1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ম্যার্কেলের পিছনে মার্কিন গোয়েন্দারা

৩১ মে ২০২১

আঙ্গেলা ম্যার্কেল সহ একাধিক ইউরোপীয় নেতার পিছনে চরবৃত্তি করেছে ডেনমার্কের গোয়েন্দারা। তথ্য পাচার করা হয়েছে অ্যামেরিকায়।

https://p.dw.com/p/3uCYE
আঙ্গেলা ম্যার্কেল
ছবি: Annegret Hilse/Reuters/dpa/picture alliance

কার্যত বোমা ফাটিয়েছে ইউরোপের একাধিক প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম। মার্কিন গোয়েন্দা দফতরের সূত্র তাদের হাতে তুলে দিয়েছে বিস্ফোরক তথ্য। যাতে দেখা যাচ্ছে, ডেনমার্কের গোয়েন্দা সংস্থা ইউরোপের একাধিক নেতার পিছনে চরবৃত্তি করেছে এবং সেই তথ্য তুলে দিয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার হাতে। আঙ্গেলা ম্যার্কেলের পিছনেও তারা চরবৃত্তি করেছে এবং তথ্য তুলে দিয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এনএসএ-এর হাতে।

২০১৩ সালেই বিষয়টি সামনে এসেছিল। স্নোডেনও এ বিষয়ে সরব হয়েছিলেন। কিন্তু সে সময় সাংবাদিকদের হাতে এই পরিমাণ তথ্য আসেনি। কিন্তু সম্প্রতি এনএসএ-এর এক কর্মকর্তা বিস্তারিত তথ্য তুলে দেন একাধিক ইউরোপিয়ান সংবাদমাধ্যমের হাতে। তারপরেই বিস্ফোরক তথ্য সামনে চলে আসে।

জার্মান চ্যান্সেলর ছাড়াও দেশের প্রেসিডেন্টের পিছনেও চরবৃত্তি করেছে ডেনমার্কের গোয়েন্দা সংস্থা এফই। ২০১৩ সালে এসপিডি দলের চ্যান্সেলর পদপ্রার্থীর পিছনেও চরবৃত্তি করা হয়। ঘটনার কথা শুনে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ''এটা রাজনৈতিক স্ক্যান্ডাল।'' জার্মান কূটনীতি মহলেও বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো সাড়া পড়ে গেছে। কারণ জার্মানির সঙ্গে ডেনমার্কের কূটনৈতিক সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। ডেনমার্ক জার্মানির প্রতিবেশী দেশ। তা সত্ত্বেও কেন তারা এ কাজ করল এবং মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার হাতে তথ্য তুলে দিল, তা নিয়ে অনেকেই বিস্মিত।

বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি ম্যার্কেল। তবে চ্যান্সেলরের অফিস থেকে জানানো হয়েছে, বিষয়টি ম্যার্কেলের গোচরে আনা হয়েছে। জার্মান প্রেসিডেন্টও এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি। ডেনমার্কও বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে ২০২০ সালেই ডেনমার্কের প্রশাসনের কানে পৌঁছেছিল খবরটি। বিষয়টি নিয়ে জলঘোলাও হয়েছে অনেক। সূত্র জানিয়েছে, ২০২০ সালে তৎকালীন গোয়েন্দা বিভাগের সমস্ত উচ্চপদস্থ কর্তাকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)