রাদুকানু : ইউএস ওপেনে এলেন, খেললেন, জয় করলেন
ইউএস ওপেন শুরুর ১৭ দিন আগেও গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্টে খেলা ছিল আজন্ম লালিত স্বপ্ন৷ ১৭ দিনে সবার জন্য যা ছিল অসম্ভব, তা-ই সম্ভব করে ইতিহাস গড়লেন এমা রাদুকানু। বিস্তারিত ছবিঘরে...
প্রথম গ্র্যান্ড স্লামেই বাজিমাত
বয়স মাত্র ১৮৷ আসর শুরুর আগে বাছাইপর্ব পেরিয়ে এবারের ইউএস ওপেনের মূল আসরে খেলতে পারবেন- এ বিশ্বাস রাদুকানুরও ছিল কিনা সন্দেহ৷ কিন্তু ব্রিটেনের তরুণী শুধু বাছাইপর্ব পেরোননি, একে একে সব প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিয়ে পৌঁছে গেছেন স্বপ্নের ঠিকানায়৷
অপ্রতিরোধ্য রাদুকানু
সব প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিয়েছেন- বলায় মোটেই অত্যুক্তি নেই, কারণ, প্রথম রাউন্ড শুরুর পাঁচ দিন আগে তিন ম্যাচ জিতে বাছাইপর্ব পেরিয়েও অক্লান্ত এই ব্রিটিশ তারকা ফাইনালের আগের কোনো ম্যাচে কোনো সেটই হারেননি!
দুই অবাছাইয়ের ফাইনাল
শনিবারের ফাইনালে রাডুকানুর প্রতিপক্ষ ছিলেন নাওমি ওসাকা, আঞ্জেলিক কেরবারের মতো তারকাদের হারিয়ে আসা লায়লা ফার্নান্দেজ৷ ক্যানাডার লায়লাও অবাছাই৷ তাই তারও সামনেও ছিল প্রথম অবাছাই হিসেবে মেয়েদের একক জিতে ইতিহাস গড়ার সুযোগ৷ কিন্তু রাডুকানু সেই সুযোগ দেননি৷ দুই টিনএজারের ফাইনালটা তিনি জিতে নেন ৬-৪, ৬-৩ গেমে, যার মানে পুরো আসরেই কোনো সেট হারেননি রাডুকানু৷
ব্রিটেনের অপেক্ষার অবসান
এর আগে নারী বা পুরুষদের কোনো গ্র্য্যান্ড স্ল্যাম একক ফাইনালই দুজন অবাছাইকে দেখেনি৷ এমন অনন্য ফাইনাল জিতে গ্র্যান্ড স্ল্যামের ইতিহাসে বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে শিরোপা জয়ের ইতিহাস গড়েন রাডুকানু৷ সেই সুবাদে ৪৪ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটে ব্রিটেনের৷ ১৯৭৭ সালে ভার্জিনিয়া ওয়েড উইম্বলডন জেতার পর এই প্রথম কোনো মেজরের শিরোপা জিতলেন কোনো ব্রিটিশ নারী৷
আরো রেকর্ড...
নভেম্বরে ১৯ বছর পূর্ণ হবে রাদুকানুর৷ তার দু মাস আগে রাশিয়ার মারিয়া শারাপোভার পর সবচেয়ে কম বয়সে গ্র্যান্ড স্ল্যাম একক জয়ের রেকর্ডোও নাম লিখিয়েছেন তিনি৷ ২০০৪ সালে ১৭ বছর বয়সে উইম্বলডন জিতেছিলেন শারাপোভা। এছাড়া লায়লা ফার্নান্দেজকে হারিয়ে সেরেনা উইলিয়ামসকেও ছুঁয়েছেন রাদুুকানু৷ ২০১৪ সালে সেরেনা যেভাবে প্রথম নারী হিসেবে কোনো সেট না হেরে ইউএস ওপেন জিতেছিলেন, রাদুকানুও ঠিক সেইভাবে জিতলেন এবার৷