যিশুর সমাধিতে
জেরুসালেমের যে জায়গাটিতে যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল, সেখানেই সমাধিস্থ করা হয় তাঁকে৷ খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র এ জায়গাটি সাক্ষ্য দেয় ইতিহাসের৷ আর যিশু-ভক্তদের কাছে এটি আধ্যাত্মিক যোগাযোগের এক পবিত্র ভূমি৷
‘প্রভু যিশু’র পথ ধরে
‘‘এখানে এলে অন্য রকম এক অনুভূতি হয়, যা বলে ব্যাখ্যা করা যাবে না৷ এটি আমাদের কাছে শুধু একটি সমাধিই নয়, তার চেয়ে অনেক বড় অনুভূতির,’’ বলেন ২৬ বছর বয়সি আর্মেনিয়ান অর্থোডক্স পাদ্রি৷
ইতিহাসের সাক্ষী
পুরাতন জেরুসালেম শহরের এ সমাধি স্থলে চতুর্থ শতকে রোমান রাজা কন্সন্টেন্টাইন দ্য গ্রেট-এর আমলে এ গির্জাটি তৈরি করা হয়৷ এই রোমান সম্রাট পরে খ্রিষ্ট ধর্মে দীক্ষিত হন বলে জানা গেছে৷
তিন সম্প্রদায়ের মিলনমেলা
বর্তমানে গ্রিক অর্থোডক্স, আর্মেনিয়ান অর্থোডক্স ও রোমান ক্যাথলিক– এ তিন গোত্র মিলেই গির্জাটির ঐতিহ্যকে রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে৷ তবে গির্জাটির নিয়ন্ত্রণ কখন কাদের কাছে থাকবে এ নিয়েও তাঁদের মধ্যে চলতে থাকে লড়াই৷
রয়েছে অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীও
গ্রিক, আর্মেনিয়ান ও রোমানদের আধিপত্য থাকলেও, এ গির্জাটিকে পবিত্র মনে করেন অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীও৷
মোমবাতির আলোয় যিশুকে স্মরণ
এ গির্জাটিতে মূলত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থোডক্স খ্রিষ্টানরা জড়ো হন যিশুকে স্মরণ করতে৷ এরই অংশ হিসেবে মোমবাতির আলো জ্বালিয়ে যিশুকে স্মরণ করছেন ইথিয়োপিয়ান অর্থোডক্সরা৷
খ্রিষ্ট ধর্মের কেন্দ্রবিন্দু
‘‘পবিত্র এ সমাধিস্থল জেরুসালেম ও সারা বিশ্বের খ্রিষ্টানদের প্রাণ,’’ অর্থোডক্সদের বড়দিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন জেরুজালেমের ধর্মগুরু থিওপলিস ৩৷
‘পা ধোয়ার’ উৎসব
বাইবেল অনুসারে যিশু ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসাবে তাঁর শিষ্যদের পা ধুয়ে দিয়েছিলেন৷ সেই থেকেই ‘পা ধোয়া’ উৎসব অর্থোডক্সদের একটি রীতি৷ সেই রীতি অনুযায়ী উৎসবটি করছেন ধর্মগুরু থিওপলিস ৩৷
পবিত্র আগুন
অর্থোডক্স খ্রিষ্টানদের বিশ্বাস অনুযায়ী, প্রতি বছর বড়দিনের ঠিক আগের দিন যিশুর সমাধি থেকে এক ‘পবিত্র নীল’ রংয়ের আভা বেরিয়ে আসে৷ জেরুসালেমের এ গির্জাটিতে ‘পবিত্র আগুন’ উদযাপন করছেন অনুসারীরা৷