1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

২৩ ব্রিটিশ কূটনীতিক বহিষ্কার

১৭ মার্চ ২০১৮

রাশিয়া থেকে ২৩ জন ব্রিটিশ কূটনীতিককে নিজ দেশে ফেরত যেতে হবে বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷ লন্ডনে রুশ গুপ্তচরকে বিষ খাওয়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাশিয়া ও ব্রিটেনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে৷ 

https://p.dw.com/p/2uWBu
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Matthews

শনিবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ব্রিটিশ কাউন্সিলের সব কার্যক্রম বন্ধের পরিকল্পনা করছে৷ এক সপ্তাহের মধ্যে ২৩ জন ব্রিটিশ কূটনীতিককে মস্কো ছাড়তে হবে বলেও জানানো হয়েছে সেখানে৷ এছাড়া, সেন্ট পিটার্সবুর্গ শহরে ব্রিটিশ কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ মস্কোতে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত ল্যরি ব্রিস্টোকে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে রুশ সরকারের এসব সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ 

ব্রিস্টো চলে যাওয়ার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, লন্ডন আরও বৈরি কোনো পদক্ষেপ নিলে তারাও সেটার জবাব দিবে৷ ব্রিটেনের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছে তারা৷ বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাশিয়া আগামীতে আরও কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে ব্রিটেনের বিরুদ্ধে৷ 

ব্রিটেনের মাটিতে সাবেক এক রুশ গোয়েন্দা ও তাঁর মেয়েকে বিষ খাইয়ে হত্যা চেষ্টার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছে ব্রিটেন৷ সেই থেকেই দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে৷ গত বুধবার ব্রিটিশ সংসদে দেয়া বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে ২৩ জন রুশ কূটনীতিককে এক সপ্তাহের মধ্যে ব্রিটেন ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন৷ 

এছাড়া রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভকে দেয়া লন্ডন সফরের আমন্ত্রণও বাতিল করা হয়েছে৷ দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের যেসব বৈঠক হওয়ার কথা সেগুলোও স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন টেরেসা মে৷ আর জুন-জুলাই মাসে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ফুটবল বিশ্বকাপের সময় সেখানে কোনো মন্ত্রী কিংবা রাজ পরিবারের কোনো সদস্যকে পাঠাবে হবে না বলেও জানান তিনি৷

উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ সাবেক রুশ গোয়েন্দা সের্গেই স্ক্রিপাল ও তাঁর মেয়েকে ব্রিটেনের সলসবেরি শহরের রাস্তার পাশে এক বেঞ্চে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়৷ এরপর তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ দু’জনের অবস্থা এখনও সংকটজনক, তবে স্থিতিশীল বলে জানা গেছে৷ তাঁদের শরীরে ‘নোভিচক’ নামে একটি ‘নার্ভ এজেন্ট’ ব্যবহার করা হয় বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী৷ 

সের্গেই স্ক্রিপাল রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্নেল ছিলেন৷ পরে তাঁর বিরুদ্ধে ব্রিটেনের এম১৬ গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে রুশ গোয়েন্দা এজেন্টদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছিল৷ এরপর ২০১০ সালে লন্ডন ও মস্কোর মধ্যে গোয়েন্দা বিনিময় চুক্তির আওতায় সের্গেই স্ক্রিপাল ব্রিটেনে গিয়েছিলেন৷

এপিবি/এসিবি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)