‘যেখানে পুলিশ নিজেই সন্ত্রাসী সেখানে সে কাকে ধরবে' | পাঠক ভাবনা | DW | 14.12.2016
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

মতামত

‘যেখানে পুলিশ নিজেই সন্ত্রাসী সেখানে সে কাকে ধরবে'

সাঁওতালদের বাড়িতে পুলিশের আগুন দেয়ার ভিডিও প্রকাশ হওয়ায় তা নিয়ে তোলপাড় বাংলাদেশে৷ আর বিষয়টি যে পাঠকদের মনকেও বেশ নাড়া দিয়েছে, তা প্রকাশ পেয়েছে ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায়৷

ভিডিও ফুটেজে এক পুলিশ সদস্যকে সাঁওতালদের একটি বাড়িতে আগুন দিতে দেখা গেছে৷ তবে পুলিশের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে৷ সেক্ষেত্রে কামরুজ্জামান বিপ্লবের মন্তব্য, ‘‘এই পুলিশ বাহিনী আগেও পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করে বিরোধী দলের উপর চাপিয়ে দিয়েছে৷''

মোখলেস উদ্দিন বলছেন, ‘‘ঢাকা শহর যে কয়টি বস্তিতে আগুন লাগছে সবক'টিই পরিকল্পিত৷ গরিবলোকের জীবনের কোনো দাম নেই এই ডিজিটাল বাংলাদেশের কাছে৷''

তবে মামুন আহমেদ উল্লাহর ধারণা, ‘‘বিএনপির আন্দোলনের সময়ও পেট্রোল বোমা মারার সময় হাতেনাতে ধরা খেয়েছিল এই গোপালি পুলিশ! একটারও বিচার হয়নি, উল্টো সেই অপরাধের সাজা বিরোধী দলের উপর চাপিয়ে তাদের বিচার করা হচ্ছে!! বাংলাদেশে যত রাজনৈতিক অপকর্ম হচ্ছে তার বেশিরভাগ অপকর্মে পুলিশি জড়িত৷''

পাঠক আবেদ হক কিন্তু এ সব অপকর্মের জন্য সকরারকেই দায়ী করছেন৷ তিনি মনে করেন, সরকার নাকি পুলিশকে যা ইচ্ছা তা করার লাইসেন্স দিয়ে রেখেছে৷

রাজ রিপন সরাসরিই বলছেন, যে রক্ষক যখন ভক্ষকের ভূমিকা পালন করে তখন বলার ভাষা হারিয়ে ফেলে মানুষ৷

‘‘যেখানে পুলিশ নিজেই সন্ত্রাসী সেখানে পুলিশ কাকে ধরবে'' – এ সবই নাকি ওদের পূর্বপরিকল্পিত৷ লিখেছেন বাঁধন বিশ্বাস৷

‘‘আমরা এখন ভিনদেশি রোহিঙ্গা নিয়ে ব্যস্ত, সাঁওতালদের দিকে তাকানোর টাইম কই?'' মন্তব্য প্রভাত কুমার রায়ের৷

ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে পুলিশ আগুন দিয়েছে তাই ফেসবুক বন্ধু গিয়াস উদ্দিন মনে করেন, ‘‘সকলকেই শাস্তির আওতায় আনা উচিত৷''

মাহমুদ সুলতানের মতে, এ দেশে ঘটমান অপরাধের ৮০ ভাগই পুলিশ দ্বারা হচ্ছে৷

কিছুদিন আগে বিএনপি বলে, বাংলাদেশ এখন ‘পুলিশি রাষ্ট্র'৷ ‘‘আমরা কি এখন তাই ধরে নেব?'' প্রশ্ন জি. রহমানের৷ 

শুভ সরকার তো বেশ দুঃখ করেই লিখেছেন, ‘‘আজকাল আর সত্য ও ন্যায়নিষ্ঠাবান মানুষ চোখে পড়ে না৷''

আর পুলিশের বর্তমান কর্মকাণ্ডে পাঠক আবদুর রাজ্জাকের কাছে মনে হয়েছে যে, পুলিশ নাকি এখন কোনো বিশেষ দলের৷ অর্থাৎ জনগণের সেবার জন্য তারা আর কাজ করে না৷

এ বিষয়ে মুহিম সালমানের মন্তব্য, ‘‘বিতর্কিত সরকারের বিতর্কিত পুলিশ৷'' প্রায় একই মত পাঠক জয় মন্ডলেরও৷

আজিজুর রহমান সাজুর ভাষায়, ‘‘পুলিশ কেন বলা হচ্ছে? মূলত এ কাজ তো সরকার করেছে!''

অন্যদিকে আবার পুলিশের পক্ষ নিয়ে রানা রাজন লিখেছেন, ‘‘আমরা কিন্তু কিছু দেখি নাই, যা দেখছি সব মিথ্যা৷''

ডয়চে ভেলের পুরনো বন্ধু এম এ বারিকের কাছে পুরো ব্যাপারটি আজব বলেই মনে হচ্ছে৷ তিনি শুধু লিখেছেন, ‘‘আজব ব্যাপার৷''

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

নির্বাচিত প্রতিবেদন