1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাখাইনে গণকবর, ১০টি মৃতদেহ উদ্ধার

২০ ডিসেম্বর ২০১৭

মিয়ানমার সেনাবাহিনী বলছে, রাখাইন রাজ্যের মংডু এলাকার ইন ডিন গ্রামের গণকবরে ১০টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে৷ সপ্তাহের শুরুতে গণকবরটির খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল৷

https://p.dw.com/p/2pgf7
Myanmar - Soldaten der Kachin Independence Armee patrollieren
ছবি: picture-alliance/AP Photo/E. Htusan

সেনাপ্রধানের ফেসবুক পাতায় প্রকাশিত এক বিবৃতির সঙ্গে কবর থেকে তোলা কংকালের ছবি ঝাপসা করে সংযুক্ত করা হয়েছে৷ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো সদস্যের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে৷''

এদিকে, মৃতদেহ উদ্ধারের সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, মৃতদেহের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে তাদের হত্যা করার ঘটনা ঘটেনি৷ ‘‘এগুলো কাদের মৃতদেহ তা বোঝা সম্ভব নয় কারণ আমরা শুধু তাদের কংকাল আর হাড় পেয়েছি৷''

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের হয়ে রোহিঙ্গা সংকট কাভার করা মিয়ানমারের দুই সাংবাদিক নিখোঁজ হওয়ার এক সপ্তাহ পর এই গণকবর খুঁজে পাওয়া গেল৷ তবে ঐ দুই সাংবাদিক এই গণকবর নিয়ে তদন্ত করছিল কিনা তা নিশ্চিত করেনি রয়টার্স৷ এদিকে নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন বলছে, যে গ্রামে গণকবর পাওয়া গেছে সেখানকার কয়েকজন বাসিন্দার কাছ থেকে কিছু ছবি সংগ্রহ করেছিলেন ঐ দুই সাংবাদিক৷ তাঁদের গ্রেপ্তারের পর ঐ গ্রামের পাঁচজনকেও আটক করে পুলিশ৷

দুই সাংবাদিক – ৩১ বছর বয়সি ওয়া লোন ও ২৭ বছর বয়সি চ সু ও – ১২ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ৷ তাঁদের পরিবার, সহকর্মী ও আইনজীবীদেরও তাঁদের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দেয়া হচ্ছে না৷ অবশ্য মিয়ানমারের নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চির মুখপাত্র বুধবার রয়টার্সকে টেলিফোনে জানিয়েছেন, দু'জনের বিরুদ্ধে পুলিশের তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে৷ এরপর তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে৷ এরপর তাঁরা আইনজীবী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন৷

রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে রাখাইনের নিরাপত্তা বাহিনী সংশ্লিষ্ট নথিপত্র রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে৷ অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে৷

ওদিকে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র সহ মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে তাঁদের মুক্তি দাবি করেছে৷

জাতিসংঘের কর্মকর্তার অনুমতি বাতিল

মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত জাতিসংঘের কর্মকর্তা ইয়াংঘি লি-কে তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত আর মিয়ানমারে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে৷ বুধবার এক বিবৃতিতে লি এই তথ্য জানিয়েছেন৷ আগামী জানুয়ারিতে তাঁর মিয়ানমার যাওয়ার কথা ছিল৷ সেইসময় রাখাইন রাজ্য সহ মিয়ানমারের অন্যান্য এলাকার মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করার কথা ছিল তাঁর৷ বিবৃতিতে লি জানান, ‘‘আমার কাজে সহযোগিতা না করার বিষয়টি শক্তিশালী এক ইঙ্গিত বহন করে – রাখাইন সহ মিয়ানমারের অন্যান্য এলাকায় নিশ্চয় মারাত্মক কিছু ঘটছে৷''

কক্সবাজারে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী

তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইয়েলডিরিম বাংলাদেশ সফর করছেন৷ আজ তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে যান৷ সেখানে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি৷ এই সময় রোহিঙ্গাদের উপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনকে ‘জাতিগত নিধন' বলে উল্লেখ করেন৷

এর আগে গত সেপ্টেম্বরে তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমাইন এর্দোয়ান এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসল বাংলাদেশ সফরে গিয়ে রোহিঙ্গা শিবিরে গিয়েছিলেন৷

জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স, বিডিনিউজ)

প্রতিবেদনটি সম্পর্কে কোনো মন্তব্য থাকলে লিখুন নীচের ঘরে৷