1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ম্যার্কেলের শূন্যস্থান পূরণের চেষ্টায় শলৎস

৩০ আগস্ট ২০২১

নির্বাচনের আগে জার্মানির এসপিডি দলের চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী ওলাফ শলৎসের জয়যাত্রা অব্যাহত রয়েছে৷ প্রথম টেলিভিশন বিতর্কে তিনি বাকি দুই প্রার্থীর তুলনায় ভালো ফল করে আগামী সরকারের নেতৃত্বের আরও কাছে চলে এলেন৷

https://p.dw.com/p/3zf6y
Deutschland | Bundestagswahl Kanzlerkandidaten Triell | Laschet, Baerbock und Scholz
ছবি: RTL/dpa/picture alliance

জার্মানির সাধারণ নির্বাচনের আর এক মাসও দেরি নেই৷ এদিকে অনেক ভোটার এখনো মনস্থির করে উঠতে পারেন নি৷ জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী জনপ্রিয়তার বিচারে কোনও দলের শীর্ষ নেতা এখনো বাকিদের তুলনায় তেমন ব্যবধানে এগিয়ে যেতে পারেন নি, যে তিনি নিজের দলকে আগামী সরকারের নেতৃত্বের আসনে বসাতে পারেন৷ এমনই প্রেক্ষাপটে রবিবার তিন শিবিরের চ্যান্সেলর পদপ্রার্থীর মধ্যে প্রথম টেলিভিশন বিতর্ক অনুষ্ঠিত হলো৷ নির্বাচনের আগে আরও দুটি অনুষ্ঠানে শীর্ষ প্রার্থীরা ভোটারদের মন জয় করার সুযোগ পাবেন৷ ফেডারেল জার্মানির ইতিহাসে এই প্রথম দুইয়ের বদলে তিন জন শীর্ষ প্রার্থীর মধ্যে ‘ট্রিয়েল' অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷

চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সিডিইউ ও বাভেরিয়ার সিএসইউ দলের সম্মিলিত প্রার্থী এবং নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আরমিন লাশেটের দিনকাল ভালো যাচ্ছে না৷ নিজের শিবিরসহ বৃহত্তর সমাজেও তিনি সমর্থন আদায় করতে হিমশিম খাচ্ছেন৷ রোববার প্রায় দুই ঘণ্টার টেলিভিশন বিতর্কেও তিনি নিজের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার প্রচেষ্টায় তেমন সফল হন নি৷ এসপিডি দলের প্রার্থী এবং বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ও সবুজ দলের প্রার্থী আনালেনা বেয়ারবককে একাধিক নীতির প্রশ্নে আক্রমণ করেও লাশেট হারানো জমি উদ্ধার করতে পারেন নি৷ বিতর্কের পর এক সমীক্ষা অনুযায়ী শলৎস ৩৬ শতাংশ মানুষ মনে করছেন যে শলৎসের জয় হয়েছে৷ বেয়ারবকের পক্ষে ৩০ শতাংশ ও লাশেটের পক্ষে মাত্র ২৫ শতাংশ রায় দিয়েছেন৷ তবে কোনো প্রার্থীই এখনো জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রার কাছাকাছি পৌঁছতে পারছেন না৷

রবিবারের টেলিভিশন বিতর্কে আফগানিস্তান সংকট, পরিবেশ বিপর্যয় ও করোনা মহামারির মতো সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছিল৷ তিন প্রার্থীই আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে জার্মানির ভূমিকা আরও শক্তিশালী করার পক্ষে সওয়াল করেন৷ তবে বেয়ারবক বর্তমান মহাজোট সরকারের দুই দলের প্রতিনিধি হিসেবে লাশেট ও শলৎসকে আফগানিস্তানে ব্যর্থতার জন্য দায়ী করেন৷ তিনি সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক স্বার্থে পররাষ্ট্র নীতি সংক্রান্ত দায়িত্ব জলাঞ্জলি দেবার অভিযোগ করেন৷

তিন প্রার্থীই করোনা মহামারি সত্ত্বেও ভবিষ্যতে কড়া লকডাউন এড়িয়ে চলার অঙ্গীকার করেন৷ তাঁদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে এমন কড়াকড়ির আর প্রয়োজন পড়বে না৷ সেই লক্ষ্যে সব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে৷

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিদায়ী সরকার যথেষ্ট আন্তরিকতা দেখায় নি বলে বেয়ারবক অভিযোগ করেন৷ ক্ষমতায় এলে তিনি আরও জোরালো পদক্ষেপের অঙ্গীকার করেন৷ লাশেট ও শলৎস এ ক্ষেত্রে সরকারের ‘সাহসি' পদক্ষেপ ও নিজেদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন৷ লাশেট সবুজ দলের নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, এমন পদক্ষেপ নিলে জার্মানির শিল্প-বাণিজ্য জগতের মারাত্মক ক্ষতি হবে৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য