রিকার্ডো থেকে কাকা, কাকা থেকে বর্ষসেরা খেলোয়াড়
৩ জুন ২০১০কিন্তু ছোট ভাই ডিয়াগো রিকার্ডো নামটি উচ্চারণ করতে পারত না৷ তাই ‘কাকা' নামে ডাকত৷ সেই থেকে সারা বিশ্বে তিনি এখন কাকা নামেই পরিচিত৷
ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বসেরা হওয়ার স্বপ্ন দেখছে ব্রাজিল৷ আর তাতে কাকা'র উপর অনেকখানি ভরসা করছেন কোচ ডুঙ্গা৷ যদিও ইনজুরির কারণে এবার স্প্যানিশ লিগে ঠিকমত খেলতেই পারেননি কাকা৷ তবে এখন তিনি পুরোপুরি ফিট৷ তাই বিশ্বকাপে সেই তুখোড় কাকার প্রত্যাশায় রয়েছেন ব্রাজিলের সমর্থকরা৷
১৯৮২ সালে জন্ম নেয়া কাকা ফুটবল খেলা শুরু করেন মাত্র আট বছর বয়সে স্থানীয় একটি ক্লাবের হয়ে৷ সেসময় তিনি টেনিসও খেলতেন৷ ১৫ বছর বয়সে ব্রাজিলের সাও পাওলো ক্লাবের সঙ্গে তাঁর প্রথম চুক্তি হয়৷ আর সেসময়ই তিনি সিদ্ধান্ত নেন ফুটবলার হওয়ার৷ তবে তাঁর সে স্বপ্ন ভেঙে যাচ্ছিল মাত্র ১৮ বছর বয়সে৷ সুইমিংপুলে সাঁতার কাটতে গিয়ে তিনি মেরুদন্ডে সেসময় আঘাত পান৷ এই আঘাত এমনই ছিল যে, অনেকে ভেবেছিলেন তিনি পঙ্গু হয়ে যাবেন৷ তবে সে অবস্থা থেকে তিনি ফিরে আসেন৷ কাকা মনে করেন, বিধাতার কৃপাতেই তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন৷ তাই তখন থেকে তিনি তাঁর আয়ের একটা অংশ নিয়মিত চার্চে দান করে থাকেন৷ এছাড়াও বিভিন্ন সময় মানবিক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন কাকা৷ ২০০৪ সালে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থার সর্বকনিষ্ঠ দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি৷
যাক, এবার আবার ফুটবলার কাকার কথায় ফিরে আসি৷ সাও পাওলোর হয়ে খেলার সময় লাটিন আমেরিকার আর যে কোন খেলোয়াড়ের মতই কাকারও ইচ্ছা হয় ইউরোপে পাড়ি জমানোর৷ তাই ২০০৩ সালে সাড়ে আট মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে তিনি যোগ দেন এসি মিলানে৷ ইটালির এই বিখ্যাত ক্লাবের হয়ে খেলার সময়েই ২০০৭ সালে তিনি ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন৷ এরপর ২০০৯ সাল থেকে ছয় বছরের জন্য কাকা রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তি করেন৷ ঐ বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ফিফা কনফেডারেশনস কাপেও সেরা খেলোয়াড় হন কাকা৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী