যে রেলওয়ে বদলে দিতে পারে করাচির চেহারা
আইয়ুব খানের আমলে সৃষ্ট করাচি সার্কুলার রেলওয়ে বন্ধ হয়ে যায় ১৯৯৯ সালে৷ চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর সহযোগিতা সংস্থার অর্থানুকুল্যে তা আবার চালু করার চেষ্টা চলেছে৷
অতীত গৌরব
১৯৬৯ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল অবধি করাচি সার্কুলার রেলওয়ে চালু ছিল৷ এককালে দিনে ১০৪টি ট্রেন চলত কেসিআর-এর মেইন ও লুপ লাইনে৷ পরে দুর্নীতি, অব্যবস্থা ও লোকসানের কারণে সার্কুলার রেলটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়৷
যানজট
দু’কোটি সাতাশ লাখ অধিবাসীর শহর করাচিতে যানজট ও তার সঙ্গে জড়িত বায়ুদূষণ একটি প্রধান সমস্যা৷ সার্কুলার রেল উভয় সমস্যা উপশমে সাহায্য করতে পারে৷
মাটিচাপা
করাচি সার্কুলার রেলওয়ের ৪৩ কিলোমিটার লাইনের অধিকাংশ আজও টিকে আছে – তবে মাটির তলায়৷ সার্কুলার রেল বন্ধ হয়ে যাবার পর মানুষজন শুধু লাইনের ধারেই নয়, লাইনের ওপরেও বাড়ি তুলেছেন৷
হাজার হাজার মানুষের বাড়ি ভাঙা হতে পারে
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী সার্কুলার রেলের সাবেক লাইন বরাবর আনুমানিক ৫,০০০ বাড়ি ও ৭,০০০ অপরাপর আবাসন ভেঙে ফেলতে হবে৷ সব প্রতিরোধ সত্ত্বেও প্রকল্পটির কাজ এ বছরেই শুরু হতে চলেছে৷
প্রতিরোধ
২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে সার্কুলার রেলের কাজে একটি বস্তি খালি করার সময় দাঙ্গার সূচনা হয়৷ বস্তিবাসীরা পুলিশের সাথে খণ্ডযুদ্ধে লিপ্ত হন ও একাধিক বুলডোজারে আগুন ধরিয়ে দেন৷
টাকার উৎস
চীন যে নতুন ‘সিল্ক রোড’ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে, করাচি সার্কুলার রেলওয়ে তারই অংশ৷ নতুন সার্কুলার রেল নির্মাণের অর্থ আসছে চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর (সিপিইসি) সংস্থার তহবিল থেকে৷