1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যাদবপুরে তৃণমূল শিক্ষাকর্মীর হাতে নিগৃহীত শিক্ষক

২ ডিসেম্বর ২০২২

আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার যাদবপুর। ফের আক্রান্ত শিক্ষক। উদ্বিগ্ন শিক্ষক-সমাজ।

https://p.dw.com/p/4KNfL
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রধান স্বপন ভট্টাচার্য
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রধান স্বপন ভট্টাচার্য ছবি: Subrata Goswami/DW

ভারতের প্রথমসারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির অন্যতম যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। বুধবার সেখানে এক তৃণমূল শিক্ষাকর্মীর কাছে অকথ্য গালিগালাজ শুনতে হলো রসায়ন বিভাগের প্রধানকে। অপরাধ, অন্য এক শিক্ষাকর্মীকে ক্লাসঘর খুলে দিতে বলেছিলেন তিনি।

ঘটনার সূত্রপাত বুধবার দুপুরে। রসায়ন বিভাগের প্রধান স্বপন ভট্টাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে এক শিক্ষাকর্মীকে ঘর খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু শিক্ষাকর্মী ঘর খুলতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে ওই শিক্ষাকর্মীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় রসায়ন বিভাগের প্রধানের। অভিযোগ, বিভাগীয় প্রধান শিক্ষাকর্মীকে বলেন, এমন করলে তিনি যেন অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টারে সই না করেন।

অভিযুক্ত শিক্ষাকর্মী
অভিযুক্ত শিক্ষাকর্মীছবি: Subrata Goswami/DW

শিক্ষাকর্মীদের একাংশের দাবি, এরপর ওই শিক্ষাকর্মী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই অবস্থিত তৃণমূলের শিক্ষাসাথী সেলে গিয়ে অভিযোগ জানান। সেখান থেকে শিক্ষাসাথী সেলের সভাপতি বিনয়কুমার সিং রসায়ন বিভাগে আসেন এবং স্বপনের উপর চড়াও হয়। স্বপন ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ‘‘অকথ্য গালিগালাজ করা হয় আমায়। প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।’’ কেন বিভাগীয় প্রধান ওই শিক্ষাকর্মীকে খাতায় সই করতে নিষেধ করেছেন, তা নিয়ে বারংবার প্রশ্ন করা হয় তাকে। কিন্তু কেন ওই শিক্ষাকর্মী ঘর খুলতে অস্বীকার করেছেন, সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে চায়নি বিনয়কুমার সিংহ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারছবি: Subrata Goswami/DW

বিষয়টি নিয়ে এরপর রেজিস্ট্রারের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয় শিক্ষক ইউনিয়ন জুটা। কেন বার বার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। জুটারশিক্ষক পার্থপ্রতিম রায় ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, দ্রুত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে গণ-পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া হবে।

রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানিয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের শোকজ করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।

অভিযুক্ত বিনয়কুমার সিং অবশ্য ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, রসায়নের বিভাগীয় প্রধান মিথ্যা বলছেন। তাকে মোটেই হেনস্থা করা হয়নি। তারা কেবল জানতে গেছিলেন, কেন অন্য শিক্ষাকর্মীকে রেজিস্টারে সই করতে নিষেধ করা হয়েছে।

কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, বিনয়কুমার মারমুখী ছিলেন। তিনি রসায়নের বিভাগীয় প্রধানকে কুৎসিত ভাষায় অপমান এবং হেনস্থা করেছেন।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, আনন্দবাজার অনলাইন)