1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ

১৩ এপ্রিল ২০১২

মহাজোট সরকারের অংশীদার জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে স্বচ্ছতা প্রমাণের আহ্বান জানিয়েছেন৷ এছাড়া, রেলমন্ত্রীর নাম করে পূর্বাঞ্চলীয় রেলের জিএম ১০ কোটি টাকা ঘুস আদায় করেছেন বলে অভিযোগ৷

https://p.dw.com/p/14dWj
ছবি: AP

সোমবার গভীর রাতে পিলখানা সদর দপ্তরের সামনে থেকে রেলমন্ত্রীর এপিএস ওমর ফারুক এবং পূর্বাঞ্চল রেলের জিএম ইউসুফ আলি মৃধাকে এপিএস-এর গাড়িতে ৭০ লাখ টাকাসহ আটক করে বিজিবি৷ কিন্তু মঙ্গলবার সকালে তাদের টাকাসহ ছেড়ে দেয়া হয়৷ এনিয়ে চলেছে সারাদেশে তোলপাড়৷

আর আজ, বোমা ফাটিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির নেতারা৷ তারা বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, পূর্বাঞ্চল রেলে ৭৪০০ কর্মচারী নিয়েগে কোটি কোটি টাকার ঘুস বাণিজ্য হয়েছে৷ সর্বশেষ ট্রেড অ্যাপ্রেনটিস নিয়োগে পূর্বাঞ্চল রেলের জিএম ইউসুফ আলি মৃধাকে মন্ত্রীর নামে ১০ কোটি ঢাকা ঘুস আদায় করেছেন৷ প্রতিজনের কাছ থেকে ২/৩ লাখ টাকা করে নেয়া হয়েছে৷ তবে তারা জানে না রেলমন্ত্রী নিজে এই টাকা নিয়েছেন কিনা৷ সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক মোখলেসুর রহমান জানান, তদন্ত করলে সব বেরিয়ে আসবে৷ সোমবার রাতে জিএম ইউসুফ আলি মৃধা এপিএস-এর গাড়িতে ছিলেন৷

এদিকে, ঢাকায় এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মহাজোট সরকারের অংশীদার জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি বলেছেন, রেলওয়েতে যে দুর্নীতির তথ্য বেরিয়ে এসেছে সরকারকে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে৷ আর রেলমন্ত্রীকে তাঁর স্বচ্ছতা প্রমাণ করতে হবে৷

অন্যদিকে, বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রেলমন্ত্রণালয়ে দুর্নীতির বিষয়টি এখন সবার কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে৷ তাই এটা নিয়ে আর চক্রান্ত খোঁজার কোনো মানে হয়না৷ আর বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, রাজনীতিবিদদের মুখ রক্ষায় এখন রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত৷

রেলমন্ত্রীর এপিএস-এর গাড়িতে ৭০ লাখ টাকার ঘটনার পরদিন থেকে এপিএস-এর গাড়ির ড্রাইভার আলী আযমের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছেনা৷ আলী আযমই টাকা ভর্তি গাড়িটি সোমবার রাতে হঠাৎ করে পিলখানা বিজিবি সদর দপ্তরের ভিতের ঢুকিয়ে দিয়েছিল৷ পুলিশ জানিয়েছে, তাদের কাছে ড্রাইভারকে হস্তান্তর করা হয়নি৷ সংবাদ মাধ্যমে খবর বেরিয়েছে যে, ছাড়া পাওয়ার পর এপিএস ওমর ফারুক ঐ ৭০ লাখ টাকা তাঁর মার্কেন্টাইল ব্যাংকে জমা রেখেছেন৷ আর ব্যাংক ওই টাকা জমা নেয়ার পর, তাকে অস্বাভাবিক লেনদেন হিসেবে দেখিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে রিপোর্ট করেছে৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য