1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুক্তরাষ্ট্রের দুই রাজ্যে বন্দুক হামলায় নিহত ২৯

৪ আগস্ট ২০১৯

যুক্তরাষ্ট্রের দুটি রাজ্যে বন্দুক হামলার ঘটনায় অন্তত ২৯ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন৷ এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন৷

https://p.dw.com/p/3NJcD
USA Texas | Schießerei in El Paso - Patrick Crusius
ছবি: AFP/KTSM 9 News Channel

রবিবার স্থানীয় সময় রাত সোয়া একটায় দেশটির ওহিও রাজ্যের ডেটন এলাকায় বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত নয়জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ৷ হামলায় অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে৷ এর কয়েকঘণ্টা আগে দেশটির টেক্সাস রাজ্যের এল পাসো শহরের একটি শপিংমলে আরেক বন্দুকধারীর হামলায়  অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন৷ টেক্সাস পুলিশ জানায়, এ হামলায় অন্তত ২৬ জন আহত হয়েছেন৷

হামলার ঘটনাকে ‘কাপুরুষোচিত' বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প৷

ওহিওর বারে হামলা

ওহিও রাজ্যের ডেটন শহরের একটি বারের সামনে থাকা লোকজনকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে এক বন্দুকধারী৷ বন্দুকধারী এ ব্যক্তি এসময় বারে প্রবেশ করতে চাইলে ঐ এলাকায় দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাকে থামাতে গুলি ছুড়ে৷ তখন পুলিশের গুলিতে নিহত হন এই হামলাকারী৷ তবে হামলাকারীর বিস্তারিত পরিচয় এখনো কিছু জানায়নি কর্তৃপক্ষ৷ পুলিশ জানায় যে, ঘটনাস্থলের পাশেই দায়িত্বরত অবস্থায় ছিল আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা৷ গুলির শব্দ শুনতে পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ও হামলাকারীকে থামাতে পাল্টা গুলি করে৷ তবে কী কারণে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে কোন তথ্য জানায়নি পুলিশ৷

টেক্সাসে নিহত ২০

শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় দেশটির টেক্সাস রাজ্যের এল পাসো শহরে ওয়ালমার্টের একটি দোকানে বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ও ২৬ জন আহত হন৷ এ ঘটনায় পুলিশ ২১ বছর বয়সি একজনকে আটক করেছে৷ মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে যে হামলাকারী ডালাস এলাকার একজন বাসিন্দা৷

টেক্সাসের মেয়র গ্রেগ অ্যাবট এই ঘটনাকে সেখানকার 'ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ দিন' বলে বর্ণনা করেছেন৷

পুলিশ জানায় তারা এই ঘটনার তদন্ত করছে৷ তবে পুলিশ এটিকে ‘হেইট-ক্রাইম' বলে সন্দেহ করছে৷ এল পাসো শহরের পুলিশ বিভাগের প্রধান গ্রেগ আলেন বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে আমাদের কাছে যে তথ্য প্রমাণ রয়েছে তাতে মনে হচ্ছে যে এটি একটি হেইট ক্রাইম৷''

ট্রাম্পের নিন্দা

ঘটনার নিন্দা জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘‘এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে আমি সবার পাশে আছি৷ একটি হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন দেওয়ার কোন কারণ থাকতে পারেনা৷'' হামলার এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ডেমোক্র্যাট সদস্যরা৷ সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘‘এটি অসুস্থতা৷ সহ্য করার সব সীমা ছাড়িয়েছে এ হত্যাকাণ্ড৷''

উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মাঝেমাঝেই বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে৷ দেশটির রাজনীতিবিদদের একাংশসহ অনেকেই অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের পক্ষে মত দিয়েছেন৷ বেসরকারী সংস্থা গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের তথ্য মতে, চলতি বছর দেশটিতে ২৪৭টি বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে৷

আরআর/এআই (এপি, এএফপি, ডিপিএ, সিএনএন)