যে রোম্যান্টিক মুভিগুলো মিস করা যাবে না
হলিউড অসংখ্য রোম্যান্টিক মুভি উপহার দিয়েছে বিনোদনপ্রেমীদের৷ সেগুলোর মধ্যে অনেকগুলো এতটাই মন কেড়েছে দর্শকদের যে, সেগুলো না দেখলে চলচ্চিত্র দর্শক হিসেবে জীবনই ব্যর্থ৷ চলুন এক ঝলক দেখে আসি ছবিগুলোর নাম৷
দ্য ইংলিশ পেশেন্ট
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় উত্তর আফ্রিকার একটি প্রেমকাহিনির উপর নির্ভর করে এই চলচ্চিত্রটি ১৯৯৭ সালে অস্কারে ১২টি ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পেয়েছিল৷
নটিং হিল
জুলিয়া রবার্টস ও হিউগ গ্রান্টের এই ছবিটি একটি কালজয়ী প্রেমের ছবি৷
বিফোর সানরাইজ/বিফোর সানসেট/বিফোর মিডনাইট
দেখা হলো ট্রেনে৷ কথা হলো৷ এক বেলাতেই প্রেম হয়ে গেল৷ চমৎকার এই ছবিটির একটি সিকুয়েলও আছে৷
লাভ অ্যাকচুয়ালি
রোম্যান্টিক অভিনেতা হিউগ গ্রান্ট ও কলিন ফির্থের এই ছবিটি যেমন হাস্যরসে ভরপুর, তেমনি দর্শকদের কাঁদাতেও প্রস্তুত৷
ইট হ্যাপেনড ওয়ান নাইট
১৯৩৪ সালের এই প্রেমের ছবিটিও যাঁরা দেখেননি, তাঁরা মিস করেছেন৷
হোয়েন হ্যারি মেট স্যালি
ছেলে ও মেয়ে কখনো বন্ধু হতে পারে না৷ হ্যারি ও স্যালি দু’জনেই তা বিশ্বাস করেন৷ দুই নিউ ইয়র্কার যুগলের এই ছবিটি ব্যাপক দর্শকনন্দিত হয়েছে৷
ঘোস্ট
অসম্ভব রোম্যান্টিক এই ছবিটিতে অভিনয় করেছেন ডেমি মুর ও প্যাট্রিক শোয়াইৎসে৷
দ্য প্রপোজাল
বস তাঁর অ্যাসিস্টেন্টকে বিয়ের প্রস্তাব দেন৷ এর ফলে তিনি তাঁর ভিসার মেয়াদ বাড়াতে পারবেন৷ বিনিময়ে অ্যাসিস্টেন্ট পাবে প্রমোশন৷ এভাবেই সাজানো হয়েছে এই ছবির প্লট৷
অ্যান অফিসার অ্যান্ড এ জেন্টলম্যান
সুপারস্টার রিচার্ড গ্যেরের ছবি এটি৷ ছবিটি দেখার সময় চোখ মুছতে হাতে টিস্যু রাখতে হবে৷
কাসাব্লাংকা
ওল্ড ইজ গোল্ড৷ ১৯৪২ সালের এই ছবিটিতে ইলসা ও রিক একটি আইকনিক যুগল৷
ব্রোকব্যাক মাউন্টেন
অসাধারণ এই প্রেমের ছবিটি দু’জন কাউবয়ের৷ দুই পুরুষের মধ্যকার এই প্রেম এত চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, তা না দেখলে কেউ বিশ্বাস করবে না৷
লাভ স্টোরি
ভালোবাসা মানে কখনো ‘সরি’ না বলা৷ যদি তা বিশ্বাস করেন, তাহলে এই ছবিটি দেখতে হবে৷
লাইক ক্রেজি
প্রথম প্রেমকে কে ভুলতে পারে? তাই যদি হয়, তাহলে দেখুন লাইক ক্রেজি মুভিটি, যেখানে ভাগ্য এক যুগলকে আলাদা করে দেয়৷
ব্রেকফাস্ট অ্যাট টিফানি’স
কমেডি, রোম্যান্স আর চমৎকার চিত্রায়নের জন্যই ছবিটি দেখা যায়৷ কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা বলিউডের ইতিহাসের সবচেয়ে সুন্দরী ও অসাধারণ অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্নের ছবি এটি৷ ধ্রুপদী এই চলচ্চিত্রটি যদি না দেখে থাকেন, তাহলে এখনই দেখে ফেলুন৷
ব্লু ভ্যালেন্টাইন
বিয়ের পর অম্লমধুর সম্পর্ক নিয়ে সব বিবাহিত ব্যক্তিই উপন্যাস লিখে ফেলতে পারবেন৷ কিন্তু তা কতটা হৃদয় ছুঁতে পারে তা জানতে হলে দেখতে হবে রায়ান গোসলিং ও মিশেল উইলিয়ামসের এই ছবিটি৷
দ্য ওয়ে উই ওয়ের
বারবারা স্ট্রাইসান্ড ও রবার্ট রেডফোর্ড অভিনীত ছবি এটি৷ আর কিছু বলার দরকার আছে?
বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট
এই গল্পের ওপর কয়েকটি ছবি নির্মিত হয়েছে৷ কিন্তু ১৯৯১ সালের ক্লাসিক্যাল অ্যানিমেশন ছবিটি আজও সমাদৃত৷
দ্য বিগ সিক
আন্তঃসাংস্কৃতিক ভালোবাসা কী? দেখতে হলে এই ছবিটি দেখুন৷ একজন দক্ষিণ এশিয়ার যুবকের সঙ্গে এক পশ্চিমা নারীর প্রেমই শুধু মুখ্য নয় এখানে, উঠে এসেছে সাংস্কৃতিক ভিন্নতাগুলোও৷
মাই বেস্ট ফ্রেন্ড’স ওয়েডিং
আবারো জুলিয়া রবার্টস৷ প্রেমের ছবিতে এত চমৎকার অভিনয় করেন কীভাবে তিনি? এই ছবিটিতে অনেক মজার টুইস্ট আছে৷
লাইফ ইজ বিউটিফুল
পিতা-পুত্রের অনন্য সম্পর্ক নিয়ে এই ইটালিয়ান ছবিটি নির্মিত হয়েছে৷ রুমাল রাখতেই হবে সঙ্গে৷
রোমান হলিডে
অড্রে হেপবার্ন আসবেনই ঘুরে ঘুরে৷ রোমান হলিডে সম্পর্কে একটাই কথা বলা যায়৷ দেখার বিকল্প নেই৷
দ্য ফল্ট ইন আওয়ার স্টার্স
‘আ ওয়াক টু রিমেম্বার’ দেখে কি চোখে জল এসেছিল? তাহলে আপনার জন্য এই ছবিটি৷ টিনএজ ভালোবাসার এই ছবিটি আসলেই মর্মস্পর্শী৷
গার্ডেন স্টেট
মিষ্টি প্রেমের এই ছবিটি শুধু গল্পের জন্য নয়, সাউন্ডট্র্যাকটিও অসাধারণ৷
দ্য নোটবুক
রোম্যান্টিক ছবির নাম নেয়া হবে আর ‘দ্য নোটবুক’-এর নাম আসবে না তা হতেই পারে না৷ একই কথা এর বেলাতেও প্রযোজ্য৷ দেখতেই হবে এই চলচ্চিত্রটি৷
অ্যাবাউট টাইম
এক যুবক আবিষ্কার করেন যে তিনি টাইম ট্রাভেল করতে পারেন৷ চমৎকার একটি ছবি৷
ক্যারল
দুই নারীর মধ্যকার ভালোবাসা নির্ভর এই মেলোড্রামাটি ১৯৫০-এর প্রেক্ষাপটে তৈরি৷
অ্যাটনমেন্ট
জেমস ম্যাকঅ্যাভয় ও কাইরা নাইটলি অভিনীত ছবিটি দৃশ্যগুলো থেকে চোখ ফেরানো কঠিন৷
এটারনাল সানশাইন অফ দ্য স্পটলেস মাইন্ড
জিম ক্যারি ও কেট উইন্সলেট অভিনীত ২০০৪ সালে সাইন্স ফিকশন নির্ভর এই ছবিটির মূল বিষয় হলো এই যুগল তাদের প্রেমের সব স্মৃতি মুছে ফেলতে চান৷
টাইটানিক
টাইটানিকের কথা না উল্লেখ করলেই নয়৷ জেসম ক্যামেরনের এই ছবিতে ডুবন্ত এক জাহাজে জ্যাক ও রোজের যে প্রেমের গল্প বলা হয়েছে, তা অকল্পনীয়৷
লস্ট ইন ট্রান্সলেশন
সত্যিকারের যুগলদের মধ্যে কেমন একটা অপার্থিব যোগাযোগ থাকে৷ স্কারলেট জোহানসেন ও বিল মারের ক্ষেত্রেও তাই ঘটে এই ছবিতে, যখন তাদের দেখা হয় টোকিও-র একটি হোটেল বারে৷