রাজপথে বিধ্বস্ত শ্রমিকের দল
ভারতের লকডাউন কেড়ে নিয়েছে তাঁদের কাজ। ঘরহীন, খাদ্যহীন শ্রমিকের দল এখনও লড়াই চালাচ্ছেন ঘরে ফেরার।
দিল্লির রাজপথ
না, কোনও মিছিল নয়। রাজনৈতিক দলের সভাও নয়। ওঁরা দাঁড়িয়ে আছেন ঘরে ফেরার জন্য। করোনার লকডাউন তাঁদের কাজ কেড়ে নিয়েছে। খাওয়ার পয়সা নেই। তাই বাড়ি ফিরে যেতে চান ওঁরা।
ওঁরা পরিযায়ী শ্রমিক
ভারতের বিভিন্ন শহরে কাজের আশায় ঘুরে বেড়ান এই পরিযায়ী শ্রমিকেরা। পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা, বিহার, উত্তরপ্রদেশ থেকে ভিন রাজ্যে পাড়ি জমান এই তাঁরা। দিন ভিত্তিক কাজের আশায়।
দিল্লির শ্রমিকেরা
লকডাউনে বন্ধ হয়ে গিয়েছে কাজ। দিল্লিতে আটকে পড়েছেন কয়েক লক্ষ শ্রমিক। কেউ পায়ে হেঁটে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন হাজার মাইল দূরের বাড়ি। পথে মৃত্যুও হয়েছে অনেকের।
শেষ আশা
উত্তরপ্রদেশ সরকার বাসে করে তাঁদের ফিরিয়ে আনবে বলেছিল। সে কারণেই দিল্লির আনন্দ বিহার বাসস্ট্যান্ডে রাতের পর রাত অপেক্ষা করছেন কয়েক হাজার শ্রমিক।
যাওয়া হবে না
শ্রমিকদের জমায়েত দেখে টনক নড়েছে সরকারের। কেন্দ্র জানিয়েছে, শ্রমিকদের বিনামূল্যে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। দেওয়া হবে খাবার। আপাতত তাঁরা যেখানে আছেন, সেখানেই নিরাপদে থাকতে পারবেন।
এত সময় লাগলো কেন
বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে, শ্রমিকদের কথা বুঝতে এত সময় লাগলো কেন? কেন অভুক্ত অবস্থায় পথ হাঁটার সময় পুলিশ লাঠি চালালো তাঁদের উপর? কেন মরতে হল অনেককে?
অন্য ছবি
গত কয়েক দিনে শ্রমিকদের উপর প্রবল অত্যাচার চালিয়েছে পুলিশ। তবে অন্য ছবিও আছে। কোথাও কোথাও পুলিশই তাঁদের খাবারের ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
শুধু দিল্লি নয়
শুধু দিল্লি নয়। গোটা দেশ জুড়েই এ ভাবে আটকে আছেন শ্রমিকরা। বিভিন্ন শহরে। সকলেই ফিরতে চাইছেন নিজের গ্রামে।
এরপর কী
২১ দিনের লকডাউনে না হয় খাবার পাবেন তাঁরা। আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দেবে সরকার। কিন্তু তারপর? অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হয়ে গিয়েছে। কোথায় কাজ পাবেন তাঁরা? কী ভাবে চলবে তাঁদের?
ব্যবস্থা নিক সরকার
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে নাগরিক সমাজ-- অনেকেই সরকারের কাছে আবেদন করেছেন, এই শ্রমিকদের জন্য বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করা হোক।