1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
স্বাস্থ্যজার্মানি

যেসব দেশের জন্য করোনার বিধি শিথিল করলো জার্মানি

৪ জানুয়ারি ২০২২

দেশ দুটি থেকে জার্মানিতে আসা যাত্রীদের দুই সপ্তাহের কোয়ারান্টিনের নিয়ম তুলে নিয়েছে জার্মানি৷ এমন সময়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলো, যখন করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সংক্রমণ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পুরো ইউরোপ৷

https://p.dw.com/p/458Cd
ওমিক্রনে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হওয়া দেশগুলোর একটি যুক্তরাজ্যছবি: Zumapress/picture alliance

মঙ্গলবার থেকে বেশ কয়েকটি দেশের ওপর থেকে করোনা সংক্রান্ত কড়াকড়ি বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করেছে জার্মানি৷ এর মধ্য়ে ওমিক্রনের উচ্চ সংক্রমণ ঘটছে এমন কিছু দেশের নামও রয়েছে৷

বিধিনিষেধ তুলে নেয়া নয়টি দেশের মধ্য়ে যুক্তরাজ্য ও সাউথ আফ্রিকা ছাড়াও আফ্রিকার দক্ষিণের বেশ কয়েকটি দেশও রয়েছে৷ এসব দেশই ২০২১ সালের শেষ দিকে উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্ট ছড়াতে পারে, এমন তালিকাতে ছিল৷

তবে কোয়ারান্টিনের নিয়ম প্রত্যাহার করা হলেও এসব দেশকে উচ্চঝুঁকির তালিকাতে রাখা হয়েছে৷ এই তালিকার দেশগুলোতে নানা ধরনের বিধিনিষেধ থাকলেও টিকা নেয়া যাত্রীদের জন্য নিয়মে রয়েছে শিথিলতা৷

জার্মানির সংক্রামক রোগতত্ত্ব প্রতিষ্ঠান রবার্ট কখ ইনস্টিটিউট- আরকেআই ৩০ ডিসেম্বরই জানিয়েছিল যে মঙ্গলবার থেকে ওমিক্রনের কারণে আর কোনো দেশকে উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্টের তালিকায় যুক্ত করা হবে না৷ ওমিক্রন প্রথম সনাক্ত হয়েছিল সাউথ আফ্রিকায়, এরপর ভ্যারিয়েন্টটি খুব দ্রুতই বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে৷

ওমিক্রনে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হওয়া দেশগুলোর একটি যুক্তরাজ্য৷ জার্মানির আরো দুই প্রতিবেশী ফ্রান্স ও ডেনমার্কেও উচ্চ হারে ওমিক্রনের সংক্রমণ ঘটছে৷

উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্টের তালিকায় থাকা দেশগুলোর জন্য টেস্ট বা টিকা থাকলেও যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিন কোয়ারান্টিনের নিয়ম ছিল৷ জার্মানির নাগরিক বা বাসিন্দাদের জন্যও এই নিয়ম কার্যকর ছিল৷ অন্যদিকে উচ্চ ঝুঁকির তালিকায় টিকার প্রমাণ দেখাতে পারলে কোয়ারান্টিনে না থাকলেও চলবে৷ টিকা না নেয়া যাত্রীদের ১০ দিন কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে, তবে টেস্টে নেগেটিভ রেজাল্ট এলে তা পাঁচদিনে নেমে আসবে৷

নভেম্বর এবং ডিসেম্বরের শুরুর দিকে ওমিক্রন সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল জার্মানি৷ বিশেষ করে টিকা না নেয়াদের জন্য এসব বিধি বেশ কঠোর ছিল৷ তাতে কাজও হয়েছিল৷ সংক্রমণ বেশ কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছিল৷ তবে আরকেআই-এর পরিসংখ্যান বলছে, এখন সংক্রমণ আবার ধীরে ধীরে বেড়ে চলেছে৷

এখন পর্যন্ত পাওয়া বিভিন্ন তথ্যে জানা যাচ্ছে যে ওমিক্রন আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় শরীরে কম ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে৷ কিন্তু এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ হার অনেক বেশি হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে, যা পুরো স্বাস্থ্যখাতে প্রভাব ফেলতে পারে৷

জার্মানির প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ এরই মধ্য়ে বুস্টার ডোজও পেয়ে গেছেন৷ সবশেষ তথ্য বলছে বুস্টার ডোজ ওমিক্রনের বিরুদ্ধেও কার্যকর৷ তবে এখনও ২৫ শতাংশ মানুষ কোনো টিকার এক ডোজও নেননি৷

এডিকে/কেএম (এএফপি, ডিপিএ)