যে হোটেলে খেতে টাকা লাগে না
সুবিধাবঞ্চিত মানুষরা বিনামূল্যে খাবার পাচ্ছেন সেখানে৷ তবে কমলাপুরের এ হোটেলটিতে খাবার পেতে দিনে অন্তত একটি ভালো কাজ করার খবর দিতে হয়৷
খোলা আকাশের নীচে
কমলাপুরের অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপো সংলগ্ন ফুটপাথের এ হোটেলটির নাম ‘ভালো কাজের হোটেল’৷ খোলা আকাশের নীচে হোটেলটি পরিচালনা করছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ইউথ ফর বাংলাদেশ’৷ সংগঠনটির ২৬৫ জন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিদিন দশ টাকা করে চাঁদা দিয়ে এটি চালান৷
দিতে হবে ভালো কাজের খবর
খাবার পেতে দিতে হবে দিনে অন্তত একটি ভালো কাজ করার খবর৷ সেটা হতে পারে কোনো শিশু বা প্রতিবন্ধীকে রাস্তা পার হতে সহযোগিতা, কোনো বৃদ্ধের ব্যাগ বহন বা অন্যের উপকার হয় এমন যে কোনো কাজ৷
বাদ যাবে না কেউই
অবশ্য ভালো কাজ করার খবর না দিতে পারলেও ফেরানো হয় না কাউকে৷ ভালো কাজের জন্য উৎসাহিত করে দেওয়া হয় খাবারের প্যাকেট৷
ভালো কাজে অনেকেই
হোটেলটিতে দিনে ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে খাবার দিচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবীরা৷ স্বেচ্ছাসেবী মো. শাওন জানান, এক মাস হলো যাত্রা শুরু করেছে হোটেলটি৷ এ সময় তারা অন্তত আট হাজার মানুষকে একবেলা খাইয়েছেন৷
প্রতিদিন ভালো কাজ, প্রতিদিন পুরস্কার
পুরো সপ্তাহই ভালো কাজে উৎসাহ দেন স্বেচ্ছাসেবীরা৷ রবি থেকে বৃহস্পতি দুপুর দেড়টা থেকে তিনটা পর্যন্ত চলে ফুটপাথে খোলা হোটেলে খাবার বিতরণ৷ শনিবার খাবার দেওয়া হয় সন্ধ্যা থেকে৷ আর শুক্রবার স্বেচ্ছাসেবীরা নিজেরাই খাবার কাঁধে নিয়ে ঘুরে বেড়ান বিভিন্ন এতিমখানায়৷
যেভাবে চলে কার্যক্রম
সংগঠনের সদস্যরা নিজেদের চাঁদার টাকায় নিজেরাই বাজার করেন৷ প্রতিদিন রান্না করে নিজেরাই ভ্যানে করে হোটেলে নিয়ে আসেন৷
খাবারের মেনু
খাবারের প্যাকেটে কখনো থাকে ডিম-খিচুড়ি, কখনো বা খিচুড়ি-মাংস৷
আরআর/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)