যুক্তরাষ্ট্রে গুলিতে নিহত আট, ছয়জনই এশীয় নারী
যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টা এলাকায় বন্দুকধারীর হামলায় আটজন নিহত হয়েছে৷ নিহতদের ছয়জনই এশীয় নারী৷ এশীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে৷ ছবিঘরে বিস্তারিত...
হামলার কারণ এশীয়দের প্রতি ঘৃণা?
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সময় বিকেল পাঁচটায় এশীয় বংশো্দ্ভূতদের মালিকানাধীন একটি ম্যাসাজ পার্লারে প্রথম হামলাটি হয়৷ তারপর আরো দুটি পার্লারে হামলা হয় এবং সেই দুটোর মালিকও এশীয়৷ ফলে এশীয়দের প্রতি ঘৃণা এ হামলার কারণ কিনা, এ প্রশ্ন উঠেছে৷ একটি হামলাস্থল ইয়ং’স এশিয়ান ম্যাসাজ-এর বাইরে তাই ‘এশীয়দের ঘৃণা করা বন্ধ হোক’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়েছেন এক মার্কিন যুবক৷
এই সেই হামলাকারী?
ঘটনার পর সন্দেহাভাজন হিসেবে রবার্ট আরন লং নামের এই তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ আটলান্টার উত্তরাঞ্চলের চেরোকি কাউন্টির উডস্টক শহরের এই বাসিন্দার সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি৷
এশীয়দের প্রতি ঘৃণা বাড়ছে
যুক্তরাষ্ট্রে এশীয়দের প্রতি ঘৃণা ক্রমশ বাড়ছে৷ স্টাডি অব হেট অ্যান্ড এক্সট্রিমিজম-এর এক সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০১৯ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ১৬টি প্রধান শহরে তা শতকরা ১৪৯ ভাগ বেড়েছে৷ ছবিতে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় গোল্ড স্পা-র সামনের দৃশ্য৷ নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে অনেকেই ফুল রেখে যান সেখানে৷
তদন্ত চলছে
গোল্ড স্পা-র বাইরে আটলান্টার পুলিশ কর্মকর্তাদের দেখা যাচ্ছে এই ছবিতে৷ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক রবার্ট আরন লং পুলিশকে বলেছেন, তিনি নিয়মিত স্থানীয় ম্যাসাজ পার্লারগুলোতে যেতেন৷ আটলান্টা থেকে ফ্লোরিডায় যাওয়ার সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ তদন্ত কর্মকর্তাদের সন্দেহ, আরো হামলা চালাতেই হয়ত ফ্লোরিডায় যাচ্ছিলেন আরন৷
এশীয় নারীরা আতঙ্কে
ছবির এই অ্যারোমাথেরাপি স্পা-তেও হামলা হয়েছে৷ তিনটি হামলাস্থলই এশীয়দের মালিকানাধীন, আট নিহতের ছয়জনই এশীয় বলে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত এশীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক৷ নিহত ছয় এশীয়ই নারী৷ তাই এশীয় নারীদের মাঝেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে মঙ্গলবারের এই ঘটনা৷
সহমর্মিতা
জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের অ্যাকওয়ার্থের ইয়ং’স এশিয়ান ম্যাসাজ-এ ফুল দিয়ে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন অনেকেই৷ যুক্তরাষ্ট্রের অনেক নাগরিকই আসছেন এশীয়দের প্রতি সমবেদনা জানাতে, তাদের অভয় দিতে৷
ঐক্যের ডাক
প্ল্যাকার্ডে কোনো এক মানবতাবাদীর ঘোষণা, ‘‘আমরা একে অন্যকে রক্ষা করবো, আমরা একতাবদ্ধ হয়ে ঘুরে দাঁড়াব৷’’
‘আমরা দুঃখিত’
অ্যাকওয়ার্থের এক বাসিন্দা ইয়ং’স এশিয়ান ম্যাসাজ-এর সামনে লিখে জানিয়েছেন তারা অনেকেই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এবং এমন বর্বরোচিত ঘটনার জন্য তারা দুঃখিত৷