রাজনৈতিক কারণে ঘড়ির কাঁটায় হেরফের
সম্পর্ক উন্নত করতে উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি আবারও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে একই টাইম জোনে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ তবে রাজনৈতিক কারণে এর আগেও কিছু দেশ ঘড়ির কাঁটায় পরিবর্তন এনেছিল৷
এক দেশ, এক টাইম জোন
১৯৪৯ সালে কমিউনিস্ট পার্টি চীনে ক্ষমতায় আসার পর পুরো দেশকে এক টাইম জোনের (বেইজিং সময় - জিএমটি/ইউটিসি+ ৮ ঘণ্টা) আওতায় নিয়ে আসে৷ আগে দেশটি কয়েকটি জোনে বিভক্ত ছিল৷ এক জোনে আসার কারণে দেশটির একেবারে পশ্চিমে অবস্থিত শিনজিয়াং রাজ্যের বাসিন্দাদের শরীরের ঘড়ির কাঁটার চেয়ে একটু আগেই ঘুম থেকে উঠতে হয়৷
হিটলারের সঙ্গে সংহতি
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় স্পেনের স্বৈরশাসক ফ্রান্সিস্কো ফ্রাংকো নিরপেক্ষ (অন্তত কাগজে-কলমে) ভূমিকায় ছিলেন৷ তবে হিটলারের প্রতি সংহতি দেখাতে ফ্রাংকো ১৯৪০ সালে তার দেশের সময়সীমা জিএমটি থেকে পরিবর্তন করে নাৎসি জার্মানির মতো (কেন্দ্রীয় ইউরোপীয় সময়) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন৷
এক হওয়ার লক্ষ্যে
জাপান ১৯১০ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত কোরীয় উপত্যকা শাসন করেছে৷ সেই সময় থেকে দুই কোরিয়া জাপানের মতো একই টাইম জোনে ছিল৷ কিন্তু উত্তর কোরিয়া ২০১৫ সালে ঘড়ির কাঁটায় আধ ঘণ্টা পরিবর্তন এনেছিল৷ কারণ হিসেবে তারা ঐ টাইম জোনের সঙ্গে ঔপনিবেশিক জাপানের সম্পর্ক থাকার অভিযোগ এনেছিল৷ তবে সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় উত্তর কোরিয়া আবার জাপানের টাইম জোনে ফিরে গেছে৷
জাতীয় গর্ব
ছোট্ট দেশ নেপাল৷ প্রতিবেশী বিশাল দেশ ভারতের চেয়ে নিজেদের আলাদা করতে ঘড়ির কাঁটা ভারতের চেয়ে ১৫ মিনিট এগিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নেপাল৷ এর ফলে নাগরিকরা নিজেদের পৃথক ভেবে গর্বও অনুভব করতে পারবে বলে মনে করেছে দেশটি৷
সবচেয়ে বড় পরিবর্তন
২০১১ সালে প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র সামোয়া ঘড়ির কাঁটা ২৪ ঘণ্টা এগিয়ে নেয়৷ এর ফলে দেশটির সময়সীমা এখন অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে তিন ঘণ্টা এগিয়ে৷ আগের হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ২১ ঘণ্টা পিছিয়ে ছিল৷ উনবিংশ শতাব্দীর এক রাজা ঐ সময়সীমা প্রবর্তন করেছিলেন৷ দেশকে যুক্তরাষ্ট্রঘেঁষা করতে ঐ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি৷ নতুন সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দেশটি অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে চেয়েছে৷