যৌন পীড়নের বিরুদ্ধে ছবি ‘হ্যালো ডার্লিং’
২৯ আগস্ট ২০১০মুক্তি পেল এমন বিষয় নিয়ে ছবি ‘হ্যালো ডার্লিং'৷ মূলত ১৯৮০ সালে তৈরি হলিউড কমেডি ‘নাইন টু ফাইভ' থেকে পাওয়া অনুপ্রেরণার ফল এই ‘হ্যালো ডার্লিং', শিল্পবোদ্ধাদের মত এরকমই৷ ‘নাইন টু ফাইভ'- এ উদ্ধত এবং যৌনবৈষম্যবাদী পুরুষ কর্মীদের বিরুদ্ধে বেশ লড়েছেন জেন ফন্ডা, লিলি টমলিন এবং ডলি পার্টন৷ আর এবার হিন্দি ভাষায় তৈরি ‘হ্যালো ডার্লিং' - এ অভিনয় করলেন এশা কপিখার, সেলিনা জেটলি, গুল পানাগ এবং জাভেদ জাফরি৷
ঐতিহ্যবাহী বলিউড ছবির নাচ, গান আর ভালোবাসার গল্প-কাহিনী থেকে বেশ খানিকটা সরে এসেছেন ‘হ্যালো ডার্লিং'- এর রূপকাররা৷ কপিখার বললেন, ‘‘সমাজকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিচ্ছে ‘হ্যালো ডার্লিং'৷ আধুনিক যৌথ কারবারের জগতে এমন কিছু পুরুষ রয়েছে যারা সবসময়ই নারীদের সাথে ফষ্টিনষ্টি করার চেষ্টা করে৷ এই ছবিটি এসব পুরুষদের সম্পর্কেই কথা বলছে৷ এছাড়া এমন পরিস্থিতিতে নারীরা কিভাবে নিজেদের রক্ষা করবে সেটিও তুলে ধরা হয়েছে৷''
সর্ব-ভারতীয় গণতান্ত্রিক নারী সংস্থা'র সাধারণ সম্পাদিকা সুধা সুন্দরমন এর মতে, ‘‘বেশি সংখ্যক নারী কাজের জন্য ঘর থেকে বাইরে যাওয়ায় ভারত জুড়ে এখন যৌন হয়রানি কিংবা ‘ইভ টিজিং' ক্রমবর্ধমান সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে৷'' তবে তাঁর মতে, এ ধরণের অনাকাঙ্খিত যৌন হয়রানি কিংবা উত্যক্ত করার ঘটনা শুধুমাত্র পুরুষ শাসিত কার্যালয়সমূহেই নয়, বরং অল্প মজুরিতে নারী কর্মীরা যেসব ছোটখাটো কাজ করছে সেগুলোতেও ঘটছে নানা পীড়ন৷ ভারতের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সেখানে নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ বেড়েই চলেছে৷ শুধুমাত্র ২০০৮ সালেই ১২ হাজারেরও বেশি যৌন হয়রানির ঘটনা এবং ৪০ হাজারেরও বেশি নারীকে উত্যক্ত ও নিগ্রহের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে৷
সম্প্রতি ভারতীয় মহিলা হকি দলের পুরুষ কোচের বিরুদ্ধে উঠেছে খেলোয়াড়ের উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ৷ তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করেন কোচ৷ এছাড়া দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম সফটওয়ার প্রতিষ্ঠান ইনফোসিস এবং প্রকাশনা সংস্থা পেঙ্গুইনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে যৌন হয়রানির অভিযোগে৷ আর এসব প্রেক্ষাপটে, বলা যায় মোক্ষম সময়েই, বাজারে আসল ‘হ্যালো ডার্লিং'৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম