1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুক্তরাষ্ট্র লিবিয়ায় বিরোধীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে, বললেন ক্লিন্টন

২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১

এবং সেটা জেনেভা যাত্রা করার স্বল্প আগে, যেখানে তিনি ইউরোপীয় মিত্র এবং বিভিন্ন আরব এবং আফ্রিকান দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মিলিত হবেন৷

https://p.dw.com/p/10QRY
লিবিয়া থেকে পলাতকছবি: DW

‘‘আমরা পূর্বাঞ্চলের বহু লিবীয়র সঙ্গে যোগাযোগ করছি, এবং বিপ্লব যখন পশ্চিমমুখো চলেছে, তখন সেখানেও৷... তবে এর ফলশ্রুতি যে কি হবে, তা এ্যাতো শীঘ্র বলা সম্ভব নয়৷'' এই হল ক্লিন্টনের উক্তি৷

কিন্তু বেনগাজিতে নবগঠিত জাতীয় লিবীয় পরিষদের এক মুখপাত্র বলেছেন যে, তাঁর গোষ্ঠী বিদেশী হস্তক্ষেপ চায় না৷ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য অথবা সমর্থন যে আপাতত ঠিক সে'ধরণের হবে না, তা বলাই বাহুল্য৷ ক্লিন্টন ঠিকই বলেছেন, বিপ্লব লিবিয়ার পশ্চিমাংশেও ছড়াচ্ছে৷ এই পরিস্থিতিতে গাদ্দাফি এবং তার অনুগামীদের প্রতিক্রিয়া মরীয়া হতে পারে৷ সেটা রোধ করার জন্যই হয়তো ক্লিন্টন স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে, নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবটি হল গাদ্দাফি এবং তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গোদের প্রতি একটি বার্তা: লিবিয়ার জনগণের বিরুদ্ধে যে সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং হবে, সেজন্য গাদ্দাফি চক্রকে দায়ী করা হবে৷ অপরদিকে গাদ্দাফির জন্যও যেন একটা পরোক্ষ আশ্বাস আছে: ওয়াশিংটন চায় যে গাদ্দাফি বিদায় নিন, তাঁর ভাড়াটে এবং অন্যান্য সৈন্যদের সরিয়ে নিন এবং ক্ষমতা ছাড়ুন৷ এর পরে তিনি কি করবেন, সেটা গাদ্দাফির ব্যাপার - বলেছেন ক্লিন্টন৷

কিন্তু গাদ্দাফির মতলব দেখা যাচ্ছে সম্পূর্ণ আলাদা৷ ত্রিপোলির মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে জাউইয়া বিদ্রোহীদের হাতে৷ কিন্তু শহরটি এখন ঘিরে রেখেছে গাদ্দাফির দু'হাজার সৈন্য৷ তারা নাকি পাল্টা আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ - গাদ্দাফির যে একটি গৃহযুদ্ধের অবতারণা করার মতো সৈন্যবল এখনও আছে, তা বিশ্লেষকরাও বলছেন৷ এবং গাদ্দাফি এখনও বিদেশী শক্তি এবং আল-কায়েদার ষড়যন্ত্রের কথা বলছেন৷ ওদিকে ত্রিপোলির ২০০ কিলোমিটার পূর্বে মিস্রাতা'তেও নাকি গাদ্দাফির সৈন্যরা বিমানবন্দর থেকে শহরের দিকে আসার চেষ্টা করে, কিন্তু প্রতিহত হয়৷ পরে গাদ্দাফি তরফের জঙ্গিবিমান থেকে শহরটির বেতারকেন্দ্রের দিকে গুলি চালানো হয়, বলে বিদেশে লিবীয় গোষ্ঠীদের খবর৷

NO FLASH Libyen Flucht Ägypter
মিশরের সালোম সীমান্তছবি: picture-alliance/dpa

আর যারা লিবিয়া ছেড়ে পালাতে আকুল, তাদের মধ্যে বাংলাদেশি শ্রমিকরাও পড়ছেন৷ সব মিলিয়ে গত সপ্তাহে এক লক্ষ মানুষ লিবিয়া থেকে পালিয়েছেন, বলে জানাচ্ছে জাতিসংঘের উদ্বাস্তু ত্রাণ সংস্থা৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়