রাশিয়া-ইউক্রেন বন্ধুত্বের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা হলো
ইউক্রেনের কিয়েভে রাশিয়া-ইউক্রেন বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে নির্মিত একটি ভাস্কর্য মঙ্গলবার ভেঙে ফেলা হয়েছে৷ রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করায় এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিচকো৷
শুরুর কথা
সোভিয়েত ইউনিয়নের ৬০ বছর পূর্তিতে কিয়েভে ১৯৮২ সালে ‘পিপলস ফ্রেন্ডশিপ আর্চ’ নামের একটি তোরণ নির্মাণ করা হয়েছিল৷ তার নীচে ছিল আট মিটার উঁচু একটি ব্রোঞ্জের ভাস্কর্য, যেটাতে একজন ইউক্রেনীয় ও একজন রুশ নাগরিককে দেখা যেত৷ রাশিয়া-ইউক্রেন বন্ধুত্বের প্রতীক ছিল এটি৷
ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত
রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করায় ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিচকো৷ তিনি বলেন, ‘‘এখন আমরা দেখছি ‘ফ্রেন্ডশিপ’ বলতে কী বোঝায় -ইউক্রেনের শহর ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে... হাজার হাজার শান্তিপ্রিয় মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে৷’’
ভাঙা শুরু
মঙ্গলবার ভাস্কর্যটি ভাঙা শুরু হয়৷ সেটি দেখতে প্রায় ১০০ সাধারণ নাগরিক জড়ো হয়েছিলেন৷ তারা ‘ইউক্রেনের জয়’ বলে স্লোগান দিয়েছেন৷
‘আমরা কি রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে পারি?’
সেরিয়ে মিরোরোডস্কি নামের একজন ডিজাইনার বলেন, ‘‘রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরু করেছে... আমরা কি রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে পারি? আপনার কী মনে হয়? তারা আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু৷ সে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন বন্ধুত্বের ভাস্কর্য আর কোনো অর্থ বহন করে না৷
‘কোনো সম্পর্ক রাখা উচিত নয়’
ডায়ানা নামের আরেকজন জানান, ‘‘আমাদের ঐ হামলাকারীদের সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্ক রাখা উচিত নয়.. বন্ধুত্ব, সম্পর্ক কোনো কিছুই নয়৷’’
তোরণের নাম পরিবর্তন
কিয়েভের মেয়র জানিয়েছেন ‘পিপলস ফ্রেন্ডশিপ আর্চ’ থাকবে৷ তবে এর নাম পরিবর্তন করে ‘আর্চ অফ ফ্রিডম অফ দ্য ইউক্রেনিয়ান পিপল’ করা হবে বলে জানান তিনি৷