1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাশিয়ার উপর আরো নিষেধাজ্ঞার প্রস্তুতি

৪ মে ২০২২

ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন মস্কোর উপর মোট পাঁচ বার একগুচ্ছ কড়া নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে৷ এবার ষষ্ঠ দফার নিষেধাজ্ঞার খসড়া প্রস্তুত করা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/4Ao1h
Russland Moskau | Wladimir Putin
ছবি: Kremlin Press Service/Handout/AA/picture alliance

 এর আওতায় আগস্ট মাসের মধ্যেই রাশিয়া থেকে পেট্রোলিয়াম আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করার তোড়জো়ড় করছে ইইউ কমিশন৷

হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়ার আপত্তি সত্ত্বেও সেই উদ্যোগ ধীরে ধীরে স্পষ্ট রূপ পাচ্ছে৷ এই দুই দেশ সমুদ্র উপকূলের অভাবে সহজে পেট্রোলিয়ামের বিকল্প উৎসের নাগাল না পাওয়ায় আপাতত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি চালিয়ে যেতে কিছু ছাড় পেতে পারে৷ নিয়ম মেনে সর্বসম্মতিক্রমে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর লক্ষ্যে বুধবার থেকে ইইউ রাষ্ট্রদূতরা ব্রাসেলসে আলোচনা শুরু করছেন৷ ঐক্যমত অর্জিত হলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চায় ইইউ৷

কড়া পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ধাক্কা সামলে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন যে এখনো যুদ্ধ চালিয়ে যাবার আর্থিক বল পাচ্ছেন, তার পেছনে জ্বালানি রপ্তানি বাবদ আয় একটা বড় ভূমিকা পালন করছে৷ সিআরইএ নামের এক সংগঠনের হিসেব অনুযায়ী ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হবার পরেও ইইউ দেশগুলি রাশিয়া থেকে প্রায় ৪,৪০০ কোটি ইউরো মূল্যের জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানি কিনেছে৷ ব্র্যুগেল নামের আর এক সংগঠনের সূত্র অনুযায়ী ইইউ এখনো প্রতিদিন রাশিয়া থেকে ৪৫ কোটি ইউরো মূল্যের পেট্রোলিয়াম ব্যবহার করছে৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন দফার নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আরও কিছু কোম্পানি ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে৷ রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ব্যাংক ‘সবেরবাংক' ও অন্য দুটি ব্যাংক এই তালিকায় রয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা ডিপিএ দাবি করছে৷ সে ক্ষেত্রে এই ব্যাংকগুলি আর আন্তর্জাতিক লেনদেনের জন্য ‘সুইফট' প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে না৷ ইচ্ছাকৃতভাবে ভুয়া খবর পরিবেশনের জন্য দুটি টেলিভিশন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে৷

রাশিয়া থেকে পেট্রোলিয়াম আমদানি বন্ধ করলে ইউরোপকেও কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে বলে বিশেষজ্ঞ ও রাজনীতিকরা স্পষ্ট করে দিচ্ছেন৷ জার্মানির অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী ও ভাইস চ্যান্সেলর রোব্যার্ট হাবেক বলেন, বিকল্প উৎস থেকে যে তেল আমদানি করতে হবে, তার মূল্য অনেক বেশি৷ তাছাড়া বর্তমানে ইউরোপে শোধনাগার, পাইপলাইন ও তেল সরবরাহের যে নেটওয়ার্ক আছে, তার একটা উল্লেখযোগ্য অংশ নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে৷ ফলে শেষ পর্যন্ত পেট্রোল-ডিজেলের মূল্য আরও কতটা বাড়বে, তা বলা কঠিন৷ আগামী শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য প্রয়োজনীয় তেলের দামও বাড়বে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ জার্মানির মতো দেশের সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে কিছু সাময়িক পদক্ষেপ নিলেও অর্থনীতির উপর দীর্ঘমেয়াদী ধাক্কার আশঙ্কা রয়েছে৷ করোনা সংকটের সময়ে ইইউ যেভাবে সম্মিলিত উদ্যোগ নিয়েছিল, এ ক্ষেত্রেও তেমন পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন ইটালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাগি৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য