‘‘পাঠ্যবই নাস্তিকতা মুক্ত হোক, নৈতিকতা যুক্ত করা হোক, ধর্মবিদ্ধেষপূর্ণ লেখা বাদ দেয়া হোক, দেশি লেখকদের প্রাধান্য দেওয়া হোক, দেশের পাঠ্য বই দেশে ছাপানো হোক৷'' এমন দাবি জানিয়ে মাতৃভক্তি, শিক্ষাগুরুর মর্যাদা, মহানবীর মহানুভবতা, তিতুমীর, হাজী মুহাম্মদ মহসিন, ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ এবং জাতীয় কবি নজরুলের লেখাগুলো ফিরিয়ে আনার পক্ষে মত দিয়েছেন আমাদের পাঠক দেওয়ান কিবরিয়া৷
হেফাজতের দাবিতে গোপনে পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন আনা হয়েছে – এই প্রসঙ্গ টেনে ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও জনপ্রিয় লেখক ড. জাফর ইকবাল বলেছেন, ‘‘সরকারকে বুঝতে হবে হেফাজত বা কোনো ধর্মীয় গোষ্ঠী তার বন্ধু না৷''
-
বিশ্বের সেরা ১১টি শিক্ষা ব্যবস্থা
নবম: জাপান (৫.৬)
সাহিত্য, বিজ্ঞান ও গণিত চর্চার ক্ষেত্রে ওইসিডি দেশগুলোর মধ্যে জাপানের বেশ নামডাক আছে৷ সেখানকার শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ে ছয় বছর৷ তারপর তিন বছর জুনিয়র হাইস্কুলে পড়ালেখা শেষ করে আরও তিনবছর হাইস্কুলে যায়৷ এরপর আসে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময়৷
-
বিশ্বের সেরা ১১টি শিক্ষা ব্যবস্থা
নবম: বার্বাডোজ (৫.৬)
সরকারের বিপুল বিনিয়োগের কারণে সেদেশে স্বাক্ষরতার হার প্রায় ৯৮ শতাংশ৷ বার্বাডোজের বেশিরভাগ স্কুলই সরকারি৷
-
বিশ্বের সেরা ১১টি শিক্ষা ব্যবস্থা
নবম: নিউজিল্যান্ড (৫.৬)
তিন ধরনের মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে সেখানে৷ এর মধ্যে সরকারি স্কুলগুলোতে পড়ে প্রায় ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী৷ আর সরকারিকৃত (বেসরকারিভাবে পরিচালিত) স্কুলে পড়ে ১২ শতাংশ৷ বাকি তিন শতাংশ যায় বেসরকারি স্কুলে৷
-
বিশ্বের সেরা ১১টি শিক্ষা ব্যবস্থা
অষ্টম: এস্তোনিয়া (৫.৭)
২০১৫ সালে জিডিপির প্রায় চার শতাংশ শিক্ষাখাতে ব্যয় করেছিল দেশটি৷
-
বিশ্বের সেরা ১১টি শিক্ষা ব্যবস্থা
ষষ্ঠ: আয়ারল্যান্ড (৫.৮)
দেশটির মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর বেশিরভাগই ব্যক্তিমালিকানায় পরিচালিত হলেও অর্থ দিয়ে থাকে সরকার৷ এছাড়া আছে সরকারি কারিগরী বিদ্যালয়৷
-
বিশ্বের সেরা ১১টি শিক্ষা ব্যবস্থা
ষষ্ঠ: কাতার (৫.৮)
‘ভিশন ২০৩০’-এর আওতায় প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে শিক্ষার মান উন্নয়নে বিপুল বিনিয়োগ করছে দেশটি৷ সরকারি স্কুলগুলোতে কাতারের নাগরিকদের সন্তানরা বিনামূল্যে পড়ালেখা করতে পারে৷ আর বিদেশিরা তাঁদের সন্তানদের পাঠান বেসরকারি স্কুলে৷
-
বিশ্বের সেরা ১১টি শিক্ষা ব্যবস্থা
পঞ্চম: নেদারল্যান্ডস (৫.৯)
