1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রং দিয়ে ভবনের ভোল পালটে দিচ্ছেন স্পেনের শিল্পী

১৫ অক্টোবর ২০২১

ধূসর জগতে রংয়ের ছোঁয়া কার না মন মাতায়? স্পেনের এক স্ট্রিট আর্টিস্ট দেশ-বিদেশে একাধিক ভবনকে নিজের সৃষ্টির মোড়কে পরিবেশন করে আশাবাদ ও মুক্তি জাগিয়ে তোলার উদ্যোগ নিচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/41idm
স্পেনের স্ট্রিট আর্টিস্ট ওকুদা সান মিগেলেটি
স্পেনের স্ট্রিট আর্টিস্ট ওকুদা সান মিগেলেটিছবি: DW

জগতকে রংয়ে ডুবিয়ে দেওয়াই ওকুদা সান মিগেলেটির উদ্দেশ্য৷ তিনি ধূসর জগতকে রঙিন পরিবেশে রূপান্তরিত করতে ভালোবাসেন৷ ওকুদা এবার স্পেনের উত্তরের উপকূলের একটি স্মারক বেছে নিয়েছেন৷ বিলবাও শহরের কাছে ‘কাবো দে আখো’ নামের লাইটহাউসে রংয়ের ছোঁয়া দিতে চান তিনি৷

প্রায় একশো বছর ধরে ৭০ মিটারেরও বেশি উঁচু এই লাইটহাউস মাথা উঁচু করে রয়েছে৷ ওকুদা বলেন, ‘‘আমার কাছে এই প্রকল্পের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে৷ কারণ প্রথমত আমার নিজের দেশে সেটি ঘটছে৷ দ্বিতীয়ত আমি প্রথম বার কোনো লাইটহাউস রং করছি৷ তাছাড়া আমি এখানে জন্মেছি বলে সমুদ্র আমার রক্তের মধ্যে রয়েছে৷’’

ধবধবে সাদা ভবনটিকে রংয়ের রংমশালে রূপান্তরিত করতে ওকুদা সান মিগেল ও তার টিম ৭২টি বিভিন্ন রং বেছে নিয়েছেন৷ রঙিন জ্যামিতিক ফর্ম বা আকার তাঁর কাজের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে পড়ে৷

স্পেনের স্ট্রিট আর্টিস্ট ওকুদার কথা

বস্তুগুলির নেপথ্যে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড, অনন্তকাল ও জীবনের অর্থের মতো নানা গভীর বিষয় লুকিয়ে রয়েছে৷ ওকুদা বলেন, ‘‘জামাকাপড় হোক, অথবা কাজ – সব ক্ষেত্রেই রং আমার সাইকোলজি৷ আমার মতে, আমি দর্শকদের একটা গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিচ্ছি, যা হলো আশাবাদ ও মুক্তি৷ যদিও আমার সৃষ্টি কখনো দুঃখের বিষয় তুলে ধরে অথবা বাস্তব প্রায়ই কঠিন হয়৷ তা সত্ত্বেও আমার বার্তা আশাবাদ ও মুক্তি৷’’

‘এল তিতানেস’ নামের একটি বড় প্রকল্পেও সেই বার্তা উঠে এসেছে৷ শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী মানুষ এবং অন্যান্য শিল্পীদের সঙ্গে ওকুদা স্পেনের দক্ষিণে ‘লা মানচা’ অঞ্চলে বাতিল আধার দিয়ে বিশালাকার ওপেন এয়ার মিউজিয়াম গড়ে তুলেছেন৷ ওকুদা বলেন, ‘‘আমার মত, এটি আসলে সামাজিক ও শিল্প-সংস্কৃতির মিশ্র প্রকল্প৷ সেখানে বিশেষ গুণসম্পন্ন মানুষের জন্য আমরা মঞ্চ সৃষ্টি করছি৷ তাছাড়া পতিত জায়গায় নতুন প্রাণ সঞ্চার করছি৷’’

২০১৫ সালে একটি গির্জাকে স্কেটপার্কে পরিণত করে স্ট্রিট আর্টিস্ট হিসেবে ওকুদা আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেছিলেন৷ সেটির নাম ছিল ‘কাওস টেম্পল’৷

ইতিমধ্যে তার সৃষ্টিকর্ম গোটা বিশ্বের বিভিন্ন ভবন মুড়ে দিয়েছে৷ নিউ ইয়র্ক, হাভানা, মস্কো, মানহাইম, টোরন্টো ও হংকং শহরে তার নিদর্শন দেখা যাবে৷

আনা কার্টহাউস/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান