শিমুলিয়ার পরিবর্তে পাটুরিয়া ঘাট ব্যবহারের আহবান
২৯ এপ্রিল ২০২২তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দেশে যতগুলো ঘাট আছে সব মিলে ৪৯টি ফেরি চলছে৷ এর মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার শিমুলিয়ায় চলছে ১০টি, মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ২১টি ও আরিচায় চারটি৷ পদ্মা সেতুর সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে শিমুলিয়া ঘাট থেকে ভারী যানবাহন পার হচ্ছেনা৷ শুধু হালকা গাড়ি চলাচল করছে৷’’
ঈদে ঘরমুখো মানুষকে নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে পারাপারে প্রস্তুতির কোনো অভাব নেই দাবি করে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘‘শিমুলিয়ায় যাত্রীদের নিরাপদে পারাপারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে৷ আমরা যাত্রী সাধারণকে বলেছি, পাটুরিয়া ঘাটকে ব্যবহার করতে৷ এতে করে তাদের ভোগান্তি কম হবে৷’’
‘‘তবে ঘাটে মানুষের চাপ আজকে বেশি৷ চাপের কারণে মাঝে মাঝে একটু অসুবিধা আছে৷ বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা শবে কদরের ইবাদত করেও মানুষের সেবায় সচেষ্ট রয়েছে৷ মানুষ আনন্দের সঙ্গে ঈদ করতে যাচ্ছেন,’’ বলেন প্রতিমন্ত্রী৷
শুক্রবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়ার ফেরি ঘাট, লঞ্চ ঘাট, স্পিডবোট ঘাট ঘুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন নৌ প্রতিমন্ত্রী৷ খবর ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের৷
এ সময় খালিদ মাহমুদ আরো বলেন, ‘‘এখানে পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা জোর দিয়ে দেখছি৷ সবকিছু চিন্তা করে আমরা এই পথে যে ফেরিগুলো চালাচ্ছি সেগুলোর ফিটনেস বেশ ভালো৷’’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে, বিএনপি সরকার বলেছিল, পদ্মা সেতু হবে পাটুরিয়ায়৷ তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ফেরি ঘাটে এসে বলেছিলেন, পদ্মা সেতু হবে মাওয়ায়৷ এরপর থেকেই মাওয়া বা শিমুলিয়া ঘাট আজকের দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত হয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কথা রেখেছেন৷ আমরা আশা করছি, কয়েক মাসের মধ্যে এই স্বপ্নের সেতু খুলে দেওয়া হবে৷’’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার সুযোগ নেই৷ ঘাটে ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছে, তারা বিষয়টি দেখছেন৷’’ এ সময় সেখানে অন্যান্যের মধ্যে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান শামীম আল রাজী, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক উপস্থিত ছিলেন৷
এদিকে সদরঘাটে সকালে যাত্রীর চাপ থাকলেও দুপুরে পন্টুনে কোনো লোক ছিল না৷ বিকালের দিকে যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে বলে জানান বিআইডব্লিউটিএর পরিবহন পরিদর্শক পি এম সিদ্দিকুর রহমান৷ তিনি বলেন, ‘‘সকালে চাঁদপুর রুটে সিডিউল অনুযায়ী লঞ্চ ছেড়ে যায় আর বরিশাল রুটেও কয়েকটি লঞ্চ ছেড়ে যায়৷ বৃহস্পতিবার সদরঘাট থেকে ১১০টি লঞ্চ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে ছেড়ে যায়৷’’
কোতোয়ালী থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, সদরঘাট টার্মিনাল কেন্দ্রিক ৮৫ জন পুলিশ সদস্য নিরাপত্তায় নিয়োজিত৷ শতাধিক সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে টার্মিনাল ও আশপাশের সড়কগুলোতে৷ রয়েছে একটি মনিটরিং সেন্টার৷ পুলিশ ছাড়াও র্যাব, কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্য নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে বলে ওসি জানান৷
এএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)