1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাজধানীতে বিক্ষোভ শুরু, গৃহযুদ্ধের হুমকি গদ্দাফিপুত্রের

২১ ফেব্রুয়ারি ২০১১

অবশেষে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে শুরু হয়েছে সরকার বিরোধী আন্দোলন৷ এদিকে বিক্ষোভকারীরা পূর্বাঞ্চলীয় শহর বেনগাজি দখল করে নিয়েছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/10Kvz
ত্রিপোলিতে বিক্ষোভছবি: abaca

ত্রিপোলির পরিস্থিতি

লিবিয়ায় আন্দোলন শুরু হয়েছে প্রায় ছয় দিন আগে৷ তবে এতদিন সেটা থেকে মুক্ত ছিল ত্রিপোলি৷ কিন্তু গতকাল শেষের দিকে ত্রিপোলিতেও হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে দেখা গেছে৷ তারা বিলবোর্ডে থাকা গদ্দাফি'র ছবির দিকে পাঁথর ছুড়ে মেরেছেন৷ এছাড়া সরকার বিরোধী স্লোগান দিয়েছেন৷ এরই এক পর্যায়ে গদ্দাফির সমর্থকরা তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে৷ পুলিশও বিক্ষোভকারীদের সরাতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে৷ এছাড়া গুলিবর্ষণের ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে৷

বেনগাজি দখল

সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন ক্যাম্প দখল করে সেখানে অবস্থান করছেন বিক্ষোভকারীরা৷ এমনটাই খবর পাওয়া যাচ্ছে৷ বেনগাজির কয়েকজন বাসিন্দা বলছেন কিছু সেনা সদস্য বিক্ষোভাকারীদের সঙ্গে যোগ দিয়ে গদ্দাফির এলিট বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল৷ তবে আরেক সূত্র থেকে পাওয়া খবর বলছে, বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়েছে সেনাবাহিনী৷ ফলে বেশ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে৷ সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত বিক্ষোভে ২৩৩ জন মারা যাওয়ার খবর দিচ্ছে মানবাধিকার সংস্থা ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ'৷ গদ্দাফির ছেলে সাইফ-আল-ইসলাম সরকারি টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে স্বীকার করেছেন যে বেনগাজিতে কয়েকটি সামরিক কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে বিক্ষোভকারীরা৷

Libyen Muammar Gaddafi Moammar Gadhafi
গদ্দাফির পদত্যাগ চান বিক্ষোভকারীরাছবি: picture-alliance/dpa

গদ্দাফির ছেলের বক্তব্য

তাঁর বক্তব্য ছিল বেশ কঠোর৷ মাঝে মধ্যেই আঙুল উচিয়ে কথা বলেছেন গদ্দাফির ছেলে সাইফ৷ বিক্ষোভ ছড়ানোর জন্য তিনি প্রবাসী লিবীয়দের দায়ী করেন৷ এছাড়া স্বীকার করে নেন যে, বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর সিদ্ধান্ত ছিল একটা ‘ভুল'৷ তবে এজন্য সেনাবাহিনীকে দায়ী করেন তিনি৷ কারণ তাঁর মতে, গণবিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করার মতো পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ছিল না সেনাবাহিনীর৷ এছাড়া বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা বাড়িয়ে বলার জন্য বিদেশি গণমাধ্যমগুলোতে দায়ী করেন সাইফ গদ্দাফি৷ বেনগাজিতে কয়েকটি সামরিক কেন্দ্র লুট হওয়ায় বেশ কিছু অস্ত্র চলে গেছে সাধারণ জনগণের কাছে৷ তাই তিনি বলেন যখন সবার কাছে অস্ত্র থাকে তখন গৃহযুদ্ধ শুরু হয়৷ অর্থাৎ পরিষ্কারভাবেই তিনি গৃহযুদ্ধের হুমকি দিয়ে বলেছেন এর মাধ্যমে আমরা একে অপরকে মেরে ফেলবো৷ এছাড়া তৈলক্ষেত্রগুলোও ধ্বংস করে দেয়ার হুমকিও দিয়েছেন তিনি৷

বিশ্বের প্রতিক্রিয়া

লিবিয়াতে বহু লোকের মৃত্যুর খবরে ‘গভীর উদ্বেগ' প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র৷ লিবিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ নিয়ে কথাও বলেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা৷ এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটন বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে গদ্দাফির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷ এদিকে, লিবিয়া পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে আজ এক বিশেষ বৈঠক ডেকেছে ইইউ৷ লিবিয়ার ঘটনার সমালোচনা শোনা গেছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকেও৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়