1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিরাশিয়া

রুশ ভাড়াটে বাহিনীর মোকাবিলা করছে ইউক্রেন

১০ জানুয়ারি ২০২৩

ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে রাশিয়ার ভাগনার বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে৷ সেনাবাহিনীর প্রধান কিয়েভের উপর হামলার আশঙ্কা করছেন৷ প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি আরও অস্ত্রের জন্য আবেদন করছেন৷

https://p.dw.com/p/4LwPf
রাশিয়া আবার নতুন করে আক্রমণ চালাচ্ছেছবি: Roman Chop/AP Photo/picture alliance

অর্থোডক্স ক্রিসমাস উৎসবের সময় রাশিয়ার একতরফা যুদ্ধবিরতির ঘোষণা সত্ত্বেও বাস্তবে সে দেশ হামলা চালিয়ে গেছে৷ উৎসবের পরেও হামলা অব্যাহত রয়েছে৷ ইউক্রেনের পূর্বে বাখমুত শহরের কাছে সোলেদারের উপর রাশিয়ার ভাগনার ভাড়াটে বাহিনীর নেতৃত্বে জোরালো হামলা চলছে৷ বাখমুত ও সোলেদার শহরের তেমন কৌশলগত গুরুত্ব না থাকা সত্ত্বেও ভাগনার গ্রুপের এমন আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে এই ভাড়াটে বাহিনীর সমন্বয়ের অভাব নিয়েও সমালোচনা শোনা যাচ্ছে৷

ইউক্রেনীয় বাহিনী শহরটির উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখলেও রাশিয়া আবার নতুন করে আক্রমণ চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী হানা মালইয়ার৷ সে দেশের একাধিক সূত্র অনুযায়ী যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ সৈন্যদের লাশ ছড়িয়ে রয়েছে এবং প্রবল শীত সত্ত্বেও  আহতদেরও উদ্ধার করা হচ্ছে না৷ রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবশ্য দৈনিক বিবৃতিতে কোনো নির্দিষ্ট জায়গা বা প্রাণহানির উল্লেখ করেনি৷

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি তার রাতের ভিডিও বার্তায় বলেন, ব্যাপক ধ্বংসলীলা সত্ত্বেও দেশের সৈন্যরা বাখমুত ও সোলেদার শহরের উপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে৷ তার মতে, সোলেদারে সংঘর্ষের জের ধরে বাকি দেশে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী কিছুটা সময় পাচ্ছে৷

তিনি পশ্চিমা বিশ্বের উদ্দেশ্যে আরও অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের জন্য আবেদন করেন৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্তমান সভাপতি দেশ চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী পেত্র ফিয়ালার সঙ্গে জেলেনস্কি সে বিষয়ে আলোচনা করেন৷ সংবাদ মাধ্যমের একাংশের সূত্র অনুযায়ী ব্রিটেন ইউক্রেনে ব্যাটেল ট্যাংক পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ ফ্রান্স, জার্মানি ও অ্যামেরিকার পর পোল্যান্ডও ট্যাংক পাঠানোর বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছে৷

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল ভালেরি জালুঝনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনের উপর নতুন করে হামলার জন্য আরও সৈন্য প্রস্তুত করছে৷ তার মতে, সম্ভবত এবার রাজধানী কিয়েভের উপর সরাসরি আক্রমণ চালাতে পারে মস্কো৷

ইউক্রেনে রাশিয়ার আংশিক সামরিক সাফল্যের জন্য ইরানের পাঠানো ড্রোনকে দায়ী করা হচ্ছে৷ মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালাইভান বলেন, ইরান সম্ভবত যুদ্ধাপরাধে অবদান রাখছে৷ সে দেশের ড্রোন কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত একাধিক ব্যক্তি ও কোম্পানির উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে মার্কিন প্রশাসন৷ এবার ড্রোন উৎপাদন ও রপ্তানি বন্ধ করতে আরও পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে ওয়াশিংটন৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)