যেভাবে লড়ছেন যুক্তরাষ্ট্রের করোনা-যোদ্ধারা
করোনায় মৃতের সংখ্যা দু’লাখের বেশি আর আক্রান্ত প্রায় ৭০ লাখ- সব মিলিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি অ্যামেরিকায়৷ ছবিঘরে দেখুন কীভাবে করোনা পরিস্থিতি সামলাচ্ছেন দেশটির পেশাজীবী করোনাযোদ্ধারা৷
‘নবজাতকের হাসিতেই আনন্দ ’
মাইরি ব্রিন রোথমাস মেরিল্যান্ডের একটি হাসপাতালে ধাত্রীর কাজ করেন৷ করোনার কারণে মাস্ক-পিপিই পরেই তাকে দায়িত্ব পালন করতে হয়৷ তবে নবজাতক জন্মের আনন্দ তাকে অভিভূত করে জানিয়ে বলছিলেন, ‘‘নবজাতকের জন্মের সময় ভুলে যাই মাস্ক-পিপিই-র কথা৷ আর নবজাতকের মায়ের সাথে ভাগাভাগি করি আনন্দ৷’’
‘ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছি’
ভার্জিনিয়ার একটি হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী আলবের্টা টাপিয়া বলেন, ‘‘এমন পরিস্থিতিতে কাজ করতে নিরাপত্তা-উপকরণ প্রয়োজন৷আমরা নিজেদের ও আমাদের পরিবারকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছি৷ এজন্য ঝুঁকি ভাতা দেওয়ার দাবি জানাই৷’’
‘এমন হবে কখনো ভাবিনি’
ট্রাক চালক গ্রেগ এন্ডার্সনকে নিয়মিত নিউইয়র্ক, টেক্সাসসহ রেডজোনগুলোতে যেতে হয়৷ কেউ ট্রাকের দরজায় হাত দিয়েছে কিনা, কেউ খুব কাছে দাঁড়িয়ে আছে কিনা এগুলো মাথায় নিয়ে চলা খুব কঠিন, জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘কখনো ভাবিনি জীবনে এমন কিছু দেখবো৷’’
‘স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে করোনা’
‘‘এত ব্যস্ততায় আলাদা করে কোনো মুহুর্ত বলা কঠিন৷ তবে অক্সিজেন পাওয়ার জন্য ব্যাকুল রোগীদের বিবর্ণ মুখ, কিংবা মৃত্যুর সাথে লড়া রোগীর স্বজনদের অশ্রুভেজা চোখ- সব কিছু মিলিয়ে করোনা আসলে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য স্মরণীয় হযে থাকবে,’’ বলেন ওয়াশিংটনের এক হাসপাতালে নার্স ব্রিট্টা ব্রেনেন ও আরভিন্ড সুগুনেস৷
স্যানিটাইজেশনে স্বস্তি
যুক্তরাষ্ট্রের ডাক বিভাগে ২০ বছর ধরে কাজ করেন নুয়েন জিম্মি মিন৷ নিজের কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে তিনি বলেন ‘‘আমি খুব স্বস্তি বোধ করি, কারণ, আমরা সবকিছুই জীবানুমক্ত করে কাজ করি৷’’
‘আমি ভাগ্যবান’
করোনার সময়ে মানুষের সেবা করতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন ওয়াশিংটনে শিশুদের নিয়ে কাজ করা সমাজকর্মী অড্রে নেফ৷ ‘‘আমি ভাগ্যবান যে আক্রান্ত মানুষের কাছে সেবা পৌঁছে দিতে পেরেছি,’’ বলেন তিনি৷