যৌনকর্মীদের রুটিরুজির দাবি
করোনা সংকট কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় প্রায় সব সব অফিস-আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই খুলে দেয়া হয়েছে৷ কিন্তু জার্মানির যৌনপল্লিগুলো এখনো বন্ধ৷ তাই জীবিকার তাগিদে হামবুর্গ শহরে আন্দোলনে নেমেছেন যৌনকর্মীরা৷ দেখুন ছবিঘরে...
বৈধ পেশাজীবী হয়েও সংকটে
জার্মানিতে যৌন ব্যবসা বৈধ৷ দেশের অন্য সব বৈধ পেশাজীবীদের মতো যৌনকর্মীরাও নিয়মিত আয়কর দেন৷ অথচ কোভিড-১৯-এর কারণে সব যৌনপল্লি প্রায় চার মাস ধরে বন্ধ৷ মহাসংকটে পড়েছেন যৌনকর্মীরা৷
কেন এই বৈষম্য?
করোনার কারণে মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে জার্মানিতে যৌনব্যবসা বন্ধ রয়েছে৷ অথচ করোনা পরিস্থিতি শুরুর তুলনায় অনেক ভালো৷ প্রায় সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই খুলে দেয়া হয়েছে৷ কিন্তু যৌনব্যবসা এখনো বন্ধ৷ জার্মানির যৌনকর্মীরা সরকারের কাছে তাদের প্রতি এই বৈষম্যমূলক আচরণের কারণ জানতে চান৷
বিক্ষোভ
শনিবার সন্ধ্যায় হামবুর্গের রেডজোনে সমবেত হয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশের সব যৌনপল্লি খুলে দেয়ার দাবি জানান বিভিন্ন যৌনপল্লির পরিচালক এবং যৌনকর্মীরা৷ সমাবেশে জার্মানির নানা প্রান্ত থেকে আসা চারশ’রও বেশি যৌনকর্মী অংশ নেন৷
‘প্রাচীনতম পেশার সহায়তা দরকার’
সমাবেশের সময় হামবুর্গের হেরবারস্ট্রাশের রেডজোনের সব লাল আলো জ্বলে ওঠে৷ অংশগ্র্রহণকারীরা নানাভাবে সরকারের কাছে কাজের সুযোগের দাবি জানান৷এক যৌনপল্লির জানালায় দাঁড়ানো এক নারীর হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘‘প্রাচীনতম পেশার এখন আপনার সহায়তা দরকার৷’’ আরেক যৌনকর্মী তুলে ধরেছিলেন, ‘‘করোনার কারণে যৌনব্যবসাকে অবৈধ হতে দেয়া যায় না৷’’
গান গেয়ে প্রতিবাদ
সমাবেশে অনেকে মুখোশ পরে অংশ নেন৷ এক যৌনকর্মী বেহালা বাজিয়ে, গান গেয়ে আওয়াজ তোলেন এখনো যৌনপল্লি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে৷
সচেতনতা, সতর্কতাই বড় কথা
অনেকে মনে করেন, করোনা সংকটের সময় যৌনব্যবসার সুযোগ দিলে সংক্রমণ দ্রুত ছড়াতে পারে৷ তবে যৌনকর্মীদের সংগঠন এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘মাসাজ পার্লার, পার্লার, নাচ বা অন্যের শরীর স্পর্শ করতে হয় এমন খেলাধুলার চেয়ে যৌনব্যবসায় সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি নয়৷ তাছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এই ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ অংশ৷’’
জার্মানিতেও সমান অধিকার দাবি
কিছু দেশে যৌনপল্লি আবার খুলে দেয়া হয়েছে৷ শনিবারের সমাবেশে যৌনকর্মী ওয়েবার সুইজারল্যান্ডের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে বলেন, ‘‘সুইজারল্যান্ডে চার সপ্তাহ আগেই যৌনপল্লি খুলে দেয়া হয়েছে৷ যৌনপল্লির সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে সংক্রমিত হয়েছে এমন একটা দৃষ্টান্তও এখনো দেখা যায়নি৷’’ হামবুর্গে ২৭ বছর ধরে যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করছেন ওয়েবার৷ তিনি মনে করেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জার্মানির যৌনপল্লিগুলোও খুলে দেয়া উচিত৷