1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাজস্থানে মরুভূমিতে তুষারপাত!

১৭ ডিসেম্বর ২০১৯

সকলকে বিস্মিত করে আচমকাই বরফ পড়ল রাজস্থানের মরুভূমিতে। এমন ঘটনা এই প্রথম বলেই দাবি আবহাওয়া দফতরের। তবে মরুভূমিতে বরফ দেখে চরম খুশি স্থানীয় মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়া ভরে গিয়েছে সেই ছবিতে।

https://p.dw.com/p/3UwdL
প্রতীকী ছবিছবি: picture-alliance/dpa/Q. Top

সোনার কেল্লা ছবিতে ফেলুদার সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতে লালমোহনবাবুর প্রশ্ন ছিল, 'রাজস্থান মে ডাকু হ্যায় ইয়া নেহি হ্যায়?' ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে লালমোহনবাবু থাকলে হয়তো সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন ছোড়ার মতো চোখ পাকিয়ে জিজ্ঞেস করতেন, 'রাজস্থানে বরফ পড়ে না পড়ে না?'

স্বাভাবিক উত্তর পড়ে না। কিন্তু সময়ে সময়ে গল্পের গরু যেমন গাছেও চড়ে, তেমনই বরফের দেখা মেলে ধূসর রাজস্থানের মরুভূমিতে। ডিসেম্বর পড়তে না পড়তেই আচমকাই বরফের চাদরে ঢেকে গেল রাজস্থানের নাগৌর। রাস্তাঘাটের মেটে রং নিমেষে বদলে গেল ধপধপে সাদায়। 

মরুপ্রধান রাজস্থানে বৃষ্টি দেখার বিশেষ সুযোগ মেলে না। বছরে মাত্র কয়েক দিনই আকাশে মেঘের দেখা পাওয়া যায়। তাও সর্বত্র নয়, রাজ্যের কোনও কোনও এলাকায়। সেখানে তুষারপাত কল্পনারও অতীত। বস্তুত রাজস্থানের এত দিনের ইতিহাসে এমন ঘটনা কখনও ঘটেনি। ফলে আচমকা বরফ পড়তে দেখে প্রথমে অবাক হয়ে যান স্থানীয় মানুষ। তারপরেই শুরু হয় ছবি তোলার ধুম। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড হতেই দ্রুত তা ভাইরাল হয়ে যায়।

আবহাওয়া দফতর অবশ্য জানিয়েছে, তুষারপাত বলতে যা বোঝায়, রাজস্থানে ঠিক তেমনটা ঘটেনি। শিলাবৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সেই বৃষ্টির পরিমাণ এতটাই বেশি ছিল যে, চারিদিক সাদা হয়ে যায়। রাজস্থানের নিরিখে এই ঘটনাও ষথেষ্ট আশ্চর্যের। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, একদিনের এই বরফপাতে সাধারণ মানুষের আনন্দ হলেও এ ঘটনা চিন্তার। এর থেকেই প্রমাণ হয় বিশ্ব উষ্ণায়ন আবহাওয়ার স্বাভাবিক প্রকৃতি কী ভাবে বদলে দিচ্ছে।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, টাইমস নাও, এনডিটিভি)