২০১৩ সালে ইউনিসেফ-এর এক প্রতিবেদন বলছে, নেদারল্যান্ডসের শিশুরা সবচেয়ে বেশি সুখি জীবন কাটায়৷ মাধ্যমিক পর্যায়ের আগে স্কুলে শিশুদের কোনো বাড়ির কাজ দেয়া হয় না৷ তাছাড়া লেখাপড়া করতে শিশুদের উপর বেশি চাপ প্রয়োগ করা হয় না৷
-
বিশ্বের সেরা ১১টি শিক্ষা ব্যবস্থা
চতুর্থ: সিঙ্গাপুর (৬.১)
বিজ্ঞান, রিডিং ও গণিত বিষয়ে বিভিন্ন দেশের ১৫ বছর বয়সি শিক্ষার্থীদের মান যাচাইয়ের পদ্ধতি হচ্ছে ‘পিসা’৷ এই তালিকায় সিঙ্গাপুরের শিক্ষার্থীরা সবসময় ভালো করে থাকে৷ তবে সে দেশে শিক্ষার্থীদের বেশ চাপে রাখা হয়৷
-
বিশ্বের সেরা ১১টি শিক্ষা ব্যবস্থা
দ্বিতীয়: বেলজিয়াম (৬.২)
মাধ্যমিক পর্যায়ে চার ধরনের স্কুল আছে – সাধারণ স্কুল, কারিগরি শিক্ষা বিষয়ক স্কুল, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ ও আর্ট স্কুল৷ ছবিতে স্কুলের শিক্ষার্থীদের আঁকা ছবি দেখা যাচ্ছে৷
-
বিশ্বের সেরা ১১টি শিক্ষা ব্যবস্থা
দ্বিতীয়: সুইজারল্যান্ড (৬.২)
প্রাথমিক পর্যায়ের পর শিশুদের দক্ষতা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের স্কুলে পাঠানো হয়৷ অঞ্চলভেদে জার্মান, ফ্রেঞ্চ ও ইটালীয় ভাষায় শিক্ষা দেয়া হয়৷
-
বিশ্বের সেরা ১১টি শিক্ষা ব্যবস্থা
প্রথম: ফিনল্যান্ড (৬.৭)
বিশ্বের সেরা শিক্ষা ব্যবস্থার এই দেশে শিক্ষার্থীদের খুব বেশি হোমওয়ার্ক করতে হয় না৷ ১৬ বছর বয়সে গিয়ে মাত্র একটি বাধ্যতামূলক পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়৷ আরও জানতে উপরের (+) চিহ্নে ক্লিক করুন৷
পাঠক আসাদুল্লাহ আল গালিবের তা পছন্দ হয়নি, তাই তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘হ্যাঁ, এটা সরকারকে বুঝতে হবে, নাস্তিকরা তার বন্ধু, কোনো ধর্মীয় গোষ্ঠি নয়৷''
তবে ফিরোজ আলম, ড. জাফর ইকবালের উদ্দেশ্যে লিখেছেন, ‘‘স্যার, আপনি সরকার এবং ধর্মীয় গোষ্ঠীকে তাদের শত্রুতার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন৷ যেমন আছি, ভালো আছি৷ ঝামেলা মুক্ত দেশ৷''
ডয়চে ভেলের পাঠক সাব্বির ইবনে জামান ফিরোজ আলমের বক্তব্যকে সরাসরি সমর্থন করেছেন৷
তবে হোসেন বাহার পাঠ্যপুস্তক ও স্কুলশিক্ষার দায়িত্ব সরকারের ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘সরকার ভালো বোঝে, আমি মনে করি পাঠ্যবইয়ের ব্যাপারে সরকার এসব কথার মুল্য দেবে৷''
সবশেষে ফেহজান চৌধুরীর মন্তব্য, ‘‘হেফাজতের পরামর্শ মেনে পাঠ্যপুস্তকে বর্বর ইসলামীকরণ করা মানে জঙ্গিবাদের চাষাবাদ করা৷''
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী
-
শিশুদের স্কুলে যাওয়ার বিপজ্জনক কিছু রাস্তা
কী ভয়ঙ্কর!
পুরনো একটি গাড়ির চাকায় হাওয়া ভরে ছোট্ট দুই শিশু পানির ওপরে ভেসে যাচ্ছে৷ চাকার মধ্যে জড়ো হয়ে বসে এভাবেই তারা প্রতিদিন স্কুল থেকে বাড়ি ফেরে৷ এতে স্কুলের ইউনিফর্ম যতই ভিজুক না কেন, রাতের মধ্যে তা শুকাতেই হবে৷ কারণ পরেরদিন সকালে যে আবার ঐ পোশাকই ওদের পরতে হবে!
