1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রানা প্লাজার সোহেল রানা আদালতে অনুপস্থিত কেন?

১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২

রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় হত্যা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের দ্বিতীয় দিনে প্রধান আসামি কারাগারে বন্দি সোহেল রানাকে আদালতে হাজির না করার কারণ দর্শাতে বলেছেন ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ কারা কর্তৃপক্ষকে৷

https://p.dw.com/p/479Qc
ছবি: bdnews24.com

বিচারক এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূইয়া বুধবার সোহেল রানাকে আদালতে হাজির না করার কারণ জানানোর  নিদেশ দেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিমল সমাদ্দার ডয়চেভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন৷

গত ৩১ জানুয়ারি মামলাটির বাদী সিআইডির ওয়ালী আশরাফ ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন৷ বিমল সমাদ্দার বলেন, ‘‘বুধবার বাদী আদালতে হাজির থাকলেও সোহেল রানাকে হাজিরে ব্যর্থতায় বিচারক আজ সাক্ষ্য নিতে পারেননি৷ আইন অনুযায়ী আসামিদের সামনে সাক্ষ্য করার নিয়ম রয়েছে৷’’ এর আগের সাক্ষ্য নেওয়ার সময় সোহেল রানাকে কারাগার থেকে আনতে না পারায় তার সঙ্গে কারাগারে ভার্চুয়ালি যোগাযোগ করা হয়৷  

আদালত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বিডিনিউজ টায়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আগামী ১৬ মার্চ সাক্ষী (বাদী) ওয়ালী আশরাফ, আরও দুই সাক্ষী মো. ইকরামুল হক, মোসা. শিউলি আক্তারকে আদালতে হাজির হতে সমন পাঠানোর আদেশ দেওয়া হযেছে৷

জামিনে থাকা আসামি জান্নাতুল ফেরদৌস, আনিসুর রহমান ওরফে আনিসুজ্জামান, মো. জামশেদুর রহমান, মো. ইউসুফ আলী, উত্তম কুমার রায়, নয়ন মিয়া, মো. বেলায়েত হোসেন, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. আব্দুস সালাম, বিদ্যুৎ, মো. মধু, মো. রকিবুল হাসান রাসেল, মো. রফিকুল ইসলাম, মাহমুদুর রহমান তাপস, মো. আওলাদ হোসেন বুধবার আদালতে হাজিরা দেন৷ জামিনে থাকা মর্জিনা বেগম, মো. সারোয়ার কামাল, অনিল দাসের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা আদালতে হাজির থাকতে পারেননি বলে সময় চেয়েছেন৷

এ মামলার আসামি রানার বাবা মো. আব্দুল খালেক ওরফে খালেক কুলু ও আতাউর রহমান মারা গেছেন৷ আসামি রেফাত উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রমে হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ ছিল৷

আসামি মাহবুবুর রহমান, ফারজানা ইসলাম, মো. শফিকুর ইসলাম ভূইয়া, মনোয়ার হোসেন বিপ্লব, সৈয়দ শফিকুল ইসলাম জনি, রেজাউল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম, নান্টু কনট্রাকটর, আবু বকর সিদ্দিক, মো. আবুল হাসান, মোহাম্মদ আলী খান, বজলুল সামাদ পলাতক৷ রাষ্ট্রপক্ষের আরেক আইনজীবী মিজানুর রহমান বিডিনিউজকে জানান, অভিযোগ গঠনের পরপরই আটজন আসামি উচ্চ আদালতে গিয়ে মামলাটি স্থগিতের আবেদন করলে তাদের ছয়জনের আবেদন নিষ্পত্তি হয়েছে ৷ দুই আসামি সাভার পৌরসভার সাবেক মেয়র রেফাত উল্লাহ এবং সাবেক কমিশনার হাজি মোহাম্মদ আলীর পক্ষের আবেদন নিষ্পত্তি হয়নি৷ 

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আটতলা রানা প্লাজা ধসে নিহত হন এক হাজার ১৩৫ জন; প্রাণে বেঁচে গেলেও পঙ্গুত্ব  বরণ করতে হয় হাজারখানেক পোশাক শ্রমিককে৷

বিশ্বকে নাড়া দেওয়া সেই ঘটনার দিনই সাভার থানায় দুটি মামলা হয়৷ পরের বছর আরেকটি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন৷ প্রথমটিতে হতাহতের ঘটনা উল্লেখ করে ভবন ও কারখানা মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা করেন সাভার মডেল থানার এসআই ওয়ালী আশরাফ৷

‘অবহেলা ও অবহেলাজনিত হত্যার' অভিযোগে মামলা দায়ের করার দুই বছর পর ২০১৫ সালের ২৬ এপ্রিল সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার বিজয়কৃষ্ণ কর ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন৷ মামলায় সাক্ষী করা হয় ৫৯৪ জনকে৷

ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এস এম কুদ্দুস জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই৷

এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

২০১৯ সালের ছবিঘরটি দেখুন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য