1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তানের নারী

৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

আফগানিস্তানে নারী নির্যাতন বিরোধী নতুন একটি আইন হতে যাচ্ছে৷ প্রথমে শুনে খবরটা আনন্দের মনে হলেও, আসলে হতে যাচ্ছে উল্টোটাই৷ আইনটি অনুমোদন হলে আফগান নারীরা কিন্তু আইনি সহায়তা থেকে বঞ্চিতই হবেন৷

https://p.dw.com/p/1B2hG
ছবি: Getty Images

নতুন এই আইনটির কথা মঙ্গলবার জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷ সেখানে বলা হয়েছে, এই আইনটি অনুমোদন হলে হয়রানির প্রতিরোধে আইনি সহায়তা থেকে একরকম বঞ্চিত হবেন নারীরা৷ এরই মধ্যে পার্লামেন্টে উচ্চ ও নিম্ন কক্ষে আইনের খসড়াটি পাস হয়েছে৷ তবে আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এতে সই না করায় খসড়াটি এখনও আইনে পরিণত হয়নি৷ আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই অবশ্য এটি প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানো হবে৷

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, নতুন এই আইন কার্যকর হলে সম্ভাব্য অপরাধী এবং নির্যাতনের শিকার কোনো নারীর আত্মীয়কে আইনজীবীরা জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন না৷ অর্থাৎ পারিবারিক নির্যাতনের শিকার নারী, যাঁকে শিশু বয়সে বিয়ে দেয়া হচ্ছে বা হয়েছে, বা যাঁর ওপর নির্যাতন করা হয়েছে, তাঁর পরিবারের সদস্যদের সামনে ঘটনাটি ঘটলেও তাঁরা সাক্ষ্য দিতে পারবেন না৷

এর ফলে নির্যাতিতের পক্ষে যাঁরা লড়বেন তাঁদের জন্য আইনি প্রক্রিয়াটা ভীষণ জটিল হয়ে দাঁড়াবে৷ হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস সম্ভাব্য এই আইনের একটা অন্য জটিলতাও তুলে ধরেছেন৷ তিনি জানান, এটা যদি আইনে পরিণত হয়, তবে আত্মীয়দের দ্বারা নিগৃহীত নারীরা আইনি সহায়তা থেকে বঞ্চিত হবেন৷ কেননা এমন অনেক আত্মীয় আছেন, যাঁরা কেবল নির্যাতনই নয় নারীদের পাচার ও বিক্রির সাথেও জড়িত ৷

নিউ ইয়র্কভিত্তিক এই সংস্থাটি জানায়, আফগানিস্তানে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা নির্মূল বা ইভিএডাব্লিউ-এর যে আইনটি রয়েছে, নতুন আইনটি আসলে তার বিরুদ্ধে যাবে৷ ২০০৯ সালে প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই কট্টরপন্থি ইসলামি নেতা এবং রাজনীতিবিদদের বিরোধিতা সত্ত্বেও ঐ আইনটি অনুমোদন করেন৷ আইনটিতে নারী নিগ্রহ, যেমন ধর্ষণ, শারীরিক নির্যাতন, বাল্য বিবাহ, জোরপূর্বক বিয়েসহ ২২টি বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল৷

এদিকে, মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, কারজাই তাঁর সরকারের সাথে তালেবান জঙ্গিদের শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের জন্য গোপনে বৈঠক করেছেন৷ তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারজাইয়ের মুখপাত্র কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি৷ তবে মুখপাত্র এটুকু জানিয়েছেন, গত দু'মাস ধরে দু'পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে, যা ইতিবাচক৷

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আগামী এপ্রিলের নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই কারজাই দেশের নানা আইন ও বিভিন্ন পদক্ষেপে পরিবর্তন আনছেন৷ এ কারণেই হয়ত তালেবানের সাথে আলোচনা এবং তার ফলস্বরূপ নারী নির্যাতন বিরোধী আইনে এই পরিবর্তন৷

এপিবি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য