-
শিশুদের স্কুলে যাওয়ার বিপজ্জনক কিছু রাস্তা
৮০০ মিটার উঁচু খাড়া পাহাড় পেরিয়ে স্কুলে...
চীনের সিচুয়ান প্রদেশের লিয়াংশান জেলার একটি পাহাড়ি গ্রাম আটুলের৷ সেখানকার এই রাস্তাটাই হচ্ছে শিশুদের স্কুলে যাওয়ার জন্য বিশ্বের সবচেয়ে দুর্গম পথ৷ প্রতিদিন ছোট্ট ছোট্ট শিশুদের এই পথ দিয়ে পাহাড়ে উঠে বহু কষ্টে যেমন করে স্কুলে যেতে হয়, তেমনি ফিরতেও হয় ঐ একই পথ ধরে৷
-
শিশুদের স্কুলে যাওয়ার বিপজ্জনক কিছু রাস্তা
নীচে তাকালেই যে বিপদ!
ঝুলন্ত দড়ির মই বেয়ে প্রতিদিন ৯০ মিনিট ধরে স্কুলে যেতে হয় এই শিশুদের৷ শিশুদের জন্য এভাবে পথ চলা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ৷ এর জন্য এ অঞ্চলে আগে অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে, মারাও গেছে অনেকে৷ তবে আশার কথা, এতদিনে সিচুয়ান প্রদেশের টনক নড়েছে৷ শোনা যাচ্ছে শীঘ্রই এখানে একটি পাতের সিঁড়ি তৈরি করা হবে৷
-
শিশুদের স্কুলে যাওয়ার বিপজ্জনক কিছু রাস্তা
কাঠের রাস্তা
দক্ষিণ চীনের প্রত্যন্ত অঞ্চল গুয়াংশির একটি গ্রামের শিশুদের স্কুলে যাওয়ার জন্য রোজ নংইয়ং পর্যন্ত যেতে হয়৷ এর জন্য প্রতিদিন দুই ঘণ্টা কাঠের সিঁড়ি বেয়ে পাহাড়ে উঠতে হয় তাদের৷ শুধু তাই নয়, কাঠের এই সিঁড়িগুলোতে কোনো রেলিং পর্যন্ত নেই!
-
শিশুদের স্কুলে যাওয়ার বিপজ্জনক কিছু রাস্তা
তারের সেতু
ইন্দোনেশিয়ার লেবাক অঞ্চলের শিশুদের স্কুলে যেতে হলে একসময় তারের এই ঝুলন্ত সেতুটির ওপর দিয়ে যেতে হতো৷ নীচেই নদী, তাই এ পথও ছিল যথেষ্ট দুর্গম৷ এখন অবশ্য এখানে নতুন রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে৷
-
শিশুদের স্কুলে যাওয়ার বিপজ্জনক কিছু রাস্তা
ভেলায় চড়ে স্কুলে যাওয়া
শুনলেই রোমাঞ্চকর মনে হতে পারে৷ কিন্তু ফিলিপাইন্সের একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশুদের এমনটা প্রতিদিন করতে হয় প্রয়োজনে, সাধ করে নয়৷ হ্যাঁ, গ্রাম থেকে রিজাল প্রদেশে যেতে ভেলায় চড়ে রোজ নদী পার হতে হয় তাদের৷ সেখানেই রয়েছে এলাকার একমাত্র স্কুলটি৷ তাই লাখো শিশু এভাবেই ভেসে ভেসে স্কুলে যায় প্রতিদিন৷
-
শিশুদের স্কুলে যাওয়ার বিপজ্জনক কিছু রাস্তা
শিক্ষার আলো পেতে পাহাড়ে ওঠো!
মরক্কোয় স্কুলে যাওার এই রাস্তাটা চীনের সিচুয়ান প্রদেশের লিয়াংশান জেলার মতো এতটা ঝুঁকিপূর্ণ না হলেও, কষ্টকর বটে৷ জাহিরা নামের ছোট্ট এই মেয়েটিকে স্কুলে যাতায়াতের জন্য প্রতিদিনই অন্তত চার ঘণ্টা পাথর বিছানো এই উঁচু-নীচু পথে হাঁটতে হয়, তাও আবার দীর্ঘ ২২ কিলোমিটার৷
লেখক: মাইকে ভেরলাট/ এনএস