যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ হাজার ফুট উঁচুতে ধ্বংসাবশেষ ওড়ানো টর্নেডো
শুক্রবার এক ঝাঁক টর্নেডো হঠাৎ আঘাত হানে যুক্তরাষ্ট্রে৷ তাতে তছনছ হয়ে যায় বিস্তীর্ণ অঞ্চল৷ মৃতের সংখ্যা একশর বেশি৷ আহত অনেক৷ ঘর-বাড়ির ক্ষয়ক্ষতির হিসেব এখনো চলছে৷ ছবিঘরে বিস্তারিত...
২০ মিনিট আগে সতর্কতা
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলজুড়ে তাণ্ডব চালানো টর্নেডোতে কেনটাকি রাজ্যে অন্তত ১০০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, টর্নেডো আঘাত হানার মাত্র ২০ মিনিট আগে আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কতা সঙ্কেত পাওয়ায় একেবারে খালি হাতেই বেরিয়ে পড়তে হয় তাদের৷ কেনটাকির মেয়র বলেছেন, সতর্কতা সঙ্কেত জানানোয় মৃতের সংখ্যা অনেক কম হয়েছে৷
৩০ হাজার ফুট উঁচুতে...
প্রবল বেগে ধেয়ে আসা টর্নেডোর আঘাতে পাঁচটি রাজ্যের অনেক ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুঁড়িয়ে যায়৷ আবহাওয়া দপ্তর জানায়, কোথাও কোথাও মাটি থেকে ৩০ হাজার ফুট উঁচুতেও খড়কুটো উড়তে দেখা গেছে৷
কেনটাকিতে ভয়াবহ ধ্বংসলীলা
সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কেনটাকিতে৷ সেখানে অন্তত ৯৪ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে৷ মৃতের সংখ্যা একশ ছাড়াতে পারে৷ কেনটাকি রাজ্যের মেফিল্ড শহরে একটি মোমবাতি কারাখানা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেখানে প্রায় ১১০ জন লোক কাজ করছিলেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৪০ জনকে উদ্ধার করা গেছে৷ বাকিরা এখনো নিখোঁজ৷
জরুরি অবস্থা ঘোষণার দাবি
টর্নেডোর ক্ষতির ভয়াবহতা দেখে কেনটাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার বাইডেন সরকারের প্রতি দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে ত্রাণ এবং উদ্ধার কাজে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান৷
অসহায় মানুষ
নিজের বাড়ির ধ্বংসস্তূপের কাছে হতবিহ্বল হয়ে বসে আছেন একজন৷ কেন্টাকিতে কিছুক্ষণের প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঘর-বাড়ি হারানো এমন মানুষের সংখ্যা অনেক৷
উদ্ধার তৎপরতা
টর্নেডোর আঘাতে প্রাণ হারানোদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি রাজ্য শোকদিবস পালন করেছে। এর পাশাপাশি চলছে উদ্ধার অভিযান৷ এখনো অনেক মানুষ ধ্বংস স্তূপের নীচে চাপা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷
বাইডেনের ঘোষণা
রোববার, অর্থাৎ টর্নেডো আঘাত হানার দু’দিন পর কেনটাকি রাজ্যে ‘মেজর ফেডারেল ডিজাস্টার’ ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন৷ হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, এ ঘোষণার ফলে ক্যাল্ডওয়েল, ফুলটন, গ্রেভস, হপকিন্স, মার্শাল, মুলেনবার্গ, টেলর এবং ওয়ারেন-এর ক্ষতিগ্রস্তরা কেন্দ্রীয় সরকারের ত্রাণসহায়তা পাবেন৷