1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ময়দানে দুই বৃদ্ধ, লক্ষ্য হোয়াইট হাউস

Sanjiv Burman৬ মার্চ ২০২০

একের পর এক প্রার্থী আসর থেকে বিদায় নেবার পর ডেমোক্র্যাটিক দলের মনোনয়নের দৌড়ে থেকে গেলেন জো বাইডেন ও বার্নি সান্ডার্স৷ এবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নির্বাচনে হারানোর যোগ্যতা নিয়ে সংঘাতের পালা৷

https://p.dw.com/p/3Ywq5
বার্নি সান্ডার্স ও জো বাইডেন
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Rourke

‘সুপার টিউজডে' নামের প্রাক নির্বাচনি ভোটগ্রহণ পর্বে অ্যামেরিকার একাধিক রাজ্যে ডেমোক্র্যাটিক দলের সমর্থকরা তাঁদের পছন্দের প্রার্থী বেছে নেবার পর বাকি প্রার্থীরা পর পর হাত গুটিয়ে নিচ্ছেন৷ মঙ্গলবার ধনকুবের মাইকেল ব্লুমবার্গের পর বৃহস্পতিবার এলিজাবেথ ওয়ারেনও ডেমোক্র্যাটিক দলের মনোনয়নের দৌড় থেকে সরে দাঁড়ালেন৷ ফলে সম্ভাবনাময় প্রার্থী হিসেবে প্রতিযোগিতায় রয়ে গেলেন জো বাইডেন ও বার্নি সান্ডার্স৷

অতীতের ব্যর্থতা পেছনে ফেলে প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সবাইকে অবাক করে দিয়ে মঙ্গলবার অনেকগুলি রাজ্যে জয়লাভ করেন৷ সেইসঙ্গে একের পর এক বিদায়ী প্রার্থী প্রকাশ্যে তাঁকে সমর্থন জানানোয় বাইডেন শিবির আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে৷ ধনকুবের ব্লুমবার্গও অবিলম্বে বাইডেনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন৷

অন্যদিকে বার্নি সান্ডার্স প্রাথমিক সাফল্য পেছনে ফেলে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছেন৷ মঙ্গলবার মাত্র চারটি রাজ্যে জয়লাভ করায় তাঁর শিবির কিছুটা মুষড়ে পড়েছে৷ গত দুই সপ্তাহ ধরে বিদায়ী প্রার্থীদের সমর্থনও তিনি পাচ্ছেন না৷ এমনকি আদর্শগতভাবে প্রায় একই অবস্থানে থাকা সত্ত্বেও বিদায়ের পর ওয়ারেন তাঁর প্রতি সমর্থন জানাননি৷ ওয়ারেন অবশ্য বাইডেনকেও উপেক্ষা করছেন৷ তিনি আপাতত অপেক্ষা করবেন বলে জানিয়েছেন৷ বাইডেনের সাফল্যের প্রেক্ষাপটে সমর্থনের মাত্রা দ্রুত বাড়াতে না পারলে সান্ডার্সের পক্ষেও বেশিদিন প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা সম্ভব হবে না৷ এই অবস্থায় সান্ডার্স শিবিরের মধ্যে রণকৌশল নিয়ে মতভেদ বাড়ছে৷ কট্টর আদর্শগত অবস্থান শিথিল করে দলের বিভিন্ন অংশের সমর্থন পাবার চেষ্টা চালানো উচিত বলে সান্ডার্সের সহযোগীদের একাংশ মনে করছে৷

আগামী নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ডেমোক্র্যাটিক দলের কোন প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনা বেশি, সেই প্রশ্ন আবার নতুন করে উঠে আসছে৷ প্রাথমিক বৈচিত্র্য পেছনে ফেলে ডেমোক্র্যাটিক দলের মধ্যে শেষ পর্যন্ত দুই শ্বেতাঙ্গ বর্ষীয়ান ব্যক্তি প্রেসিডেন্টকে চ্যালেঞ্জ করতে অবশিষ্ট রয়ে গেছেন৷ ফলে অনেক সমর্থকের মধ্যে হতাশা দেখা দিচ্ছে৷ ৭৭ বছর বয়সি বাইডেন বা ৭৮ বছর বয়সি সান্ডার্স ৭৩ বছর বয়সি ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউস থেকে সরাতে পারবেন কিনা, সে বিষয়ে সংশয় বাড়ছে৷ শেষ পর্যন্ত এই তিন শ্বেতাঙ্গ বৃদ্ধের মধ্যে একজনকে আগামী চার বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট পদে দেখা যাবে, সেই বাস্তব আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে৷

বাইডেন ও সান্ডার্স আপাতত ১০ই মার্চ ছ'টি রাজ্যে প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন৷ দুই প্রার্থীর মধ্যে সংঘাতও বেড়ে চলেছে৷ সান্ডার্স নিজের ব্যর্থতার জন্য ‘এশট্যাবলিশমেন্ট' বা প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এবং বাণিজ্যিক মহলকে দায়ী করেছেন৷ অন্যদিকে বাইডেন কৃষ্ণাঙ্গ, নারী, মধ্যবিত্ত, শ্রমজীবী শ্রেণির সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন৷

এসবি/জেডএইচ (রয়টার্স, এপি)