1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুবককে গুলি, ফের অশান্ত কাশ্মীর

১৪ মে ২০২০

নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে কাশ্মীরে নিহত ২৫ বছরের এক যুবক। যা নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছে উপত্যকা। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

https://p.dw.com/p/3cC8R
ছবি: Getty Images/AFP/T. Mustafa

করোনা লকডাউনের মধ্যেই ফের উত্তাপ ছড়ালো কাশ্মীরে। রাস্তায় নেমে ভারতীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন শ'য়ে শ'য়ে সাধারণ মানুষ। অভিযোগ, বুধবার 'ঠান্ডা মাথায়' ২৫ বছরের এক যুবককে গুলি করে খুন করেছে নিরাপত্তবাহিনী। ঘটনার কথা স্বীকার করলেও পুলিশের দাবি, বার বার বলা সত্ত্বেও গাড়ি থামাননি ওই যুবক। সে কারণেই নিরাপত্তাবাহিনী গুলি চালাতে বাধ্য হয়। যদিও এই যুক্তি মানতে নারাজ বিক্ষোভকারীরা। অগাস্ট মাসে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর থেকে লাগাতার লকডাউন চলছে কাশ্মীরে। বহু দিন পরে ফের সেখানে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে সামিল হলেন সাধারণ মানুষ।

ঘটনার সূত্রপাত বুধবার সকালে। পুলিশের অভিযোগ, শ্রীনগর শহরের অনতি দূরে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন ২৫ বছরের যুবক মেহরাজউদ্দিন পিয়ার শাহ। প্রথমে একটি চেকপোস্টে তাঁকে দাঁড়াতে বলা হয়। কিন্তু গাড়ি থামাননি যুবক। দ্বিতীয় চেক পোস্টেও না দাঁড়ালে নিরাপত্তরক্ষীরা তাঁকে সতর্ক করে। সে কথাতেও কান না দেওয়ায় গুলি চালানো হয়। ঘটনাস্থল থেকেই গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় মেহরাজকে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশের দাবি, ওই রাস্তায় সেনা বাহিনীর একটি কনভয় যাওয়ার কথা ছিল। সে কারণেই বেশ কয়েকটি চেক পোস্ট বসানো হয়েছিল। মেহরাজ গাড়ি না থামানোয় পুলিশের সন্দেহ হয়, এবং সে কারণেই গুলি ছোড়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের সঙ্গে অবশ্য পুলিশের বয়ান মিলছে না। স্থানীয় মানুষের দাবি, নিরাপত্তরক্ষীরা মেহরাজকে হাত দেখালে যুবক গাড়ি দাঁড় করান। গাড়ি থেকে নেমে নিরাপত্তরক্ষীদের তিনি বলেন জরুরি কাজে বেরিয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে নিরাপত্তরক্ষীরা তাঁকে ছেড়েও দেন। কিন্তু গাড়িতে ওঠার সময় তাঁকে পিছন থেকে গুলি করা হয়। মেহরাজের বাবাও একই অভিযোগ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, পুলিশের বয়ান ঠিক হলে গাড়িতেও বুলেটের চিহ্ন থাকতো। কিন্তু গাড়িতে তেমন কিছু নেই। 'ঠান্ডা মাথায় খুনের' অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার।

ঘটনার পর পরই শ্রীনগরের রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ। ভারত বিরোধী স্লোগানও দেওয়া হয়। নিরাপত্তারক্ষীরা সেই বিক্ষোভ ঠেকাতে গেলে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। অভিযোগ, পুলিশ পেলেট গান এবং কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে শুরু করে। পাল্টা পাথর বৃষ্টি শুরু করেন বিক্ষোভকারীরাও।

বুধবার থেকেই এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। তবে বৃহস্পতিবার সকালেও কোনও কোনও এলাকায় বিক্ষোভ দেখানোর খবর মিলেছে।

এসজি/জিএইচ (এপি, এএফপি)