1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রানি এলিজাবেথকে নিরাপদ স্থানে সরানোর প্রস্তুতি!

৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

যদি ব্রেক্সিট সংকটে দাঙ্গার পরিস্থিতি হয়, তবে ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্যদের নিরাপদে গোপন স্থানে সরিয়ে নেয়া হবে৷ রবিবার ব্রিটিশ গণমাধ্যমে তার প্রস্তুতির খবর প্রকাশিত হয়েছে৷ তবে ব্রেক্সিট এখনো চুক্তি অনিশ্চিত৷

https://p.dw.com/p/3CgOC
UK Brexit l Queen Elisabeth mit Europa-Hut
ছবি: Getty Images/AFP/T. Melville

এখন পর্যন্ত ব্রেক্সিট চুক্তি অনিশ্চিত হলেও  ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রশ্নে অনঢ় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে৷ নো-ডিল ব্রেক্সিট নিয়ে ইতোমধ্যে ব্যবসায়ী, সাধারণ জনগণ ও সরকারের মধ্যে দ্বন্দ্ব স্পষ্ট৷ এই কারণে দাঙ্গার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ এ কারণেই  রানি দ্বিতীয় এলিজানেথ ও পুরো রাজপরিবারকেগোপনে লন্ডনের বাইরে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে৷ আর এর মধ্য দিয়ে স্নায়ু যুদ্ধকালীন রাজপরিবারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হতে যাচ্ছে৷

খ্যাতনামা ব্রিটিশ দৈনিক সানডে টাইমসের সংবাদে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মন্ত্রীর বরাত দিয়ে বলা হয়, স্নায়ু যুদ্ধকালীন সময় থেকেই ব্রিটেনে জরুরি স্থানান্তর পরিকল্পনা চালু রয়েছে৷ এখন ব্রেক্সিট নিয়ে কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো না গেলে দাঙ্গার মতো যে-কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বা  নৈরাজ্য তৈরি হতে পারে৷ এ কারণে জরুরি স্থানান্তর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে৷ তিনি এই পরিকল্পনাকে সঠিক ও যৌক্তিক বলে দাবি করেছেন৷

‘দ্য মেইল'ও একই সংবাদ প্রকাশ করেছে৷

১৯৬২ সালে কিউবার  ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময়ও রাজপরিবারকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল৷ সেই পরিকল্পনাকেই এবার বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছে এই দুই সংবাদমাধ্যম৷

তবে রাজপরিবার আদৌ লন্ডন ছাড়বে কিনা সে বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত নয় কেউই৷ এদিকে ব্রিটিশ রক্ষণশীল এমপি ও ব্রেক্সিটের কড়া সমর্থক জ্যাকব রেস মগ  দ্য মেইল অন সানডেকে বলেছেন, তিনি মনে করেন, রাজপরিবারকে নিয়ে ওই পরিকল্পনকারী সরকারি কর্মকর্তারা অহেতুক ভয় পাচ্ছেন৷ কারণ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় টানা ৮ মাসের বোমাবর্ষণের সময়ও রাজপরিবারের প্রবীণ সদস্যরা লন্ডনেই ছিলেন৷ তখন কেউই প্রাসাদ ত্যাগ করেননি৷ উল্লেখ্য, আগামী ২৯ মার্চের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার চুক্তি ‘ব্রেক্সিট' কার্যকর হবে৷ তার আগে পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে ইইউ'র সঙ্গে চুক্তির লক্ষ্যে সংসদ সদস্যদের সমর্থন পাওয়ার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ব্রিটিশ সরকার৷ ইইউ'র সঙ্গে শেষ পর্যন্ত কোনো ধরনের চুক্তি ছাড়াই বেরিয়ে যেতে হতে পারে ব্রিটেনকে৷ তবে চুক্তি হবেই এমন নিশ্চয়তাদিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে৷

রবিবার ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমে রাজপরিবারের সংবাদ ছাড়া আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ আলোচনায় ছিল৷ সেটি হচ্ছে, জাপানি গাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান নিসান ইতোমধ্যে ব্রেক্সিট নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে৷ ব্রিটিশ গাড়ি নির্মাণ শিল্পে ৩০ শতাংশ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানটি দাবি করে শুধুমাত্র এই অস্থিতিশীলতার কারণে নতুন এসইউভি মডেলের নতুন পণ্য প্রস্তুত ব্যহত হচ্ছে৷

নিসান ছাড়াও কয়েক ডজন ব্রিটিশ ও বহুজাতিক কোম্পানি জানিয়েছে, যদি ব্রিটেন ইইউ'র সঙ্গে কোনো চুক্তি করতে ব্যর্থ হয়, তবে তারা বিনিয়োগ নিয়ে দ্বিতীয়বার ভাববে৷ অনেক কোম্পানি সরাসরি ব্রিটেনে বাণিজ্য বন্ধের হুমকিও দিয়ে রেখেছে৷

নিক মার্টিন/এফএ 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য