1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যথেষ্ট সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হচ্ছেন উত্তরসূরিরা

৪ আগস্ট ২০২১

সাধারণ নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগেও জার্মানির তিন চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী জনমত সমীক্ষায় যথেষ্ট সমর্থন আদায় করতে ব্যর্থ হচ্ছেন৷ করোনা সংকট ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ধাক্কায় নির্বাচনি প্রচারও জমছে না৷

https://p.dw.com/p/3yVyG
ছবি: Christof Stache/dpa/AFP/picture alliance

জার্মানির সাধারণ নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ বাকি৷ ২৬শে সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ হলেও চলতি আগস্ট মাসেই ডাকযোগে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেয়ে যাবেন জার্মানির মানুষ৷ করোনা সংকটের জের ধরে ভোটারদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ আগেই সেই সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন বলে অনুমান করা হচ্ছে৷ অর্থাৎ রাজনৈতিক দল ও নেতাদের হাতে ভোটারদের মন জয় করার জন্য সময় খুবই কম৷ অথচ নির্বাচনি প্রচার কিছুতেই জমে উঠছে না৷ জনমত সমীক্ষায় তিন চ্যান্সেলর পদপ্রার্থীর মধ্যে কেউই বিপুল সমর্থন পাচ্ছেন না৷ তাদের প্রতি সম্মিলিত সমর্থন, এমনকি ৬০ শতাংশও ছুঁতে পারছে না৷ ফলে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের ক্ষমতাকালের শেষে বিশাল শূন্যস্থান দেখা যাচ্ছে৷

সংসদীয় গণতন্ত্র হিসেবে জার্মানিতে আসনের বিচারে রাজনৈতিক দলগুলির শক্তি নির্ধারিত হয়৷ তবে শীর্ষ নেতার জনপ্রিয়তাও সমর্থন আদায়ে বড় ভূমিকা পালন করে৷ করোনা সংকট ও সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবারের নির্বাচনি প্রচারের উপর গভীর প্রভাব ফেলছে৷ নি্বাচনি ইশতাহার প্রকাশ করা সত্ত্বেও ক্ষমতায় এলে দলগুলির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার মধ্যে পার্থক্য তেমন স্পষ্ট হচ্ছে না৷ বিশাল জনসভা, জ্বালাময়ী ভাষণ, প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে তীব্র বাক্যবাণেরও তেমন লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছে না৷ তার উপর তিন শীর্ষ নেতা জনমানসে যথেষ্ট সমীহ আদায় করতে পারছেন না৷

ম্যার্কেলের ইউনিয়ন শিবিরের চ্যান্সেলর পদপার্থী আরমিন লাশেট মনোনয়নের পর প্রাথমিক দুর্বলতা কাটিয়ে জনসমর্থনের বিচারে বাকিদের পেছনে ফেলে কিছুটা এগিয়ে যেতে পেরেছিলেন বটে, কিন্তু তার নিজের রাজ্যে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর ‘দুর্বল প্রশাসক' হিসেবে বদনাম এখনো ঝেড়ে ফেলতে পারছেন না৷ এমনকি নিজের শিবিরের সমর্থকদের মধ্যে অর্ধেকের কাছেও তিনি গ্রহণযোগ্য নয়৷ রাজনীতি সরিয়ে রেখে এসপিডি দলের চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী ওলাফ শলৎস-কে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার বন্যায় বিধ্বস্ত একটি জায়গা পরিদর্শনে গিয়েও তাঁর তেমন লাভ হয় নি৷ উলটে বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর ও অর্থমন্ত্রী হিসেবে শলৎস সংকটের সময়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রশাসকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে ভোটারদের কাছে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য নেতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন৷

সবচেয়ে সম্ভাবনাময় প্রার্থী হিসেবে আসরে নামলেও একের পর এক ব্যক্তিগত ধাক্কার কারণে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়েছেন সবুজ দলের প্রথম চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী আনালেনা বেয়ারবক৷ মঙ্গলবার তার দল পরিবেশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচির পরিকল্পনা পেশ করলেও জনসমর্থন আদায় করতে পারবে কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)