1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাজকোটে গেমিং জোনে আগুন, মৃত নয় শিশু-সহ ২৮

২৬ মে ২০২৪

গুজরাটের রাজকোটে একটি গেমিং জোনে আগুন লেগে অন্ততপক্ষে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারমধ্যে নয়জন শিশু।

https://p.dw.com/p/4gHbL
রাজকোটে গেমিং জোনে আগুন লাগার পর দমকল তা নেভানোর চেষ্টা করছে।
রাজকোটে আগুন লাগার পর গেমিং জোনের অস্থায়ী কাঠামো ভেঙে পড়ে। ছবি: Str/REUTERS

শনিবার সন্ধ্যায় এই আগুন লাগে। তখন প্রচুর মানুষ ওই গেমিং জোনে ছিলেন। বেশ কিছু শিশু ও কিশোর ওখানে ছিল। আগুন লাগার পর তা দ্রুত ছড়িয়ে যায়। অস্থায়ী কাঠামো ভেঙে পড়ে। 

গেমিং জোনে একটিমাত্র বেরোবার রাস্তা ছিল। ফলে ভিতরে যারা ছিলেন, তাদের অনেকেই বেরোতে পারেননি। দেহগুলি প্রচণ্ডভাবে পুড়ে গেছে। কার দেহ তা বোঝা যাচ্ছে না। 

এই গেমিং জোনে্ সপ্তাহান্তের ডিসকাউন্ট দেয়া হয়েছিল। টিকিটেোর দাম ছিল ৯৯ টাকা। প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে। তবে সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, তদন্ত চলছে। তার রিপোর্ট না পেলে আগুনের কারণ বলা সম্ভব নয়। 

রাজকোটের পুলিশ কমিশনার রাজু ভার্গভ বলেছেন, ''আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। উদ্ধারকাজ চলছে। যত বেশি সম্ভব দেহ উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। এখনেো পর্যন্ত ২০টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।''

ভার্গভ জানিয়েছেন, ''ওই গেমিং জোনের মালিকের নাম হলো যুবরাজ সিং সোলাঙ্কি। তার বিরুদ্ধে অভিয়োগ দায়ের করা হয়েছে।''

পুলিশ কমিশনার বলেছেন, ''আগুনের কারণ জানা যায়নি। অনেকগুলি দমকল ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গেছে। এই ধরনের আগুন প্রতিরোধের জন্য কী ব্যবস্থা নেয়া উচিত, তা নিয়ে আমরা পরে দমকল কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করব।''

রাজকোটের কালেক্টর প্রভাব জোশী জানিয়েছেন, ''সাড়ে চারটার সময় আমরা প্রথমে আগুন লাগার খবর পাই। গেমিং জোনের অস্থায়ী কাঠামো ভেঙে পড়ে। দুই ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ধ্বংসস্তূপ সরানো হচ্ছে। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।''

আগুন লাগার পর অস্থায়ী গেমিং জোনের কাঠামো ভেঙে পড়ে।
রাজকোটে এই গেমিং জোনে আগুন লেগে অন্তত ২০ জন মারা গেছে। ছবি: Chirag Chotaliya/AP/picture alliance

মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে বলেছেন, ''পুরসভা ও প্রশাসনকে অবিলম্বে উদ্ধার ও ত্রাণের কাজ করতে বলা হয়। আহতদের চিকিৎসার বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। মৃতদের পরিবারকে চার লাখ ও আহতদের এক লাখ টাকা দেয়া হবে।''

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চান এবং শোকপ্রকাশ করেন।

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)