1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ছবিতে স্মৃতি ফিরিয়ে আনা

৩০ মার্চ ২০১৩

জ্বলজ্বল করে উঠল স্টেফান জোল্টভস্কির চোখ দুটো৷ আবার তিনি ফিরে গেছেন তাঁর শৈশবে৷ জন্মভূমির সেই জায়গা ধ্বংস হয়ে গেছে ৬৯ বছর আগে৷ অথচ একটা ত্রিমাত্রিক ছবি চোখের সামনে নিয়ে এসেছে শৈশবের ভালোবাসায় মোড়ানো জায়গাটাকে৷

https://p.dw.com/p/186zu
ছবি: Fotolia/fergregory

ছবির নাম ‘ওয়ারসজাওয়া ১৯৩৫'৷ দারুণ এক ছবি৷ তৈরি হয়েছে পোল্যান্ডে৷ ছবির পরিচালক, প্রযোজক তো বটেই, প্রায় সব কলাকুশলিও পোল্যান্ডের৷ ছবিটিও পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ নিয়ে৷ ভাবছেন পৃথিবীতে এত শহর থাকতে ওয়ারশ কেন? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান নাৎসি বাহিনী গুড়িয়ে দিয়েছিল প্রায় পুরো ওয়ারশ৷ শহরটিতে তখন ১৩ লাখ মানুষের বাস৷ বোমা হামলায় মারা যায় সাত লাখ৷ শহরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থানই হয়ে যায় নিশ্চিহ্ন৷ যুদ্ধ কত কিছুই তো কেড়ে নেয়, মানুষ আবার ভালোবেসে কত কি ফিরিয়েও আনে! ‘ওয়ারসজাওয়া ১৯৩৫' ফিরিয়ে এনেছে সেই ১৯৪৪ সালের ওয়ারশকে৷ দেখলে বোঝাই যাবে না কোনো ত্রিমাত্রিক ছবি দেখতে বসেছেন, আপনার চোখ ঘুরে ঘুরে দেখবে সেই পুরোনো আমলের বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট, বাস্তার পাশে সে আমলেরই উপযোগী সব বিজ্ঞাপন – কী নেই ‘ওয়ারসজাওয়া ১৯৩৫'-তে!

Museum für Zeitgenössische Kunst Warschau Polen
‘ওয়ারসজাওয়া ১৯৩৫' ফিরিয়ে এনেছে ১৯৪৪ সালের ওয়ারশকেছবি: Museum of Modern Art in Warsaw

এমন অসম্ভবকে সম্ভব করতে গিয়ে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে পরিচালক টোমাস গোমোলকে৷ পোল্যান্ডের ন্যাশনাল আর্কাইভ থেকে, ইন্টারনেট ঘেটে ঘেটে বের করেছেন সেই সময়ের অসংখ্য ছবি৷ উনিশ শতকের নগর পরিকল্পনা বের করে সেখান থেকেও নিয়েছেন হারিয়ে যাওয়া শহরটিকে ফিরিয়ে আনার জন্য দরকারি অনেক তথ্য৷ এভাবে এখান-ওখান থেকে নানা কিছু জোগাড় করে কষ্টসাধ্য গবেষণা কর্মের মতো দীর্ঘ এক কর্মযজ্ঞের পর কম্পিউটার নিয়ে বসা৷ হাতে ছবি আর তথ্য থাকলেই তো ত্রিমাত্রিক ছবি হয়ে যায়না৷ সেগুলোকে জোড়া দিয়ে বিশ্বাসযোগ্য করতে হলেও চাই সেরকম ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটার এবং দক্ষ কর্মী বাহিনী৷ অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, এ কাজ করতে গেলে সার্ভারে সমস্যা দেখে দিতে পারে ভেবে ইউরোপের কোনো দেশই সাহায্য করতে রাজি হয়নি৷ টোমাস গোমোলকে তাই ১২ টেরাবাইটের ডিজিটাল ছবিটি করতে হয়েছে পোল্যান্ডের ইনস্টিটিউট ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ এবং চীনের তথ্য কেন্দ্রের সহায়তায়৷

এত পরিশ্রমের ফলটা হয়েছে দারুণ৷ ১৯৪৪ সালে যিনি ছিলেন কিশোর, সেই স্টেফান জোল্টভস্কি এখন প্রকৌশলী হিসেবে কর্মজীবন শেষ করা ৮৪ বছরের বৃদ্ধ৷ ছবিটি দেখে তিনি ফিরে গিয়েছিলেন কৈশোরে৷ বাকিদেরও যে একই অবস্থা তা কি আর বলার দরকার আছে?

এসিবি/ডিজি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য