1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাশিয়ায় মোদী

স্যমন্তক ঘোষ নতুন দিল্লি
১৭ জানুয়ারি ২০২০

আগামী মে মাসে রাশিয়ায় যাওয়ার কথা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। যোগ দেওয়ার কথা জাতীয় প্যারেডে।

https://p.dw.com/p/3WLy4
ছবি: picture-alliance/dpa/TASS/V. Sharifulin

রাশিয়ায় জাতীয় কুচকাওয়াজে অংশ নেবে ভারত। উপস্থিত থাকবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে ঘোষণা করলেন রুশ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি টোটারভ।

৯ মে রাশিয়ায় জাতীয় প্যারেড বা কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। রুশ সেনারা তাতে অংশ নেন। প্রদর্শিত হয় রুশ সামরিক শক্তি। সাধারণত প্রতি বছরই পৃথিবীর কোনও না কোনও দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে তাতে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে এই প্রথম তাতে অংশ নেবেন মোদী। টোটারভ একই সঙ্গে জানিয়েছেন, ভারতীয় সেনাদের একটি প্রতিনিধি দলও ওই কুচকাওয়াজে অংশ নেবেন। এ এক বিরল ঘটনা।

বিশ্ব রাজনীতির মানচিত্রে এখন ভারতের সঙ্গে অ্যামেরিকার সম্পর্ক মধুর। ডনাল্ড ট্রাম্প এবং মোদীর সম্পর্ক বহুল আলোচিত। বস্তুত, অ্যামেরিকার সঙ্গে এই সম্পর্কের ফলও পাচ্ছেন মোদী। ভারতে তাঁর সরকার একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নেওয়া সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক বিশ্ব, বিশেষত অ্যামেরিকা তা নিয়ে কার্যত কোনও মন্তব্য করছে না। বরং ভারত সরকারের পাশেই দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে অ্যামেরিকার শত্রুতা পুরনো। মধ্যপ্রাচ্যে সম্প্রতি যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতেও অ্যামেরিকা এবং রাশিয়া ভিন্ন মেরুতে। তুরস্ক এবং সিরিয়ার বিষয়েও চিত্রটি একই রকম। জাতিসঙ্ঘে দু'দেশের লড়াই নতুন কিছু নয়। এমন পরিস্থিতিতে মোদী কি পুতিন এবং  ট্রাম্প দু'জনের সঙ্গেই ক্ষমতার ভারসাম্য তৈরি করতে চাইছেন?

ঐতিহাসিক ভাবে সেই সোভিয়েত আমল থেকেই ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক ভাল। জওহরলাল নেহরু কিংবা ইন্দিরা গাঁন্ধীরা বরাবরই রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। কিন্তু মোদী কী ভাবে রাশিয়া এবং অ্যামেরিকা দু'জনের সঙ্গেই সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষা করবেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য, মোদীর এই পদক্ষেপ ভারতীয় পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।

ডয়চে ভেলের দিল্লি প্রতিনিধি স্যমন্তক ঘোষ
স্যমন্তক ঘোষ ডয়চে ভেলে, দিল্লি ব্যুরো