রবার্ট মুগাবের ক্ষমতা লিপ্সার নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন
১৪ অক্টোবর ২০০৮জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের ক্ষমতা লিপ্সার নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন৷ সোমবার ই ইউ ভুক্ত দেশগুলো এই নিন্দা জানায় ৷ মুগাবে এবং তার মিত্রদের ওপর নতুন অবরোধ আরোপেরও হুমকি দিয়েছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন৷ বলা হয়েছে জিম্বাবুয়ের বিরোধী দলীয় নেতা মর্গ্যান চ্যাঙ্গিরাইয়ের সঙ্গে হওয়া ক্ষমতা ভাগাভাগি চুক্তি দ্রুত কার্যকর না করলে , নতুন অবরোধ আরোপ করা হবে৷ লুক্সেমবুর্গে ই ইউ পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতি দেয়া হয়৷ দুজন ভাইস প্রেসিডেন্টকে মুগাবের শপথ গ্রহণ করানো এবং তার দল জানু পিএফ পার্টি থেকে প্রধান ৩ জন মন্ত্রীকে নির্বাচিত করার পর, ইইউ-এর পক্ষ থেকে এই হুমকি দেয়া হলো৷ বিরোধী দল মুভমেন্ট ফর ডেমোক্রেটিক চেন্জের নেতা মর্গ্যান চ্যাঙ্গীরাই বলেছেন, এই ঘটনার পর তার দল ক্ষমতা ভাগাভাগির সরকারে অংশ নেবে না৷
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডেভিড মিলিব্যান্ড বলেন, মুগাবে শাসনতন্ত্রের ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয়ার ব্যাপারে সমর্থন দিতে কোন ধরনের ভূমিকা পালন করবে না ইউরোপিয় ইউনিয়ন৷ আলোচনার পর মিলিব্যান্ড সাংবাদিকদের বলেন, এটা জরুরী যে একটি আন্তর্জাতিক যৌথ প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়েছে, চলতি বছরের প্রথম দিকে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে , তার ফলফলের প্রতি সম্মান দেখানো উচিত্ এবং ক্ষমতা লিপ্সতাকে সম্মান জানানো হবে না৷ ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী আরো বলেন, তিনি আশা করেন, দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট থাবো এম্বেকি এই পরিস্থিতিতে মধ্যস্থতা করতে পারবেন, যাতে সেপ্টেম্বরের চুক্তি অনুযায়ি মুগাবের সঙ্গে বিরোধী দলগুলো ক্ষমতা ভাগাভাগি করতে পারে৷
এদিকে থাবো এম্বেকির মধ্যস্থতায় গত মাসে হওয়া ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তিটি কার্যকর করার চেষ্টায় এম্বেকি জিম্বাবুয়ের রাজধানী হারারেতে পৌঁছেছেন৷
এম্বেকি হারারে-তে পৌঁছানোর আগেই, মুগাবে তার নির্বাচিত দুজন ভাইস প্রেসিডেন্টকে শপথ গ্রহণ করিয়ে ফেলেন৷
তবে চুক্তি অনুযায়ি ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ দুটি জানু পিএফ দলের সদস্যদেরই পাবার কথা৷ জিম্বাবুয়ের সরকারের সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে যে, সেই কারণেই দুই ভাইস প্রেসিডেন্ট শপথ নিয়েছেন ,কারণ তাদের পদ বিতর্কিত নয়৷
ওদিকে ই ইউ-এর বর্তমান প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্স-এর পররাষ্ট্রমন্ত্রী বার্নার্ড কৌচনার বলেছেন, চুক্তি অনুযায়ি কাজ করা না হলে আমরা আমাদের অবরোধ পুনরায় আরোপ করবো৷
ওই মধ্যস্থতা চুক্তির কয়েকদিন পরেই , দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয় থাবো এম্বেকিকে৷ তাই ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর পর এটাই হতে যাচ্ছে এম্বেকির প্রথম মধ্যস্থতা৷ এম্বেকি জিম্বাবুয়েতে গেছেন একজন সাধারন নাগরিক হিসেবে, যদিও আঞ্চলিক সংগঠন সাউদার্ন আফ্রিকান ডেভেলপমেন্ট কমিউনিটি তার সমর্থনে রয়েছে৷ তবে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট নন, একজন সাধারন নাগরিক থাবো এম্বেকির কথাকে, ঠিক কতখানি শুনতে প্রস্তুত জিম্বাবুয়ের নেতা রবার্ট মুগাবে , সেটাই এখন দেখার বিষয়৷ পর্যবেক্ষক মহলের দৃষ্টিও এখন সেদিকেই৷