1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা

১ মার্চ ২০১৮

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছে বিদ্রোহীদের শেষ শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত গুটাতে যুদ্ধবিরতি কার্যকরে ব্যর্থতার দায় একে অপরের উপর চাপাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া৷ আটকে পড়া সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না ত্রাণ৷

https://p.dw.com/p/2tWJ5
Syrien Luftangriffe auf Ost-Ghuta
ছবি: picture-alliance/Photoshot

সোমবার গুটাতে ‘মানবতার খাতিরে' বিমান হামলায় পাঁচ ঘণ্টা বিরতির নির্দেশ দেন পুটিন৷ এর আগে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আলোচনায় ৩০ দিনের জন্য আক্রমণ বন্ধ রাখার দাবি উঠেছিল৷

জাতিসংঘে নিযুক্ত অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পর্ক বিষয়ক মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেলি কুরি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বুধবার বলেছেন, ‘‘রাশিয়া, ইরান এবং আসাদ সরকার তাদের লাভের কথা ভাবছে, তাই তারা বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে হামলা অব্যাহত রেখেছে, কিন্তু সাধারণ মানুষকে সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিচ্ছে না৷'' কুরি সিরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন৷ বুধবার গুটায় হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে আসাদবাহিনীর বিরুদ্ধে৷ অন্যদিকে, রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হওয়ার জন্য সিরিয়ার বিদ্রোহীদের দায়ী করছেন৷ তাদের দাবি, যুদ্ধবিরতি কার্যকরের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে রাশিয়া৷

মস্কো এবং দামেস্ক দু'পক্ষই দাবি করছে, গুটাতে তারা সিরিয়ার সন্ত্রাসী দলগুলোর বিরুদ্ধে লড়ছে৷ মঙ্গলবার রাশিয়া যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও ত্রাণ সংস্থাগুলো কোন ধরনের মানবিক সহায়তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে৷ গুটা থেকে আহত মানুষদের হাসপাতালে নিতে পারছে না তারা৷

বুধবার আসাদ সরকারের দেয়া বাসগুলোতে সেখানে আটকে পড়া চার লাখ মানুষের কেউই এলাকা ছাড়তে পারেনি৷ বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানেই কেবল তারা অধিবাসীদের এলাকা ছাড়তে দেবে৷

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিভাগের প্রধান লোকক নিরাপত্তা পরিষদে বলেছেন, এই সপ্তাহে যদি ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে দু'পক্ষ সম্মত হয়, তাহলেই সেখানে ত্রাণ সংস্থাগুলোর প্রবেশ সম্ভব৷ অন্তত ১০টি স্থানে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে অপেক্ষায় আছে বেশ কয়েকটি ট্রাক৷ খুব শিগগিরই যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা না গেলে খাদ্যাভাবে এবং রোগাক্রান্ত হয়ে অনেক মানুষের মৃত্যু হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি৷

গুটায় সরকারি বাহিনীর এই বিমান হামলাকে ২০১১ সালে সিরিয়ায় সংঘাত শুরু হবার পর থেকে সবচেয়ে সহিংস হামলা হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে৷ এই হামলায় এ পর্যন্ত ৫শ'রও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে৷

২০১১ সালে আরব বসন্তের ধারাবাহিকতায় সিরিয়ায় গণবিক্ষোভ শুরু হয়৷ সেই বিক্ষোভ সহিংস রূপ নেয়৷ সাত বছরে সিরিয়ায় এই যুদ্ধে ৩ লাখেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন৷

এপিবি/ডিজি (এপি, রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য