যে মসজিদে নারী-পুরুষ সমান
মুসলিম নারী-পুরুষরা কি মসজিদে একই কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে পারেন? সেই সুযোগ রেখে বার্লিনে একটি প্রোটেস্ট্যান্ট চার্চের ভেতর সদ্যই উদ্বোধন করা হল একটি মসজিদ৷ এতে অনেকেই খুশি, কিন্তু সবাই নয়৷
ইবনে রুশদ গ্যোটে মসজিদে স্বাগত
জার্মানির বার্লিনে একটি প্রোটেস্ট্যান্ট চার্চে তৈরি করা হয়েছে ইবনে রুশদ গ্যোটে মসজিদ৷ এখানে নারী-পুরুষ সবাই সমানভাবে এক কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে পারেন৷ বারো শতকের ইসলামিক স্কলার ইবনে রুশদ এবং বিখ্যাত জার্মান নাট্যকার গ্যোটের নামে করা হয়েছে এই মসজিদটি৷
একজন নারী উদ্যোক্তা
সেইরান আতেজ নামের একজন মুসলিম নারী এই মসজিদের মূল উদ্যোক্তা৷ পেশায় উকিল হলেও তিনি একজন নারীবাদী এবং ইমাম৷ আট বছরের নিরলস প্রচেষ্টায় তিনি এই মসজিদটি তৈরি করেছেন৷
উদ্বোধন
গেল শুক্রবার মসজিদের উদ্বোধনে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন৷ মসজিদটি তৈরিতে যাঁরা সাহায্য করেছেন তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ জানান আতেজ৷ তিনি তাঁদেরও ধন্যবাদ জানান, যাঁরা তাঁর এই ধারণায় সমর্থন দিয়েছেন যে, তিনি কোন নতুন ধর্ম তৈরি করছেন না, বরং বিভেদহীন ধর্মীয় আচরণকে উৎসাহিত করছেন৷
শুধু নারী-পুরুষই নয়
শুধু নারী পুরুষ নন, এখানে শিয়া, সুন্নীসহ ভিন্ন মতাবলম্বীরা একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারবেন৷ এছাড়া এলজিবিটিরাও যোগ দিতে পারবেন৷ এমন উদারনৈতিক ধারণা নিয়েই এই মসজিদের পরিকল্পনা করেছিলেন আতেজ৷
সহজ ছিল না
আতেজের জন্য কাজটি মোটেই সহজ ছিল না৷ মসজিদটির জন্য যে চার্চ জায়গা দিয়েছে, সেই সেইন্ট জোহানেস চার্চের যাজক সাবিনা রম জানিয়েছেন যে, কাউন্সিলে বিষয়টি পাশ করাতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে৷
নিরাপত্তা ঝুঁকি
তবে সাধারণ মানুষের মনে মসজিদটি নিয়ে আতঙ্ক আছে৷ তাঁরা আশংকা করছেন, উগ্রবাদীরা হয়ত বিষয়টিকে ভালোভাবে নেবে না৷ যদি কেউ হামলা করে বসে, তাহলে এর নিরাপত্তা কে দেবে– এমন প্রশ্ন ঘুরছে তাদের মনে৷ তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন কোনো হামলার শংকা নেই৷
বাংলাদেশে মসজিদে নারীদের নামাজের জায়গা
বাংলাদেশে অনেক মসজিদেই পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরও নামাজ পড়ার সুযোগ আছে৷ তবে তা ভিন্ন ভিন্ন কক্ষে৷ বায়তুল মোকাররম, নিউমার্কেট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সোবহানবাগ, গুলশান আজাদ মসজিদসহ অনেক মসজিদেই রয়েছে নারীদের পৃথক নামাজের ব্যবস্থা৷