1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইউক্রেন

যুদ্ধবন্দিদের মৃত্যু নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত

৪ আগস্ট ২০২২

জাতিসংঘের প্রধান জানিয়েছেন, রাশিয়ার দখলে থাকা এলাকার জেলে বিস্ফোরণ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

https://p.dw.com/p/4F5sq
গুতেরেস
ছবি: David 'Dee' Delgado/REUTERS

পূর্ব ইউক্রেনের ওলেনিভকা জেল এখন রাশিয়ার দখলে। চলতি সপ্তাহের গোড়ায় সেই জেলে বিস্ফোরণ হয়। অভিযোগ, জেল লক্ষ্য করে মিসাইল হামলা চালানো হয়েছিল। রাশিয়ার দখলে থাকা ওই জেলে শতাধিক ইউক্রেনযোদ্ধা বন্দি। ঘটনায় বহু যুদ্ধবন্দির মৃত্যু হয়েছে। তারই জেরে জাতিসংঘ এই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল পাঠানো হবে ওলেনিভকা জেলে। গুতেরেসের দাবি, ইউক্রেন এবং রাশিয়া দুই পক্ষই তদন্তের দাবি জানিয়েছে। রাশিয়ার অভিযোগ, ইউক্রেনের সেনা মিসাইল হামলা চালিয়েছে। কারণ, যুদ্ধবন্দিরা রাশিয়ার কাছে আত্মসমর্পনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। অন্যদিকে, ইউক্রেনের অভিযোগ, রাশিয়া এই কাজ করেছে কারণ, রাশিয়া ওই বন্দিদের উপর প্রবল অত্যাচার চালিয়েছে। তা যাতে বাইরে না বের হয়, তার জন্যই তাদের মেরে দেয়া হয়েছে।

রেডক্রস অবশ্য আগে জানিয়েছিল, রাশিয়া তাদের ওই জেলে ঢুকতে দেয়নি। একাধিকবার বলা সত্ত্বেও তাদের ভিতরে যেতে দেয়া হয়নি।

গ্যাসপ্রোমের নতুন বক্তব্য

রাশিয়ার তেল কোম্পানি গ্যাসপ্রোম নর্ড স্ট্রিম ১ নিয়ে নতুন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। সম্প্রতি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গ্যাস লাইনটি বন্ধ করা হয়েছিল। একটি টারবাইন সারানোর জন্য পাঠানো হয়েছিল ক্যানাডায়। যা নিয়ে ইউক্রেন ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল। সেই টারবাইন সারাই হয়ে জার্মানিতে এসেছে। কিন্তু গ্যাসপ্রোমের বক্তব্য, রাশিয়ার উপর পশ্চিমা দেশগুলির নিষেধাজ্ঞা থাকার জন্য ওই টারবাইন গ্রহণ করার ক্ষেত্রে তাদের কিছু সমস্যা হতে পারে। যদি তারা টারবাইন না নেয়, তাহলে গ্যাসের সরবরাহে সমস্যা বাড়বে।

পশ্চিমা দেশগুলির বক্তব্য, ইচ্ছে করেই টারবাইন সারানোর জন্য ক্যানাডায় পাঠানো হয়েছিল। যার জেরে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বিপুল পরিমাণ কমে গেছে। এবার যদি গ্যাসপ্রোম টারবাইন ফেরত না নেয়, তাহলে গ্যাস সরবরাহও বাড়বে না। টারবাইনের অজুহাত দেখিয়ে রাশিয়া আসলে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করতে চাইছে।

জার্মান চ্যান্সেলর জানিয়েছেন, টারবাইনটি রাশিয়ায় পাঠানোর জন্য প্রস্তুত। রাশিয়া প্রয়োজনীয় কাস্টমসের কাগজ তৈরি করলেই তা পাঠানো সম্ভব হবে। কিন্তু গ্যাসপ্রোমের বক্তব্য, নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে কোনোভাবেই তা নেয়া সম্ভব নয়।

লেবাননের পথে প্রথম খাদ্যশস্যের জাহাজ

ইস্তাম্বুল থেকে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পেয়ে গেছে ইউক্রেন থেকে রওনা হওয়া প্রথম খাদ্যশস্যের জাহাজ। ২৫ হাজার টন ভুট্টা নিয়ে জাহাজটি যাচ্ছে লেবানন। কয়েকদিনের মধ্যেই তা লেবাননে পৌঁছে যাবে বলে জানা গেছে। রাশিয়া, ইউক্রেন, তুরস্ক এবং জাতিসংঘ সকলেই ওই জাহাজটি পর্যবেক্ষণ করছে। যৌথ উদ্যোগেই খাদ্যশস্য বোঝাই জাহাজ লেবানন যাচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম কোনো জাহাজ ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য নিয়ে কৃষ্ণসাগরে নামতে পারলো।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ)