1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘রক্তগঙ্গা থামাতে সিপাহী বিদ্রোহকে সমর্থন দিয়েছিলাম’

২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ টকশোতে ১৯৭৫ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এই মন্তব্য করেন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু৷

https://p.dw.com/p/40pSK
খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায় টকশোয়ের একটি পর্ব
ছবি: DW

ডয়চে ভেলে বাংলার সাপ্তাহিক ইউটিউব টকশোর এবারের পর্বে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী৷ এবারের পর্বে আলোচিত হয় বাংলাদেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বর্তমান অবস্থা, ভূমিকা ও তাদের আন্তঃসম্পর্কের নানা প্রসঙ্গ৷

পাশাপাশি, আলোচিত হয় বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ভূমিকা নিয়েও৷ এই প্রসঙ্গে উঠে আসে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ড পরবর্তী পরিস্থিতিও৷ বাংলাদেশে শাসন ক্ষমতা সামরিক নিয়ন্ত্রণে যাওয়া প্রসঙ্গে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘‘...খালেদ মোশাররফের ক্ষমতা দখলের পর সেনা ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে একটি সাংঘর্ষিক পরিবেশ তৈরি হয়েছিল৷ আমরা একটি সিপাহী বিদ্রোহকে সমর্থন দিয়েছিলাম, সেখানে রক্তগঙ্গা থামাতে, গৃহযুদ্ধ থামাতে৷ আমরা সর্বদলীয় নির্বাচনের পথে গিয়েছিলাম৷'' 

তিনি বলেন, ‘‘কিন্তু আমাদের এই অভ্যুত্থানের নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারার কারণে জেনারেল জিয়াউর রহমান পরবর্তীতে অন্য সামরিক অফিসারদের দিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে সামরিক শাসনের ফাঁদে বাংলাদেশকে ঠেলে দেন৷ সেই অভ্যুত্থানের সময় সেখানে নানা পক্ষের সৈনিকরা ছিলেন৷ নিরপেক্ষ ছিলেন, জিয়াউর রহমানের সমর্থক ছিলেন, ছিলেন খালেদ মোশারফের সমর্থকরাও৷ সেখানে মারামারির সুযোগ থাকলে সর্বাত্মক বিদ্রোহ হতো না, গোলাগুলি হতো৷''

এই বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, ‘‘জিয়াউর রহমান দেশকে সামরিক শাসনের জাঁতাকলেতো ফেলেনই নি, বরং তিনি সেখান থেকে তুলে নিয়েছেন৷ সামরিক শাসন দিয়েছিলেন সায়েম, তার আগে মোশতাক৷ বরং তিনি দেশকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের দিকে নিয়ে গিয়েছিলেন৷ শতফুল ফোটার সম্ভাবনাকে সামনে নিয়ে আসলেন৷''

হাসানুল হক ইনুকে প্রশ্ন করা হয় বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানো প্রসঙ্গে জাসদের প্রাথমিক ভূমিকা নিয়ে৷ উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘আমি তখন আত্মগোপনে ছিলাম৷ আমরা সেদিন হত্যাকাণ্ডের পর গোপন বৈঠক করে পরিস্থিতি মূল্যায়ন করি৷ সিদ্ধান্ত নিই যে শেখ মুজিবের সরকারের বিকল্প কোনো সামরিক সরকার হতে পারে না, মোশতাক সরকার হতে পারে না৷ সেই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে জাসদ যাবে, সেই সিদ্ধান্ত আমরা নিই৷''

তিনি বলেন, ‘‘ছাপানো লিফলেটের মাধ্যমে মোশতাক সরকারকে প্রত্যাখ্যান করি৷ ছাপানো লিফলেটে হত্যাকাণ্ড সমর্থন করিনি সেটা বলা ছিল৷ তখন আমরা নিষিদ্ধ দল৷ প্রকাশ্যে বিবৃতি দিতে পারিনি৷ তিনটি দল মিলে আমরা লিফলেটে বলি যে এই হত্যাকাণ্ড সমর্থন করিনি৷''

টকশোতে এছাড়াও বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতিতে বিভিন্ন দলের সাথে সরকারের ভূমিকা, প্রধানমন্ত্রীর ছোটবড় দলের প্রতি মনোভাব ও বিরোধী দলের প্রসঙ্গটিও আলোচিত হয়৷

এসএস/এআই