রাস্তার লাইট বন্ধ, এসি ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করছে মিশর
আর্থিক দুরবস্থা থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে মিশর৷ বিদ্যুতের ব্যবহার কমানোর মাধ্যমে গ্যাস বাঁচিয়ে সেই গ্যাস বেশি দামে বিক্রি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে চাইছে সরকার৷
রাত ১১টার পর অন্ধকার
চলতি সপ্তাহ থেকে রাস্তা, চত্বর ও দোকানপাটে রাত ১১টার বন্ধ আলো বন্ধ রাখা হচ্ছে৷
এসির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ
নাগরিকদের অনেকেই এসির তাপমাত্রা ২০ এর নীচে রাখতে চান৷ কিন্তু নতুন নিয়মে তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাখতে বলা হয়েছে৷
বিদ্যুতের ব্যবহার কমানো
এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে বিদ্যুতের ব্যবহার ১৫ শতাংশ কমাতে চায় মিশর৷ সেটা সম্ভব হলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কম গ্যাস ব্যবহৃত হবে৷ সেক্ষেত্রে বাড়তি গ্যাস বিক্রি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যাবে৷ কারণ বিশ্ববাজারে এখন গ্যাসের দাম অনেক৷
গ্যাস সাশ্রয়
সিদ্ধান্ত পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে দিনে সর্বোচ্চ ১৭৪ মিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস বাঁচানো সম্ভব বলে আশা করা হচ্ছে- যা মিশরের গ্যাস রপ্তানি সক্ষমতার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ৷
নিশ্চিত নন
নাগরিকরা সরকারের সিদ্ধান্তগুলো মানছেন কিনা সেটি কীভাবে নজরে রাখা সম্ভব সে বিষয়ে নিশ্চিত নন কায়রোর একটি খেলনা দোকানের মালিক আবদেল রউফ৷ ‘‘কারণ করোনার নিয়মও শক্তভাবে বাস্তবায়ন করতে দেখা যায়নি,’’ ডয়চে ভেলেকে বলেন তিনি৷
ভর্তুকি
মিশরের জনসংখ্যা প্রায় দশ কোটি ২০ লাখ৷ এর মধ্যে প্রায় সাত কোটি মানুষ সরকারের খাদ্য ভর্তুকি কর্মসূচির উপর নির্ভরশীল৷ এর মধ্যে প্রায় তিন কোটি মানুষ দরিদ্রসীমার নীচে বাস করেন৷ এত সংখ্যক মানুষের খাবারে ভর্তুকি দিতে সরকারের অনেক অর্থের প্রয়োজন৷ তাই অর্থ আয়ের বিভিন্ন পথ খোঁজা হচ্ছে৷ এদিকে, করোনা, ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা কারণে অনেক খাবারের দাম দ্বিগুন হয়ে গেছে৷
মুদ্রার মান কমানো
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক মিশরীয় মু্দ্রার মান ১৪ শতাংশ কমিয়েছিল৷ আবারও এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ৷
বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের শর্ত
আর্থিক খাতে অনেকখানি সংস্কার ও আরও বিদেশি বিনিয়োগ ছাড়া মিশরকে আর সহায়তা করতে রাজি নয় বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল৷