রিফিউজিদের নিয়ে ১২ চলচ্চিত্র
বিশ্বে বাড়ছে শরণার্থী সংকট৷ এ নিয়ে বিভিন্ন দেশে নির্মিত হয়েছে বেশ কিছু চলচ্চিত্রও৷ শরণার্থীদের আনন্দ-বেদনার কাব্য সেলুলয়েডের পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন অনেক নবীন প্রবীণ পরিচালক৷
‘হিউম্যান ফ্লো’
২৩টি দেশের ৪০টি শরণার্থী শিবিরের টুকরো ছবি নিয়ে এ বছর মুক্তি পায় ‘হিউম্যান ফ্লো’৷ শরণার্থীদের দুর্দশা তুলে ধরে বিশ্ববাসীর মনোযোগ আকর্ষণ করতে এ তথ্যচিত্রটি নির্মাণ করেন চীনের শিল্পী আই ওয়েওয়ে৷ ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে এ তথ্যচিত্রের প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়৷ ইতিমধ্যে জার্মানিতেও মুক্তি পেয়েছে তথ্যচিত্রটি৷
‘দ্য বোট ইজ ফুল’
নাৎসিদের অত্যাচার থেকে পালিয়ে বাঁচতে চাওয়া ছ’জনের গল্প নিয়ে ১৯৮০ সালে নির্মিত হয় এ ছবি৷ অনেকটা অভিব্যক্তি নির্ভর এ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন সুইস পরিচালক মার্কুস ইমহুফ৷
‘হোটেল রুয়ান্ডা’
বিভিন্ন দেশ থেকে ইউরোপে পালিয়ে আসা মানুষদের নিয়ে যত চলচ্চিত্র তৈরি হয়, সে তুলনায় বিভিন্ন কারণে আফ্রিকার মানুষদের উদ্বাস্তু হয়ে পড়ার বিষয়টি ততটা উঠে আসে না৷ ২০০৪ সালে নির্মিত এ চলচ্চিত্রে পরিচালক টেরি জর্জ রুয়ান্ডার গণহত্যা ও সেখান থেকে পালিয়ে আসা মানুষদের গল্প শুনিয়েছেন৷
‘রিভারব্যাংক্স’
গ্রিক পরিচালক পানোস কারকানেভাতোসের এ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় দু’বছর আগে৷ সীমান্তবর্তী নদী এভরোস পার হয়ে তুরস্ক থেকে গ্রিসে পালাতে চাওয়া শরণার্থীরা কীভাবে পাচারকারীদের খপ্পড়ে পড়ে অথবা মাইনপোতা নদীতটের ভয়াবহতা – এ সব নিয়েই নির্মিত হয়েছে এ চলচ্চিত্রটি৷
‘ওয়েলকাম’
দেশ ছেড়ে ইরাকি-কুর্দিশ এক বালকের ব্রিটেনযাত্রা এ চলচ্চিত্রের উপজীব্য৷ দেশ পালানো এ কিশোর ও তার ফরাসি সাঁতার শিক্ষকের বন্ধুত্ব ও মানবিকতার গল্প ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ফরাসি এই ছবিতে৷ ছবির পরিচালনা করেছেন ফিলিপে লিওরেট৷
‘ল্য আভ্রে’
ফ্রান্স থেকে ব্রিটেন পালিয়ে আসা এক শরণার্থী বালক ও অসফল বৃদ্ধ লেখকের বন্ধুত্বের গল্প এটি৷ চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন ফিনিশ পরিচালক আকি কাউরিসমাকি৷
‘দ্য আদার সাইড অফ হোপ’
এ চলচ্চিত্রের নায়ক এক সিরিয়ান যুবক, যিনি ঘটনাচক্রে আটকা পড়েছে হেলসিঙ্কিতে৷ শরণার্থীদের মানবিক সমস্যা নিয়ে ফিনল্যান্ডের পরিচালক আকি কাউরিসমাকির আরেকটি উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র এটি৷
‘ভিলকোমেন বাই ডেন হার্টমান্স’
জার্মান পরিচালক সিমোন ফেরহ্যোফেন এ চলচ্চিত্রে কৌতুকের মাধ্যমে করুণ এক ঘটনা তুলে ধরেছে দর্শকের কাছে৷ এতে জার্মান এক পরিবারের গল্প বলা হয়েছে, যারা একজন শরণার্থীকে নিজেদের বাড়িতে আশ্রয় দেয়৷ জার্মানির ক্রমবর্ধমান শরণার্থী সংকটের মুখে সিমোনের এ চলচ্চিত্রটি বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে৷
‘নাইটশেপস’
জার্মানিতে তখনও শরণার্থী সমস্যা জেঁকে বসেনি, সেই ১৯৯৯ সালে জার্মান পরিচালক আন্দ্রেয়া ড্রেসেন এ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন৷ অ্যাঙ্গোলা থেকে বার্লিনে আসা এক শরণার্থী কিশোরের সাথে এক জার্মান ব্যবসায়ীর অসম বন্ধুত্বের গল্প এটি৷
‘দিপান’
শ্রীলংকার এক শরণার্থী পরিবার ফ্রান্সে এসে কী করে নতুন পরিস্থিতি মোকাবেলা করে, তা নিয়েই নির্মিত হয় এই ফরাসি সিনেমাটি৷ ২০১৫ সালে কান উৎসবে ‘স্বর্ণপাম’ জয়ী এ চলচ্চিত্রের পরিচালক জাক উদিয়ার৷
‘মেডিটেরিনিয়া’
দুই আফ্রিকান যুবক দক্ষিণ ইটালিতে শরণার্থী হিসেবে প্রবেশের পর, কীভাবে প্রতিকূলতা ও সহিংসতার মুখোমুখি হয় – সেই গল্প নিয়েই বানানো হয় এ চলচ্চিত্র৷ ২০১৫ সালে ছবিটির পরিচালনা করেন জোনাস কারপিগনানো৷
‘ফায়ার অ্যাট সি’
ইটালিয়ান পরিচালক জিয়ানফ্রাংকো রোজি নির্মিত এ তথ্যচিত্রটি বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘গোল্ডেন বেয়ার’ জেতে৷ সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছাতে শরণার্থীদের মরিয়া চেষ্টা ও বেঁচে থাকার আকুতিই তুলে ধরা হয়েছে এ তথ্যচিত্রে৷