1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রশিয়া ইউক্রেনে হামলা করলে পাল্টা ব্যবস্থা: অ্যামেরিকা

২ ডিসেম্বর ২০২১

রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করলে অ্যামেরিকা পাল্টা ব্যবস্থা নেবে, জানিয়ে দিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।

https://p.dw.com/p/43igO
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ব্লিংকেন। ছবি: Russian Ministry of Foreign Affairs/TASS/imago images

ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়া ও অ্যামেরিকার সংঘাত তুঙ্গে। অ্যামেরিকা মনে করছে, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করতে পারে। তাই অ্যামেরিকা এখন ন্যাটো দেশগুলিকে সঙ্গে নিয়ে রাশিয়ার মোকাবিলা করার জন্য তৈরি হচ্ছে।

বুধবার রিগাতে ন্যাটোর দেশগুলির সঙ্গে মন্ত্রী-পর্যায়ের বৈঠক শেষে ব্লিংকেন জানিয়েছেন, ইউক্রেনে হামলা করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাশিয়া। অ্যামেোরিকা খুবই উদ্বিগ্ন।

ইউক্রেনের অভিযোগ, রাশিয়া সীমান্তে প্রচুর সামরিক যানবাহন, সেনা এবং ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম মজুত করেছে। এই বছরে এনিয়ে দ্বিতীয়বার রাশিয়া এভাবে সেনা ও সমরাস্ত্র মোতায়েন করলো।

ব্লিংকেন সাংবাদিকদের বলেছেন, ''রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিন ইউক্রেনে হামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন কি না তা অ্যামেরিকা জানে না। আমরা জানি, রাশিয়া যেভাবে সীমান্তে সেনা ও অস্ত্র মোতায়েন করেছে, তাতে ইউক্রেনে হামলার সিদ্ধান্ত নিলে খুব কম সময়ের মধ্যে তা কার্যকর করা যাবে।''

বৃহস্পতিবার সুইডেনে নিরাপত্তা ও সহযোগিতা বিষয়ক সম্মেলন হবে। সেখানে ব্লিংকেনের সঙ্গে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা হবে। সেই আলোচনায় ইউক্রেনের প্রসঙ্গ উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে।

উত্তেজনার মধ্যেই রাশিয়ার সামরিক মহড়া শুরু

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বুধবার জানিয়েছেন, রাশিয়ায় যে সব মার্কিন কূটনীতিক তিন বছরের বেশি সময় ধরে আছেন, তাদের বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অ্যামেরিকা সম্প্রতি ২৭ জন রুশ কূটনীতিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। তারই জবাব দিল রাশিয়া।

এই বছরের গোড়ায় অ্যামেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা হচ্ছিল। কিন্তু রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে সেনা মোতায়েন করার পরেই দুই দেশের সম্পর্ক আবার খারাপ হয়েছে। এই সপ্তাহের গোড়ায় পুটিন বলেছিলেন, ন্যাটো যদি ইউক্রেনে সামরিক পরিকঠামো বাড়ায়, তাহলে তারা সীমা লঙ্ঘন করবে। তিনি বলেছেন, অ্যামেরিকা ও তাদের বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনার সময় তাদের স্পষ্ট করে বলা হবে, রাশিয়ার সীমান্তের কাছে তারা যেন সেনা বা অস্ত্র মোতায়েন না করে।

বুধবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, উত্তেজনা কমাতে তিনি রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করতে চান।

জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)