance

ভাবলেশহীন মুখে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছে রুশদির উপর হামলা চালানো যুবক। এর আগে মার্কিন সংবাদপত্র নিউ ইয়র্ক পোস্টকে একটি ছোট সাক্ষাৎকার দিয়েছিল সে। তাতে দাবি করেছিল, সালমান রুশদি ইসলামকে আক্রমণ করেছেন। যদিও এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে প্রশ্ন করা হয় রুশদির লেখা সে পড়েছে কি না। আক্রমণকারী জানায়, স্যাটানিক ভার্সের দুই পাতা পড়েছে সে।

এদিন তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেন। সেখানেই সে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে। তার বিরুদ্ধে দুই নম্বর ডিগ্রিতে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে।

গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্কের এক সভায় বক্তৃতা করার কথা ছিল রুশদির। সেখানে তিনি মঞ্চে ওঠার পরেই আক্রমণকারী দৌড়ে গিয়ে তাকে একাধিকবার ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে। আহত রুশদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়। এখন অবশ্য তিনি কিছুটা সুস্থ। শুক্রবার রুশদির সমর্থনে নিউ ইয়র্কের লাইব্রেরির সিঁড়িতে বসে তার লেখা পাঠ করবেন অ্যামেরিকার একাধিক লেখক।

স্যাটানিক ভার্স প্রকাশিত হওয়ার পর রুশদির উপর একাধিক আক্রমণের চেষ্টা হয়। ইরানের প্রধান নেতা রুশদিকে হত্যার ফতোয়া জারি করেন। যদিও ১৯৯৮ সালে ইরান সেই ফতোয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়। জাপানে রুশদির লেখা অনুবাদ করার অপরাধে খুন হতে হয় এক অনুবাদককে।

এবার রুশদিরউপর হামলা হওয়ার পর ইরান জানিয়ে দিয়েছে, এর সঙ্গে তাদের কোনো সংযোগ নেই। বস্তুত, ২৪ বছরের যে যুবক আক্রমণ চালিয়েছে, সে ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা। লেবাননের শরণার্থী পরিবারের সদস্য। নিউ ইয়র্কে গিয়ে রুশদির অনুষ্ঠানের পাস সংগ্রহ করে সে ভিতরে গেছিল।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)